ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

করোনাযুদ্ধে জয়ী হলাম যেভাবে

মানিক মুনতাসির

প্রকাশিত : ১৯:২১, ১০ জুন ২০২০ | আপডেট: ১২:৩৫, ১১ জুন ২০২০

মানিক মুনতাসির

মানিক মুনতাসির

২৯ মে, রাত ১১টা ২৯ মিনিট। শুয়ে পড়েছি। কিন্তু ঘুম আসছে না। হঠাৎ বেজে উঠলো মোবাইলের মেসেজ টোন। আগ্রহভরে হাতে নিয়ে চেক করলাম। দেখি, সেন্ডার ব্র্যাক। মেসেজ ওপেন করে দেখি করোনা টেস্টের রেজাল্ট নেগেটিভ। সত্যিই তখন যা মনে হচ্ছিল তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। মনে মনে খালি বললাম, আল্লাহ তুমি সত্যিই মহান। এই যাত্রায় প্রাণটা ফিরিয়ে দিয়েছো। শুকরিয়া। কোভিড-১৯ এর সাথে যুদ্ধ করতে গিয়ে টানা ১৯ দিনের যে ধকলটা গেছে, সেটা মুহূর্তেই ভুলে গেলাম সেদিন।

তার আগে গত ১৭ মে দুপুর সাড়ে ১২টায় হঠাৎ মোবাইলে একটা মেসেজ আসল। ওপেন করে দেখলাম, সেই অনাকাঙ্খিত মেসেজ। যেটার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। মেসেজে দেখলাম সেখানে লেখা- আপনি কোভিড-১৯ পজিটিভ। ফার্দার কোন প্রয়োজন হলে ফোন করুন ৩৩৩-এ। অবশ্য এই মেসেজ পাওয়ার আগে ১৩ মে আমি ফোন করেছিলাম ৩৩৩ নম্বরে। সব শুনে আমাকে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিল ডাক্তারবাবু। কিন্তু আমি জিজ্ঞেস করলাম, টেস্ট করাবো কিনা। টেস্টের ব্যাপারে শতভাগ নিরুৎসাহিত করা হলো। আমি পাল্টা জিজ্ঞেস করলাম, টেস্টে না করালে আইসোলেশন কেন? ওপাশ থেকে বলল- আপনি সন্দেহভাজন। আমি বললাম, আমি সন্দেহভাজন বলেই তো টেস্ট করানো দরকার। নিশ্চিত হওয়ার জন্য। কিন্তু আমার কথা তিনি ভালোভাবে নিলেন না। যাইহোক, আমি ফোন রেখে দিলাম। 

পরদিন ১৪ মে ডিআরইউতে নমুনা দেওয়ার পর বাসায় ফিরে পৃথক একটা রুমে ঢুকে গেলাম। সেই সাথে পুরো পরিবার থেকে আলাদা হয়ে গেলাম এবং এই একাকীত্বের যুদ্ধটা চলল ২৯ মে রাত দুপুর পর্যন্ত। মাঝে একটা ঈদ গেছে। আমাদের কারো ঈদ ছিল না। এটা অবশ্য পুরো বিশ্বেরই পরিস্থিতি। ৩০ মে দুপুরে আমার বড় ছেলে আমাকে জিজ্ঞেস করল- বাবা, ঈদ কি আসবে না। আমি তার দিকে অসহায়ের মতো তাকিয়ে বললাম- বাবা, আজকেই তো আমাদের ঈদ। চলো আজ আমরা ছাদে যাবো। অনেকক্ষণ থাকবো। 

গত ১৪ মে থেকে ২৯ মে পর্যন্ত অবিরতভাবে গরম পানির জলীয় বাস্প নেওয়া, রং চা, মাল্টা, লেবু, আনারস, তরমুজ, বাংগী খেয়েছি প্রচুর পরিমাণে। ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১ মে পাঁচদিনে আমরা পরিবারের সবাই (৪ জন) অন্তত ২০০ পিছ লেবু খেয়েছি নানাভাবে। আর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, নাপা এক্সটেন্ড, এজিথ্রোমাইসিন, জিংকসহ কয়েকটি ওষুধের একটা কোর্স পূর্ণ করেছি। ১৭ মে থেকে ২৯ মে পুরো সময়টা প্রতিদিন ঘণ্টায় ঘণ্টায় আমার আপডেট নিয়েছে আমার কাজিন ডাক্তার আহমেদ মাহী বুলবুল। তিনিই মূলত আমাকে সবচেয়ে বেশি শক্তি আর সাহস যুগিয়েছেন।

আমার অভিজ্ঞতা: আমি কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার পর থেকে নেগেটিভ হওয়া পর্যন্ত টানা ১৯টা দিনের প্রতিটা মুহূর্ত বোধ হয় সারাজীবনই মনে থাকবে। সেটা ছিল সত্যিকার অর্থে একটা মারাত্মক মেন্টাল ট্রমা। এই ট্রমার চাপটা যদি আপনি নিতে পারেন তবেই আপনি জয়ী হবেন করোনা যুদ্ধে। একইসাথে এই পচে যাওয়া নষ্ট সমাজটার সাথে যুদ্ধে জয়ী হওয়াটা বেশ কঠিন বৈকি। যেখানে আপনি করোনায় আক্রান্ত হলে সমাজ, পরিবার-পরিজন সবাই পর হয়ে যাচ্ছে। আমাদের যে পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধনের গল্পগুলো ছিলো শত বছরের, সেগুলো মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এখানে বাবা-মা, ভাই-বোন কেউই কারো নয়। 

তার চেয়েও বড় কথা- এই রাষ্ট্রের কাছ থেকে আপনি কিছুই আশা করতে পারবেন না। শুধু প্রতি বছর ট্যাক্স দিয়ে যাবেন। আর ঐ ট্যাক্সের টাকায় হাসপাতাল, ভবন, ব্রিজ বানানোর নাম করে চুরি করবে একটি গোষ্ঠী। আবার আপনি তাদেরকে চোরও বলতে পারবেন না। এখানে যারা মানসিকভাবে হেরে যায়, তারাই করোনা যুদ্ধে হেরে যাচ্ছেন বলে আমার মনে হয়। তবে যারা আগে থেকেই নানা রোগে জর্জরিত, বয়স্ক। তাদের হিসাবটা ভিন্ন। যদিও আমি নিজেও একজন অ্যাজমা রোগী। আর যারা কম বয়সী হওয়া সত্ত্বেও হেরে যাচ্ছেন, তারা আসলে কারো কারো নিষ্ঠুরতা, চিকিৎসার অপ্রতুলতা আর পচে যাওয়া সমাজটার কাছে হেরে যাচ্ছেন। 

আমি আক্রান্ত হওয়ার পর আমার পাশের ফ্লাটের বাসিন্দাদের পর্যন্ত টের পেতে দেই নি। ২৯ মে নেগেটিভ হওয়ার পর যখন নিচে নেমেছি। তখন বাড়ির দারোয়ান, কেয়ারটেকার এমনকী নিচ তলায় থাকেন এক মেরিন ইঞ্জিনিয়ারের সাথে আমি নিজে থেকে শেয়ার করেছি। তারা এক প্রকার অবাকই হয়েছেন।

লড়াইটা ছিল বাঁচার জন্য: সবচেয়ে ভয়ংকর সময় কেটেছে পাঁচদিন। এই কয়টাদিন আমার পাতলা পায়খানা, শরীর দুর্বল, খাবারের গন্ধহীনতা, নিদ্রাহীনতা, কিছুটা দুশ্চিন্তা চরমভাবে ভুগিয়েছে। আর সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছি শ্বাস-প্রশ্বাসে। মাঝে মাঝে মাথা ওপরের দিকে করে শুধুই আল্লাহকে ডেকেছি। পৃথিবীতে শ্বাসকষ্টের চেয়ে বড় কোন কষ্ট আছে বলে আমার মনে হয় না। এজন্য প্রতিদিন নেবুলাইজ করেছি। ইনহেলার নিয়েছি। ব্যায়াম করেছি। কুসুম গরম পানিতে নিয়মিত গোসল করেছি। আর এই কদিন নিয়মিত খাবারগুলো অন্য সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হারে খেয়েছি। সাথে প্রতিদিন দুটি করে ডিম, দুধ, ফলফলাদি খেয়েছি প্রচুর। তবে আমি আমার একাকিত্বের সময়টাকে উপভোগ করার চেষ্টা করেছি। এ সময় অনেক পুরনো দিনের সিনেমা, নাটক দেখেছি। কিছু লেখালেখির কাজ করেছি। আমহদ ছফা আর সৈয়দ মুজতবা আলীর লেখা বই পড়েছি। কোরআনের বাংলা অনুবাদ পড়েছি। ফাঁকে ফাঁকে অফিসের জন্য রিপোর্ট তৈরি করেছি। সোর্সদের সাথে কথা বলার সময় কাউকেই বলিনি যে আমি কোরোনা পজিটিভ। 

অনেক পুরনো বন্ধুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। কিন্তু একজন চিকিৎসক বন্ধুকে ছাড়া আর কাউকেই বলিনি যে, আমি করোনায় আক্রান্ত। তবে শ্রদ্ধাভাজন ড. হোসেন জিল্লুর রহমানকে রিপোর্টের কাজে ফোন করলে তিনি কিভাবে যেন জানতে পেরেছিলেন। তিনি আমায় বেশ সাহস দিলেন এবং পরে অনেকবার খবরও নিয়েছেন। এই দিনগুলোতে যেমন নাটক-সিনেমা দেখেছি। তেমনি আল্লাহর কাছে কেঁদেছি প্রতিদিনই। রোজা রাখতে না পারায় বেশ কষ্টও পেয়েছি মানসিকভাবে। কয়েকজন প্রিয় মানুষের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময়ও কেঁদেছি হু-হু করে। তবে মনোবল হারাইনি এক মুহূর্তের জন্যও। 

বার বার মনে হয়েছে, আমাকে যুদ্ধ করেই বাঁচতে হবে। এ ভাইরাসকে পরাজিত করতেই হবে। তবে বার বার মন খারাপ হয়েছে পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য। বিশেষ করে আমার ১১ মাস বয়সী ও সাত বছর বয়সী ছেলে দুটোর জন্য। ভয় হতো যদি আমার কাছ থেকে তারা সংক্রমিত হয়! তাহলে কি করবো। কোথায় যাবো। ইত্যাদি, ইত্যাদি। ১৭ মে থেকে অবশ্য আমার স্ত্রী, ছোট ভাই -ওদের দুজনের প্রায় সব ধরনের উপসর্গ ছিল। কিন্তু সেগুলো সহনীয়। এজন্য আমরা সবাই একই রকম খাবার খেয়েছি। একই নিয়মে চলেছি। একই চিকিৎসা নিয়েছি। প্রত্যেকেই মাস্ক ব্যবহার করেছি। পরবর্তীতে আমার ছোট ভাইয়ের অবশ্য নেগেটিভ এসেছে। সেটা ৪ জুনে।

শুরুর গল্প: শুরুর গল্পটা এমন...। ১০ মে, অফিসে কাজ করছি। আসরের নামাজের জন্য চেয়ার থেকে উঠলাম। মাথা চক্কর দিল। এমনটা এর আগে কখনো হয়নি। ভাবলাম রোজার কারণে হতে পারে। কিছু সময় আবার চেয়ারে বসলাম। মিনিট পাঁচেক পরে আবার উঠলাম। এবার ওযু করে নামাজ শেষে আবার কাজে বসলাম। এরইমধ্যে ইফতারের সময় ঘনিয়ে এলো। আমি বাসা থেকে কিছু ইফতারি আইটেম নিয়ে যেতাম রেগুলার। অফিস থেকে যেটা সরবরাহ করা হতো, সেখান থেকে দু'একটা খেতাম। সেদিন শুধু খেজুর, শরবত আর কলা খেলাম। অনেকটা জোর করেই। ভাবলাম রোজার ক্লান্তি। বেশি করে গরম পানি পান করলাম। আমি এমনিতেই প্রায় সারাবছর কুসুম গরম পানি পান করি। গরম পানিতে গোসলও করি। সেদিন বাসা থেকে নেয়া সবজি খিচুড়িটাও খেলাম জোর করেই। খেতে গেলেই বমি চলে আসতো। রাতে বাসায় ফিরলাম। আর কোন সমস্যা বোধ করলাম না। কিন্তু রাতে ঘুম হলো না। শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা। বিশেষত পিঠে। আমি ভাবলাম বোধ হয় ব্যাক পেইন। পেইন কিলারও খেলাম সেহরীতে। 

পরদিন অফিসে গেলাম যথারীতি। সেদিন আর কোন সমস্যা নাই। কিন্তু ১১ মে রাতেও ঘুম হলো না। শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা। জ্বর জ্বর ভাব। কিন্তু জ্বর নেই। দিনটা কেটে গেল। পরদিন ১২ মে। বিকালবেলা শরীরে কোন বল পাচ্ছি না। কোন রকমে আসরের নামাজ পড়ে চেয়ারে হেলান দিয়ে সময় গুণছি। কখন ইফতার হবে। প্রচণ্ড পানির পিপাসা। গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। কষ্ট করে সময়টা পার করলাম। কিন্তু ইফতারিতে কিছু খেতে পারলাম না। বাসায় ফিরলাম। সেহরী খেলাম ঠিকমতো। পরদিন ১৩ মে বাসায় থেকে অফিস করছি। দুপুরের পর হঠাৎ গায়ে জ্বর। এরইমধ্যে শরীরের ব্যথাটা বেড়েছে। সামান্য গলা ব্যথাও মনে হলো। তবে কাশি ছিল না। আমার স্ত্রীর সাথে শেয়ার করলাম। বললাম আমার শরীরটা খুব দুর্বল। হাত পা নাড়াতে কষ্ট হচ্ছে। তার পরামর্শে জোহরের নামাজের পর রোজাটা ভেঙে ফেললাম। জ্বরের জন্য নাপা খেলাম। ঘণ্টাখানেক পর জ্বর চলে গেছে। কিন্তু শরীর দুর্বল। ইতফারের সময় কিছু মুখোরোচক খাবার খেলাম। প্রচুর পানি খেলাম। কিন্তু পিপাসা যাচ্ছে না। আবার জ্বর জ্বর লাগছে। কিন্তু থার্মোমিটারে দেখি কোন জ্বর নাই। তাপমাত্রা ৯৭.৫ ডিগ্রী।

এবার ডিআরইউ সেক্রেটারি রিয়াজ চৌধুরীকে ফোন করে বললাম- আমার শরীরটা কেমন জানি করছে। কোভিড-১৯ টেস্ট করাতে চাই। তিনি বললেন, আরে না! আপনার তেমন কিছু হয় নি। ভয় পাইয়েন না। তবে টেস্ট করান। রাতে খালিদ সাইফুল্লাহ ফোন করে বললেন- ভাই কাল সকালে চলে আসেন টেস্ট করাতে। সেদিন সেহরীর সময় আবারো জ্বর আসল। নাপা খেলাম সেহরী খেয়ে। ১৪ মে সকালে ডিআরইউ গেলাম। রিক্সাযোগে স্যাম্পল দিয়ে ইচ্ছে করেই হাঁটলাম কাকরাইল পর্যন্ত। ভাবলাম, দেখি কোন ক্লান্তি আসে কিনা। না, মনে হলো সব ঠিকঠাক। বাসায় ফিরে গোসল করে রোজা ভেঙে ফেললাম। আমার ছেলে কল্প আর স্ত্রীকে বললাম- আমার সাথে আপাতত তোমাদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ বন্ধ থাকবে। রেজাল্ট না পাওয়া পর্যন্ত আলাদা থাকি। একা এক ঘরে দরজা লাগিয়ে থাকতে প্রথমে বেশ কষ্টই হচ্ছিল। 

এখানে বলে রাখা ভালো, আমি কিন্তু অফিস কামাই করিনি। প্রতিদিনই নিউজ দিচ্ছি বাসায় বসে বসে। মোবাইল ফোন, মেইল, ফেসবুকের মাধ্যমে সোর্সদের সাথেও যোগাযোগ রাখছি। এরইমধ্যে অফিসকে জানিয়েছি আমার সার্বিক অবস্থা। চিফ রিপোর্টার বললেন- তুমি বাসায় থেকে কাজ করো। যাইহোক, ১৪ মে থেকে ১৬ মে কেটে গেল একা এক ঘরে। নিজের খাবার প্লেট, বাটি, মগ, চামচ সব আলাদা করে ফেলেছি এরইমধ্যে। আমার ছেলেরা কাছে আসার জন্য অনেক কান্নাকাটি করতো। কিন্তু নিতাম না। দরজার ওপার থেকেই বলতাম বাবা অসুস্থ। কদিন পরে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ঐ কদিন আমার কোন উপসর্গই ছিল না। আমি সম্পূর্ণ সুস্থ বোধ করেছি। 

এ সময় আমার অফিস কলিগরা অনেকেই ফোন করে জানতে চেয়েছেন আমার অবস্থা। আমি বলেছি। রিপোর্ট আসেনি এখনো। তবে আমি সুস্থ আছি। ১৭ মে দুপুরে যখন রেজাল্ট পেলাম। তখন মাথায় যেন বাজ পড়লো। কাকে জানাবো, কি করব! এর জন্য অন্তত আধা ঘণ্টা সয়ম চুপচাপ খালি ভেবেছি। অবশেষে স্ত্রীর সাথে শেয়ার করেছি। আর বলেছি, ‘ধৈর্য্য ধরে মোকাবেলা করতে হবে। চিন্তা করো না। আমি সুস্থ বোধ করছি।’ সেদিন বিকাল থেকেই মূলত: আমি শ্বাসকষ্ট অনুভব করতে থাকি। যা ২৫ মে পর্যন্ত ছিল।

লেখক- সাংবাদিক।

এনএস/


** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি