জেলার ত্রাণ কার্যক্রমে ৬৪ সচিবকে দেওয়া হলো দায়িত্ব
প্রকাশিত : ১৯:৪৯, ২০ এপ্রিল ২০২০ | আপডেট: ২০:২৯, ২০ এপ্রিল ২০২০
দেশের ৬৪ জেলায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৬৪ জন সচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ও ত্রাণ সমন্বয়ের জন্য তাদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। সোমবার (২০ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে কর্মকর্তাদের মধ্যে এ দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে জেলা পর্যায়ে চলমান ত্রাণ কার্যক্রম সুসমন্বয়ের জন্য সরকার ওই কর্মকর্তাদের জেলাওয়ারি দায়িত্ব প্রদান করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এর আগে সোমবার সকালে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের আটটি জেলার প্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সচিবালয়ে দৈনন্দিন কাজের চাপ কম হওয়ায় সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা এখন থেকে জেলা পর্যায়ে ত্রাণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমি প্রত্যেক জেলায় ত্রাণকার্যক্রম তদারকি ও সে বিষয়ে আমার কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য একজন সচিবকে দায়িত্ব দিয়েছি, কারণ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সচিবালয়ে তাদের নিয়মিত কাজের চাপ কমে গেছে।”
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, “এছাড়াও, আমি ইতিমধ্যে আমার দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সবোর্চ্চ পর্যায় থেকে ওয়ার্ড পর্যন্ত ত্রাণ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছি। এই কমিটিগুলো স্থানীয় প্রশাসনকে কর্মহীনদের একটি সঠিক তালিকা তৈরি করতে সহায়তা করবে, যাদের সত্যিকার অর্থেই সরকার কর্তৃক সরবরাহ করা খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী পিপিই ও মাস্ক সম্পর্কে বলেন, আমি আমাদের মন্ত্রীর (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) কাছে কিছু ছবি পাঠিয়েছি। যারা সাপ্লাই দেয়, তারা সঠিকভাবে সবকিছু দিচ্ছে কিনা? মহানগর হাসপাতালে কিছু জিনিস গিয়েছে। নাম দিচ্ছে ভালো, কিন্তু সঠিকভাবে ঠিক জিনিসগুলো যায়নি। এটা আপনাদের দেখা উচিত। আপনারা দিয়ে দিচ্ছেন, বলে দিচ্ছেন। কিন্তু যারা সাপ্লায়ার তারা ঠিকভাবে দিচ্ছে কিনা, কিংবা সঠিক জিনিসটা কিনছে কিনা, এটা দেখা দরকার, এটা দেখবেন। এটা নিয়ে আমি বেশি কিছু বলতে চাই না। আমি মন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি ছবিটা, এটা যাচাই করে দেখার জন্য।
পরে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহীদুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের কেন্দ্রীয় ঔষধাগারসহ একটা কমিটি করা আছে। যারা এই সরবরাহ ও তার কারিগরি দিক পরীক্ষা করবে। ইতোমধ্যে আমরা প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার পিপিই নিম্নমানের হওয়ায় নষ্ট করেছি। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। হয়তো জরুরি প্রয়োজন মেটাতে আমাদের ভুল হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু এখন আমরা চাচ্ছি, আমাদের এই ভুলগুলো যাতে না হয়। সঠিকভাবে বিতরণটা করতে পারি, সেই উদ্যোগ আমরা নিয়েছি।
এসি
আরও পড়ুন