চিকিৎসকদের সুরক্ষা সরঞ্জাম অন্যরা ব্যবহার করবেন না : প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১১:৩০, ২০ এপ্রিল ২০২০ | আপডেট: ১১:৩০, ২০ এপ্রিল ২০২০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসক এবং নার্সদের সুরক্ষা সরঞ্জাম অন্যদের ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন। আজ সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে থেকে এক ভিডিও কনফারেন্স তিনি এ পরামর্শ দেন।
সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এই ভিডিও কনফারেন্সে চলমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের আট জেলার প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।
জেলাগুলো হচ্ছে- ঢাকা বিভাগের মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা এবং ময়মনসিংহ সদর।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা মানুষকে সুরক্ষিত করার জন্য নানা ব্যবস্থা নিয়েছি। ডাক্তার, নার্সদের শুরুর দিকেই ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। ডাক্তারদেরকেও এ ব্যাপারে সচেতন করা হয়েছে। তাদের জীবন সুরক্ষিত রাখার জন্য পিপিইসহ অন্যান্য মাস্ক বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার থেকে শুরু করে গ্লাভস, ক্যাপ, জুতা সংগ্রহ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটা জিনিস লক্ষ্য রাখবেন, যারা ডাক্তার-নার্স রোগী দেখেন, যারা করোনাভাইরাসে অসুস্থ রোগী দেখেন, সেই রোগীদের দেখার জন্য যে জিনিসগুলো ব্যবহার করা দরকার সেগুলো যদি সবাই মিলে যত্রতত্র ব্যবহার করতে শুরু করে তাহলে আমরা ডাক্তার-নার্সদের দেব কীভাবে। সেটাও একটা প্রশ্ন দেখা যায়।’
এ পর্যন্ত ১৪ লাখ ৬৩ হাজার ৮৪০ টিস পিপিই সংগ্রহ করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার মধ্যে ১০ লাখ ৮০ হাজার ৬৯টি বিতরণ করা হয়েছে। যেগুলো সম্পূর্ণভাবে রোগী দেখার জন্য, সেগুলো রোগী দেখার জন্যই থাকবে। হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট যারা তাদেরকেই ব্যবহার করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাকি সবাই সুরক্ষিত থাকার জন্য মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস বা স্যানিটাইজার বা বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোঁবেন- সেগুলো সকলে মিলে ব্যবহার করবেন।’
এর আগে শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে তিন দফা পৃথক ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট এবং বরিশাল বিভাগের ৪০টি জেলার সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী জনগণকে স্বাস্থ্যবিধিসমূহ মেনে চলার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি সংকট উত্তরণের জন্য বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজেরও ঘোষণা দেন।
দেশে ৮ মার্চ প্রথম করোনারোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৯১ জন। আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৪৫৬ জন।
এসএ/
আরও পড়ুন