কোনো জমি যেন ফাঁকা না থাকে : প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১৩:২০, ১৪ মে ২০২০ | আপডেট: ১৩:২৭, ১৪ মে ২০২০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশে যেন খাদ্যের কোনো অভাব না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখছে সরকার। সবার প্রতি আহ্বান থাকবে কোনো জমি যেন ফাঁকা না থাকে।’
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণের উদ্বোধন কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। তিনি আজ ১৪ মে, বৃহস্পতিবার সকালে সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা বিতরণের এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে যেখানে যে ধরনের ফসল উৎপাদন করা সম্ভব সেখানে তা উৎপাদনেরও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
একইসঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক উন্নত দেশও করোনা ভাইরাসের কাছে পরাজিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে কাজ করে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোনও মানুষ যেন না খেয়ে কষ্ট না পায়। সরকার সেই চেষ্টা করছে। আপনারা মনোবল শক্ত করে যে কোনও কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবেন।’
বিত্তশালীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অসহায়দের সহযোগিতায় আরও বেশি করে এগিয়ে আসুন।’
তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আবারও আহ্বান জানান, নিজ নিজ এলাকার অসহায় মানুষকে সাহায্য করতে এবং ধান কাটায় অংশ নিয়ে কৃষকদের কষ্ট লাঘব করতে। সব ধরনের পতিত জমিতে যে কোনও ধরনের ফসল ফলানোর উদ্যোগ নিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ দরিদ্র পরিবার মে ও জুন মাসে ৫ হাজার টাকা করে পাবেন। এর মধ্যে মে মাসের জন্য আড়াই হাজার টাকা করে দেয়ার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ প্রথমদিন ১০ লাখ পরিবারকে এ অর্থ দেয়া হবে। এর পরবর্তী চারদিন ৪০ লাখ পরিবারকে এ অর্থ দেয়া হবে বলেও সূত্র নিশ্চিত করেছে।
তালিকাভুক্তরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিনা খরচে পেয়ে যাবে এ অর্থ। নগদ, বিকাশ, রকেট, এবং শিউরক্যাশ’র মাধ্যমে সরাসরি পেয়ে যাবে এ অর্থ, ফলে তাদের বাড়তি কোনো ঝামেলা পোহাতে হবে না। এ অর্থ পাঠানের খরচও দিয়ে দিচ্ছে সরকার।
এদিকে সংবাদ সংস্থা বাসস জানিয়েছে, এখন সরকারের ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছে এমন ১ কোটি ২৫ লাখ পরিবারের মধ্যে দরিদ্রতম ৫০ লাখ পরিবারের সমন্বয়ে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সারাদেশে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, সদস্য, শিক্ষক, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি এই সহায়তাপ্রাপ্তদের তালিকা তৈরি করেছেন। তালিকায় রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণশ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, দোকানের কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোলট্রি খামারের শ্রমিক, বাস-ট্রাকসহ পরিবহন শ্রমিক, হকারসহ নানা পেশার মানুষকে রাখা হয়েছে।
এসএ/
আরও পড়ুন