ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪

পদ্মা সেতুর ২৮তম স্প্যান বসছে কাল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:০৮, ১০ এপ্রিল ২০২০ | আপডেট: ০৮:২১, ১১ এপ্রিল ২০২০

পদ্মা সেতুর ২৮তম স্প্যান বসছে কাল শনিবার। এ স্প্যান স্থাপনের মধ্য দিয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ আরেক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছে।

শুক্রবার সকালের “৪বি” নম্বর স্প্যানটি মাওয়ার কুমারভোগ ইয়ার্ড থেকে রওনা হয় ভাসমান ক্রেনবাহী জাহাজ “তিয়ান ই”। প্রায় ৩২ শ’ টন ওজনের ১৫০ মিটার দীর্ঘ এই স্প্যান পাজা করে তুলে নিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নোঙ্গর করেছে।

বাংলাদেশ পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী (সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের বলেন, আগামীকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে স্প্যানটি মাওয়ার সীমান্তবর্তী এবং সেতুটির মাঝামাঝি সেতুর ২০ ও ২১ নম্বর পিলারে বসানো হবে।

তিনি বলেন, সেখানে লিফটিং ফ্রেম (স্প্যানকে ঝুলন্ত রাখার যন্ত্র) সেট করা হয়ে গেছে আগেই। পিলারের উপর সেট করা হয়ে গেছে বেয়ারিং। তিনি জানান, এই স্প্যান বসানোর পর জাজিরার অংশে আর মাত্র ২টি স্প্যান বাকী থাকবে। ২৫, ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারে “৫এ” ও “৫বি” নম্বর স্প্যান বাকী থাকবে। এই অংশটিতে ফেরি চলাচলের চ্যানেল থাকায় বিলম্ব হচ্ছে। সর্বশেষ ২৬ নম্বর পিলারটি সম্পন্ন হওয়ায় এখানেও শিঘ্রই স্প্যান বসবে।

গত ২৮ মার্চ সেতুর ২৭তম স্প্যান বসানো হয়। এরপর ৩১ মার্চ ২৬ নম্বর পিলার বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর সব পিলার সম্পন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া চলতি মাসেই ২৯তম স্প্যানও বসানোর কথা রয়েছে।
সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ৩৯টি স্প্যান এখন মাওয়ায়। যার ২৭টি স্প্যান পিলারের ওপর বসানো হয়ে গেছে। অপর ২টি স্প্যান চীন থেকে আগামী ২০ এপ্রিল রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।

আগামীকাল ২৮তমটি বসানোর পর বাকী থাকছে মাত্র ১৩টি স্প্যান। সংশোধিত সিডিউল অনুযায়ী আগামী নভেম্বরের মধ্যে সব স্প্যান বসে যাওয়ার কথা আছে। তবে দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা মনে করছেন নির্ধারিত সময়ের আগেই আগস্টের মধ্যে পিলারের ওপর সব স্প্যান বসে যাবে। তবে নির্ধারিত সময়ে দ্বিতল সেতুর ওপরে থাকবে সড়কপথ আর নিচে থাকবে রেলপথ। যা এখন ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে।

দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, পুরো প্রকল্পটিই আইসোলেটেট। তাই এখানকার দেশী বিদেশী কর্মীরা অনেকটাই নিরাপদ। এখানে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে না। বাইরে কাউকেই এখানে এখন প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। ভেতরে করোনার স্বাস্থ্যবিধি সবই মেনে চলা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূলসেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনের ‘সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

এসি
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি