ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

২৬২টি হাসপাতালে জীবাণুনাশক স্প্রে করেছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৪০, ৩০ এপ্রিল ২০২০

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি করোনাভাইরাস (কোভিড১৯) এর প্রভাবে সৃষ্ট বৈশ্বিক মহামারি মোকাবিলায় সরকারের সাথে সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

এদিকে, সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা এক মাসেরও অধিক সময় রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জীবাণুমুক্ত করতে জীবাণুনাশক স্প্রে অব্যাহত রেখেছে। 

রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানায়, গত ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশের ২৬২টি হাসপাতালে ২২৮৫ বার জীবাণুনাশক স্প্রে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা। হাসপাতালে স্প্রে করার পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান,দপ্তর/মন্ত্রণালয, মসজিদ, মন্দিরসহ ধর্মীয় উপসানলয়, আইন শৃংখলা রক্ষাকারীবাহিনী অফিস, রাজধানীর সকল থানা, বিভিন্ন মিডিয়া হাইজ, হাটবাজার ও গণপরিবহনে জীবাণুনাশক কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে।

এছাড়াও সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা সারাদেশের জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে লিফলেট বিতরণ, সামজিক দূরত্ব বজায় ও নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলাসহ কোভিড১৯ এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত রাজধানীসহ সারাদেশে অসহায় ভাসমান মানুষদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকগণ।

গত ২৮ ও ২৯ এপ্রিল কারোনাভাইরাস প্রতিরোধে গৃহিত সোসাইটির ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্বেচ্ছাসেবকরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়,স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে জীবাণুনাশক স্প্রে কার্যক্রম পরিচালনা করে।   

কোভিড১৯ মোকাবিলায় সোসাইটি গৃহিত বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে সদর দপ্তরে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে প্রতিদিনই শরীরের তাপমাত্রা মাপা ও রেকর্ড কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। গত ২৮ মার্চ ২০২০ থেকে ২৯ এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত ১৬৮৬ জনের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। তবে, এখন পর্যন্ত অস্বাভাবিক তাপমাত্রা কারো শরীরে পরিলক্ষিত হয়নি বলে দায়িত্বরতরা জানান।

অপরদিকে, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি কোভিড১৯ সংক্রমিতদের চিকিৎসার সুবিধার্তে কক্্রবাজার জেলায় পরিচালিত পপুলেশন মুভমেন্ট অপারেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগকে ধারাবাহিক সহযোগিতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে  রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্রকে ২০টি আইসোলেশন বেড ও চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্রকে ৩০টি আইসোলেশন বেডসহ সর্বমোট ৫০টি আইসোলেশন বেড হস্তান্তর করা হয়েছে। পরবর্তীতে এই দুই হাসপাতালকে আরও ৫০ টি আইসোলেশন বেড হস্তান্ত করা হবে বলে পিএমও কমিউনিকেশন ও রিপোর্টিং কর্মকর্তা জানান।

উল্লেখ্য, সারাদেশের অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্য সহায়তা (ফুড পার্সেল) বিতরণ, কোভিড রোগীদের চিকিৎসার্থে আইসোলেশন ইউনিট স্থাপন, হাসপাতাল ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জীবাণুমুক্ত করতে জীবাণুনাশক স্প্রে করণ, স্বাস্খ্য সুরক্ষা উপকরণ বিতরণ (হাইজিন কিট, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জীবাণুনাশক সাবান,হ্যান্ড গ্লাভস,আই প্রটেকটর, মাস্ক, পিপিই), হাত ধোয়ার জন্য বিভিন্ন স্থানে বেসিন স্থাপনসহ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সচেতনতামূলক তথ্য প্রচার -প্রচারণা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

আরকে//
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি