প্রগতিশীল চিন্তা ধারার অগ্নি-পুরুষ শেখ মণি
প্রকাশিত : ১৭:২৮, ৩ ডিসেম্বর ২০২১
শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন আর আদর্শে অনুপ্রাণিত শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি ছিলেন বহুমূখী প্রতিভার অধিকারী। ক্ষণজন্মা এই মানুষটি তাঁর ছোট জীবনের নানাবিধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রতিভার পরিচয় দিয়েছিলেন। ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ, লেখক ও সাংবাদিক সকল ক্ষেত্রেই আমরা তাঁর মধ্যে সমাজতান্ত্রিক ভাবধারা, বিজ্ঞানভিত্তিক চিন্তাধারা, সৃজনশীলতার ও সংস্কৃতিমনার পরিচয় পাই।
বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণায় ষাটের দশকে তিনি যখন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন তখন থেকেই তিনি আইয়ুব খান- মোনায়েম খানদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের মূল অস্ত্র ছিলেন স্নেহধন্য শেখ মণি। মামা বঙ্গবন্ধুর ন্যায় মানুষকে সঙ্গবদ্ধ করার অসামান্য ক্ষমতা ছিল তার মধ্যে। তার প্রমাণ আমরা পাই ৬২’-এর শিক্ষা আন্দোলনে, ৬৬’এর ছয় দফা আন্দোলনে, ৭০’এর সাধারণ নির্বাচন ও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে। তিনি যে সৃজনশীলতা ভালবাসতেন তা আমরা দৈনিক “বাংলার বাণী”, “সাপ্তাহিক সিনেমা” “বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ” প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অনুভব করতে পারি। তাঁর লিখনীর ভিতর দেশপ্রেম, কারা দেশের অভ্যন্তরে ও বাইরে দেশকে নিয়ে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, দেশের অর্থনীতি কোন দিকে যাচ্ছে, সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারীরা কিভাবে দূরনীতি করছে এ সকল সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় কি তা আমরা দেখতে পাই। তাঁর অনেক লেখার মধ্যে অন্যতম একটি আংশিক লেখা তুলে ধরলাম।
তিনি বলেছেন-‘রাজনৈতিক যুদ্ধে আমাদের পরাজিত করতে পারে এমন শক্তি বাংলাদেশে সহজে জন্মাবে না। কিন্তু আমাদের সমাজনীতি, অর্থনীতি যদি ব্যর্থ হয়ে যায় তাহলে রাজনীতিটাই টিকবে না।’
দেশের টেকসই উন্নয়ন, এমনকি দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ রাজনীতি ও অর্থনীতি নিয়ে যে প্রগাঢ় চিন্তা করতেন শেখ মনি- তার এ উদ্ধৃতি দ্বারা সহজেই তা বোধগম্য হয়।
সর্বোপরি, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন অকুতোভয় বীর সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম একজন দক্ষ সংগঠক ও মুজিব বাহিনীর প্রধান; যার নেতৃত্বে মুজিব বাহিনীর গেরিলা মুক্তিযোদ্ধারা ঢাকা-চট্টগ্রাম-কুমিল্লা-বরিশাল-সিলেটে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
স্বাধীন-সার্বভৌম লাল-সবুজের পতাকা খচিত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় এই মুজিব বাহিনীর গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অনস্বীকার্য।
যুদ্ধ-পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যুদ্ধফেরত যুবক মুক্তিযোদ্ধা ও যুবসমাজের কল্যাণের উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন শেখ ফজলুল হক মণি এবং তিনি হন এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
স্বল্পায়ু দার্শনিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শেখ ফজলুল হক মণি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেটে শাহাদাতবরণ করেন। বাংলাদেশের পললভূমিতে ‘ম্যাকিয়াভেলিয়ান প্রিন্স’ শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি ১৯৩৯ সালের ৪ ডিসেম্বর টুঙ্গিপাড়ার ঐতিহাসিক শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তার পিতার নাম শেখ নুরুল হক ও মাতার নাম শেখ আছিয়া বেগম। শেখ আছিয়া বেগম ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় বোন।
শেখ ফজলুল হক মণি ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য ছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাকে অনেক স্নেহ করতেন ও ভালোবাসতেন। ছাত্র অবস্থাতেই শেখ মণি মেধার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। তিনি ঢাকার নবকুমার ইনসটিটিউট থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন। ১৯৫৮ সালে জগন্নাথ কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন।
১৯৬০ সালে তিনি বরিশালের বিএম কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। শেখ মণি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ছাত্র ছিলেন।
১৯৬২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ এবং ১৯৬৩ সালে আইন বিষয়ে ডিগ্রি লাভ করেন। মামা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন তুখোড় ছাত্রনেতা, যুবনেতা ও আওয়ামী লীগ নেতা। তাই ছোটবেলা থেকেই শেখ মণি আইডল বা আদর্শ ছিলেন বঙ্গবন্ধু।
তিনি বঙ্গবন্ধুকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন; তার চোখের ভাষা সহজেই বুঝতে পারতেন। ছাত্রজীবন থেকেই শেখ মণি রাজনীতির প্রতি আগ্রহী ছিলেন। রাজনীতির প্রতি গভীর আগ্রহ আর দেশের প্রতি অগাধ প্রেম দেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বড় বোন শেখ আছিয়া বেগমের কাছ থেকে শেখ মণিকে চেয়ে নেন। বড় বোন আছিয়া বেগম বঙ্গবন্ধুর অনুরোধ অগ্রাহ্য করতে পারেননি; তিনি শেখ মণিকে বঙ্গবন্ধুর হাতে তুলে দেন।
’৬০-এর দশকে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশেই আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতি শুরু করেন শেখ মণি। তখন আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের কারণে রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল। ১৯৬০ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত শেখ মণি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন সাধারণ ছাত্রদের প্রাণের স্পন্দন।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে তিনি বারবার অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন। ১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং তিনি ছয় মাস কারাভোগ করেন। আইয়ুব-মোনায়েম খান তাকে ব্যক্তিগতভাবে অন্যতম বড় শত্রু বিবেচনা করতেন।
ষাটের দশকের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি আন্দোলনে শেখ মণি ভূমিকা রেখেছেন। বাংলার কুলাঙ্গার মোনায়েম খানের হাত থেকে সার্টিফিকেট না নেয়ার আন্দোলনে শেখ মণি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যারা মোনায়েমের হাত থেকে উপাধিপত্র নেয়ার জন্য সভাস্থলে হাজির হয়েছিলেন, তারা উল্টো শেখ মণি নেতৃত্বে সভাস্থল বয়কট করেন এবং মোনায়েম খানকে প্রকাশ্যে বর্জন করেন; উপাধিপত্র না নিয়েই তারা ফিরে যান। এতে ক্রুদ্ধ মোনায়েম খান ক্ষমতার দম্ভে শেখ ফজলুল হক মণি ডিগ্রি প্রত্যাহার করে নেন। পরে সুপ্রিমকোর্টের রায়ে তিনি ডিগ্রি ফিরে পান।
শুধু তাই নয়, আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের ফলে রাজনীতিতে বড় ধরনের আঘাত আসে। অর্থাৎ ১৯৬০ থেকে ১৯৬৩ সাল এই তিন বছরের মধ্যে আড়াই বছরই প্রকাশ্য রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল। আর এ সময় গোপনে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালু রেখে ছাত্র ইউনিয়ন অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছিল। তাই দলকে শক্তিশালী করতে গোপন রাজনীতির বিকল্প ছিল না। তাই শেখ মণি প্রধান কাজ হয়ে পড়ল ছাত্রলীগকে পুনরুজ্জীবিত করা। যেহেতু রাজনীতি সংকটে; তাই শেখ মণি ছাত্রলীগকে ভিন্ন নামে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করেন।
তিনি শিল্প ও সাহিত্য সংঘের আড়ালে ছাত্রলীগকে পুনরুজ্জীবিত করার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। এভাবে তিনি একটি বাহিনী গঠন করলেন এবং এই বাহিনীকে তিনি ছাত্রলীগ কর্মী আখ্যায়িত করতেন; যাকে পরে সিরাজুল-রাজ্জাক সাহেবরা ‘নিউক্লিয়াস’ নাম দিয়েছিলেন।
নিউক্লিয়াস ছিল পাঁচ বা দশ সদস্যের বিশেষ কর্মী দল, যারা পূর্ব-পাকিস্তানের স্বাধীনতা কামনা করে। সঙ্গত কারণে প্রায় সব ছাত্রলীগ কর্মীই এ মনোভাব পোষণ করতেন। শেখ মণি বলতেন, তারা তাদেরই ছাত্রলীগে নিতেন; যারা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব এবং দেশের স্বাধীনতা কামনা করত।
শেখ মণি রাজনৈতিক জীবনের অন্যতম বড় কৃতিত্ব ১৯৬৬ সালের ৭ জুন ৬ দফার পক্ষে হরতাল সফল করে তোলা। বঙ্গবন্ধু তখন কারাগারে। তিনি যেহেতু ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বের দায়িত্ব পালন করছিলেন; সেইসঙ্গে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের শ্রমিকদের হরতালের পক্ষে তিনিই সংগঠিত করেছিলেন।
ওই হরতাল সফল না হলে বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম হয়তো পিছিয়ে যেত। মোনায়েম খান শেখ মণিকে গ্রেফতার করেন; তিনি মুক্তি পান ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান সফল হওয়ার পর। শেখ মণি ছিলেন ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনমুখী কর্মসূচির অন্যতম প্রণেতা। সমাজতান্ত্রিক আদর্শে বিশ্বাসী শেখ মণি ছিলেন দৈনিক বাংলার বাণীর প্রতিষ্ঠাতা। অনেক প্রথিতযশা লেখক-কবি-সাহিত্যিক দৈনিক বাংলার বাণীতে লেখালেখি করে পরিচিতি লাভ করেছিলেন।
শেখ মণি ‘বাংলার বাণী’তে ‘দূরবীনে দূরদর্শী’ নামে কলাম লিখতেন। পরবর্তীকালে বিশিষ্ট কলাম লেখক, রাজনীতিক ফকির আবদুর রাজ্জাক শেখ মণির কলামগুলোর একটি সংকলন সম্পাদনা করে প্রকাশ করেছেন।
শেখ মণি সম্পর্কে কবি আসাদ চৌধুরী বলেছেন- সেই একটা সময় ছিল; ত্যাগ-ব্রতের রাজনীতিতে তাদের ঘিরে যারা জড়ো হতেন, তাদের মধ্যে গভীর দেশপ্রেম ছিল।
রাজনীতি চর্চার জন্য শিক্ষা ও আদর্শ ছিল, চরিত্রে সংহতি ছিল। তারা দেশের মানুষকে ভোটার বা রাজনীতিকে ক্ষমতার সিঁড়ি ভাবতেন না, বড় করে দেখতেন। আমাদের মণি ভাই এই দলের মানুষ; মতান্তরে গিয়ে দাঁড়ায়নি কখনও। মণি ভাইকে আমার সশ্রদ্ধ সালাম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর শেখ মণি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন।
‘দৈনিক বাংলার বাণী’ ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল অভিন্ন- শোষণহীন সোনার বাংলা গড়ে তোলা। তিনি বঙ্গবন্ধুর বাকশালের অন্যতম সম্পাদক ও প্রণেতা ছিলেন। আজ হয়তো ‘বাংলার বাণী’ পত্রিকা বন্ধ; কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। তিনি ছিলেন একাধারে সাংবাদিক, কলাম লেখক, ছোট গল্পকার ও তাত্ত্বিক দার্শনিক।
ছিলেন বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম পুরোধা। তার প্রতিষ্ঠিত সুস্থ বিনোদনধর্মী সাপ্তাহিক ‘সিনেমা’ পত্রিকা বাঙালি সংস্কৃতির পরিশীলিত বুনিয়াদ নির্মাণে ভূমিকা রেখেছিল। তিনি মনেপ্রাণে চেয়েছিলেন স্বাধীনতা-পরবর্তী যুবসমাজকে সৃজনশীল ও আদর্শ দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলতে।
আমাদের দঃখ ও কষ্টের জায়গা একটাই- কোনো নিরাপত্তা দিয়েই আমরা বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও মণি ভাইকে ধরে রাখতে পারিনি। তবে তার চিন্তা ও দূরদর্শিতা যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি, তাহলেই তাকে স্মরণ করা সার্থক হবে। শেখ মণি এবং বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কটা ছিল যেন আত্মার সঙ্গে আত্মার।
ঘাতকরা জানত, বঙ্গবন্ধুকে আঘাত করতে হলে শেখ মনিকে আগে আঘাত করতে হবে। তাই তো ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগে ঘৃণ্য বিপথগামী ষড়যন্ত্রকারীরা শেখ মণি’র বাসায় আগে হামলা করে শেখ মণি’র সঙ্গে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণিকেও হত্যা করেছিল।
এভাবেই শেখ মণি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রতি তার দায়িত্ব শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে পালন করেছিলেন। ৪ ডিসেম্বর শেখ মণি’র ৮৩ তম জন্মদিন উপলক্ষে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
ঘাতকের বুলেট তাকে স্তব্ধ করলেও তাঁর কর্ম ও সৃষ্টিকে স্তব্ধ করতে পারে নি। আমরা নতুন প্রজন্ম শেখ মণি’র সৃষ্টি আর লিখনী থেকে প্রগতিশীল, বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণের দীক্ষা লাভ করতে পারি। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ চিন্তাশীল যুব সমাজ হিসেবে গড়ে উঠতে পারি।
লেখক: দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ
এসি
** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।