ঈদের আগেই খুলছে সব পোশাক কারখানা!
প্রকাশিত : ১৩:৫৬, ১ মে ২০২০ | আপডেট: ১৪:১৬, ১ মে ২০২০
করোনার প্রাদুর্ভাবে একমাসের বেশি সময় বন্ধ ছিল দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো। তবে, অর্ডার থাকায় শেষ পর্যন্ত ঈদের আগেই দেশের সব কারখানা খুলে দেয়ার পরিকল্পনা করছে বিজিএমইএ৷
তাদের দাবি, করোনায় কোনো শ্রমিকের কিছু হলে তার সব দায়দায়িত্ব মালিকরা নেবেন৷ যদিও এখনো তিনশ কারখানার শ্রমিকরা বেতন পাননি৷
বিজিএমইএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আরশাদ জামাল দিপু সাংবাদিকদের জানান, ‘ঈদের আগেই সব তৈরি পোশাক কারখানা খুলে যাবে৷
আর তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট রুবানা হক বলছেন, ‘করোনায় কোনো শ্রমিকের কিছু হলে সব দায়িত্ব আমরা নেব৷’
বিজিএমইএ জানিয়েছে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঢাকা, গাজীপুর, সাভার , আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের ৮৯০টি কারখানা চালু হয়েছে৷ শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিয়েছেন৷ মোট শ্রমিকদের ৪২ ভাগ কাজে যোগ দিতে পেরেছেন৷
আরশাদ জামাল দিপু বলেন, ‘আমরা ফেস বাই ফেস পোশাক কারখানা খুলে দেব৷ বাইরের জেলাগুলো থেকে যেহেতু যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে তাই সেখান থেকে শ্রমিকদের আসতে নিষেধ করছি৷ তবে ৭ তারিখের পরে এই সমস্যা থাকবে না বলে মনে হয়৷ ঈদের আগে অবশ্যই সব পোশাক কারখানা খুলে যাবে৷’
বিজিএমইএ যে কারাখানাগুলোর হিসেব দিচ্ছে সেগুলো আসলে সরাসরি পোশাক রপ্তানি করে৷ বিজিএমই বলছে, এই রকম পোশাক কারখানার সংখ্যা দুই হাজার ২৭৪টি ৷ সদস্যভুক্ত কারখানাগুলোতে ২৪ লাখ ৭২ হাজার ৪১৭ জন শ্রমিক আছেন৷
কিন্তু বাস্তবে পোশাক কারখানার সংখ্যা সারাদেশে সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি৷ কারণ অনেক কারখানা আছে যারা সাব কন্ট্রাক্টে কাজ করে৷ এসব কারখানায় ৫০ লাখের বেশি শ্রমিক কাজ করেন৷
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে আলোচনায় আসে গার্মেন্টস কারখানাগুলো নিয়ে। ভাইরাসটির বিস্তার রোধে গত ২৫ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। তবে এই সময়ে পোশাক কারখানাগুলো খোলা রাখা হয়। ২৮ ও ২৯ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সরকার সাধারণ ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ালেও মালিকরা ৫ এপ্রিল কারখানা খোলা রাখার ব্যাপারে অটল থাকেন।
কিন্তু এই সময়ে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় চাকরি বাঁচাতে অসংখ্য শ্রমিক পায়ে হেঁটে কর্মস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়। এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হলে ৫ এপ্রিল রাতে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত আবারও কারখানা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় মালিকপক্ষ।
এরপর তারা সরকারের ঘোষিত সাধারণ ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে কারখানা বন্ধ করে আসছে। সরকারের সাধারণ ছুটি আগামী ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হলেও কারখানা মালিকরা ছুটির মেয়াদ আর বাড়ায়নি। ফলে বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নিয়েই শ্রমিকরা এখনও ট্রাক, পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন মাধ্যমে কর্মস্থলে যোগ দিচ্ছেন।
এআই//
আরও পড়ুন