তামাকে করোনা শঙ্কা
প্রকাশিত : ১৭:৫৩, ৭ এপ্রিল ২০২০ | আপডেট: ২১:২৯, ৭ এপ্রিল ২০২০
সিগারেটে তৈরি হচ্ছে মৃত্যু শঙ্কা। কারণ তামাক করোনা সংক্রমণকে ত্বরান্বিত করে। ফলে মানুষ তামাক ব্যবহারের কারণে করোনাক্রান্ত হওয়ার প্রবল ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে- ধূমপানের কারণে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া এবং গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই সিগারেট বিক্রয়ের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৭ এপ্রিল) ২০টি তামাকবিরোধী সংগঠন থেকে দেওয়া একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবির কথা জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়েছে- দক্ষিণ আফ্রিকা ইতোমধ্যে করোনাভাইরাস সংকট মোকাবেলায় সিগারেট বিক্রয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। অথচ এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে দুইটি বহুজাতিক তামাক কোম্পানিকে (সংযুক্ত) সিগারেট উৎপাদন, বিপণন ও তামাক পাতা ক্রয় অব্যাহত রাখার সুযোগ প্রদান করা হলো।
শিল্প মন্ত্রণালয় অতি সম্প্রতি এবিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে সকল বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি প্রদান করেছে। বাংলাদেশে করোনা সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত বিভিন্ন পদক্ষেপ দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে এবং সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আশার সঞ্চার করেছে। এ অবস্থায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের এই জনস্বাস্থ্যবিরোধী পদক্ষেপ জনমনে হতাশা সৃষ্টি করতে বাধ্য।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭৮ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে এবং প্রায় ৪ কোটি ১০ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিজ বাড়িতেই পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তামাকের ক্ষতির শিকার এই বিপুল প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী বর্তমানে মারাত্মকভাবে করোনাভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তামাকের স্বাস্থ্যক্ষতি বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
এমতাবস্থায়, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে এই নির্দেশনা প্রত্যাহার করে করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় দক্ষিণ আফ্রিকার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সিগারেট বিক্রয়ের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার আহ্বান জানাচ্ছে তামাকবিরোধী সংগঠন বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি, বিসিসিপি, এসিডি, ইপসা, এইড ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট, বিএনটিটিপি, বিটা, গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটি, নাটাব, প্রত্যাশা, টিসিআরসি, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, উফাত, তাবিনাজ, ভয়েস, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট, অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স- আত্মা এবং প্রজ্ঞা।
এসি
আরও পড়ুন