ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধ করুন!

মানিক মুনতাসির

প্রকাশিত : ১১:১০, ৪ মে ২০২১ | আপডেট: ১১:১৩, ৪ মে ২০২১

আপনি কারও পক্ষে কিংবা বিপক্ষে বলতেই পারেন। এটা আপনার ব্যক্তি স্বাধীনতা। কিন্তু তার আগে ভাবা উচিৎ, আপনি যা বলছেন তার সত্যতা এবং যৌক্তিকতা কতটুকু। আপনার অনুমান নির্ভর মন্তব্যের দরুণ নিরপরাধ ব্যক্তি যদি ক্ষতিগ্রস্ত হন, তার দায়ভাব আপনারই ওপর বর্তাবে। আর কাউকে ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি অপরাধী বলতে পারেন না, যতক্ষণ তা আদালতে প্রমাণিত না হয় এবং যদি বিষয়টি থাকে তদন্তাধীন এবং বিচারাধীন।

আবার চোখে দেখা অপরাধ আর না দেখা অপরাধের বেলায় সেটা ভিন্ন হতে পারে। তবে এখানেও কথা আছে- সব সময় ঘটনার মূল কাহিনী সাদা চোখে ধরা পড়ে না। যার ফলে মূল অপরাধী অনেক সময় দৃষ্টির আড়ালেই থাকে।

এবার আসুন যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় মেতে আছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলি- এসব নিয়ে মাতামাতি না করে নিজের চেহারাটা আয়নায় দেখুন। আর যে কোনও ঘটনা ঘটলে সেটা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। 

আপনি সাংবাদিক, ধরে নিলাম আপনার অনেক ক্ষমতা। আপনি অনেক তথ্য জানেন, পারলে সেগুলো নিরপেক্ষভাবে পত্রিকায় প্রকাশ করুন। ঘটনার পরতে পরতে ইচ্ছেমত রং মাখিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াকে না মাতিয়ে নিজের চরকায় তেল দিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধু না সেজে নিজের বুকে হাত দিয়ে বলুন, আপনি আসলেই কি চান। ঘটনার সাথে কোনওভাবেই জড়িত নন এমন কাউকে ফাঁসিয়ে অন্য কাউকে খুশি করাতে চান, নাকি কারও ভায়া হিসেবে কাজ করছেন সেটাও ভাবুন।

কে দায়ী, কে দোষী- এটা প্রমাণ করার দায়িত্ব পুলিশ আর আদালতের। দয়া করে সে কাজটা সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে নিজের মনগড়া কথা প্রচার করবেন না। এতে বরং শুধু বিদ্বেষ আর বিভ্রান্তিই ছড়াবে। কোনও একটি পক্ষ এরমধ্যে আবার মজাও নিতে পারে। সেটাও মাথায় রাখুন। আজকে ফেসবুক আছে, তাই যা ইচ্ছা লিখে দেবেন। যাকে ইচ্ছা ফাঁসিয়ে দেবেন। এসব স্বেচ্ছাচারী মনোভাব ছাড়ুন।

আর যারা বিদেশের মাটিতে বসে অনুসন্ধানের নামে গু-গোবর ভরা মনগড়া কিছু বিষয় নিয়ে ইউটিউব আর সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তোলার চেষ্টা করছেন, তাদেরকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলেই মনে হয়েছে। এসব গোঁজামিল মার্কা প্রতিবেদন বানিয়ে জনগণকে সাময়িক এক ধরনের চমক দেয়া ছাড়া আর কিছুই করা যায় না। 

দুই/তিনটি স্টিল ছবি দিয়ে ভিডিও বানিয়ে নিজের মতো বাক্য বসিয়ে দিলেই সেগুলো আর যাই হোক অনুসন্ধান হয় না। অনুসন্ধানের নামে এসব দু-পয়সা কামানোর ধান্দাবাজী ছাড়ুন।

এনএস/


** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি