ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রের মূলনীতির মূলোৎপাটন

ড. মো. রফিকুল ইসলাম

প্রকাশিত : ১৯:৫৫, ১৪ আগস্ট ২০২২ | আপডেট: ০৮:১০, ১৫ আগস্ট ২০২২

বাঙালী জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার আন্দোলনের অগ্রদূত, বিশ্বের নির্যাতিত, নিপীড়িত, উপনিবেশিকতার নাগপাশে পিষ্ট জনগোষ্ঠীর বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । যার জন্ম না হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা হয়তো অর্জিত নাও হতে পারত । কিন্ত বাঙালী জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো যে, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্তের শিকার হয়ে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু তাঁর পরিবাবের সদস্যরা নির্মমভাবে শহীদ হন। 

এ হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে একটি সদ্য স্বাধীন দেশের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রার মৃত্যু হয়েছিল, স্বাধীন দেশ হিসেবে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দিকে ধাবিত হওয়ার সকল প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতরা সামরিক আইন জারি করে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের সংবিধানের বুকে ছুরি চালায়।

পরিবর্তন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূলমন্ত্রসমূহ, যা ছিল গণতন্ত্রের মূলমন্ত্রসমূহ হত্যার শামিল। ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ মুছে দিয়ে দেশকে একটি ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা শুরু করে। সামরিক শাসকেরা ধর্মভিত্তিক রাজনীতির উপর সাংবিধানিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে এবং জামায়াতে ইসলামীর মতো স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে তাদের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার অনুমতি প্রদান করে। এক কথায় ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুর হত্যা বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূলমন্ত্র, চেতনা, অগ্রযাত্রা ও গণতন্ত্রের কবর রচনা করে। 

প্রশ্ন আসতে পারে যে, একজন ব্যক্তির হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে কিভাবে একটি দেশের গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রের মূলমন্ত্রের মূলোৎপাটন হয়?

প্রথমত, বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের বেসামরিক প্রশাসনকেন্দ্রিক রাজনীতিতে প্রথম সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ ছিল । এই হত্যাকাণ্ডকে বাংলাদেশে একটি আদর্শিক মোড় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি নিছক হত্যাকাণ্ড নয়, এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল। হত্যাকারীদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য মূলত দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে বিচ্যুত করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করা। 

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরপরই সামরিক বাহিনী দেশের শাসনভার গ্রহণ করে, যা প্রায় ১৫ বছর ধরে চলতে থাকে। এ দীর্ঘ সময়ের শাসন দেশের অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অপ্রত্যাশিতভাবে থামিয়ে দেয়। বঙ্গবন্ধু রাজনীতিতে সামরিক শাসনের কুফল সম্পর্কে সজাগ ছিলেন। তিনি পাকিস্তান আমলে সামরিক শাসকদের নাগপাশ থেকে দেশকে মুক্ত করেন এবং জনগণকে স্বপ্ন দেখান গণতান্ত্রিকভাবে বাঁচবার। তিনি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। কিন্ত তাঁর স্বপ্ন ও ত্যাগ ১৫ আগস্টের পর শেষ হয়ে যায়।

দ্বিতীয়ত, ১৯৭৫ এর পর বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন ও সংবিধানের মূলনীতির পরিবর্তন হয়।

সংবিধানের ৬ অনুচ্ছেদ প্রবর্তন করে ‘বাঙালী র পরিবর্তে’ বাংলাদেশের নাগরিকদের ‘বাংলাদেশি’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

মরিক সরকার শাসনতন্ত্রের মূলনীতি ও বাঙালীদের জাতীয় পরিচয় ও সংস্কৃতির মূলে আঘাত করে। ধর্মনিরপেক্ষেতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মূল স্তম্ভ, কারণ সকল ধর্মের মানুষ যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেন। কিন্ত সংবিধানের ৮ অনুচ্ছেদ পরিবর্তন করে ধর্মনিরপেক্ষেতার স্থলে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ এবং সমাজতন্ত্রের পরিবর্তে ‘সামাজিক ন্যায়বিচার’ সংযোজন করা হয়। 

এ পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি তার মূল জায়গা থেকে সরে গিয়ে ধর্মভিত্তিক ও কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত হয়।

গণতন্ত্রের মূল ভিত্তিগুলো উপেক্ষিত হয়ে বাংলাদেশে একটি ধর্মভিত্তিক ও লুণ্ঠন ব্যবস্থা কায়েম হয়। কোনো অর্থেই এ হত্যা একজন মানুষ হত্যা মাত্র নয়; হত্যা করা হয় আমাদের মুক্তির স্বপ্ন; হত্যা করা হলো বৈষম্যহীন ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন।

তৃতীয়ত, বাংলাদেশে পঁচাত্তর পরবর্তী রাজনীতি ছিল হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের অনুসারীদের টার্গেট করে হত্যা করা হয়েছিল। এ তালিকা থেকে বাদ যায়নি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা। বঙ্গবন্ধুর চারজন প্রধান লেফটেন্যান্ট সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামান বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করে। ১৫ আগস্টের পর বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবরা জাতির চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। 

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর এ চার নেতার হত্যা প্রমাণ করে, হত্যাকারীরা সুপরিকল্পিতভাবে ১৫ আগস্টের প্রেক্ষাপট তৈরি করে, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করা; মুক্তিযুদ্ধ, দেশের স্বাধীনতার অগ্রণী নেতাদের হত্যা করা।

পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে সেনাবাহিনীর মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব ও সংঘাত তৈরি হয়। ২১ বার সামরিক অভ্যুত্থান হয়, যার কারণে প্রাণ হারায় বহুসংখ্যক সেনা সদস্য। কারণ, হত্যা মূলত হত্যার রাজনীতি সৃষ্টি করে।

বঙ্গবন্ধু তার বইতে উল্লেখ করেন, “রক্তের পরিবর্তে রক্তই দিতে হয়। একথা ভুললে ভুল হবে। মতের বা পথের মিল না হতে পারে, তার জন্য ষড়যন্ত্র করে বিরুদ্ধ দলের বা মতের লোককে হত্যা করতে হবে এ বড় ভয়াবহ রাস্তা” (শেখ মুজিবুর রহমান, ২০১৯: ৫৯-৬০)।

চতুর্থত, বঙ্গবন্ধু তাঁর সারা জীবন রাজনীতি চর্চার মাধ্যমে এ দেশে যে রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছিলেন তা ১৫ আগস্টের মধ্য দিয়ে ধ্বংস হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধু সুস্থ রাজনৈতিক চর্চায় বিশ্বাস করতেন। তিনি ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইয়ে উল্লেখ করেন, “রাজনীতি করতে হলে নীতি থাকতে হয়। সত্য কথা বলার সাহস থাকতে হয়। বুকে ও মুখে আলাদা না হওয়া উচিত” (শেখ মুজিবুর রহমান, ২০১৯: ৫৭-৫৮) । 

১৫ আগস্ট পরবর্তী সরকার জাতীয় মূল্যবোধকে বিকৃত করে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতার মূলমন্ত্র, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, জনগণের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা, সাম্য ও সমতার শিক্ষা ১৫ আগস্টের বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে শেষ হয়ে যায়। ধর্মনিরপেক্ষতা, যা ছিল সংবিধানের মূল স্তম্ভগুলির মধ্যে একটি, তা পরিবর্তন করা হয়। 

এ হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেকগুলো পরিবর্তন সূচিত হয়, যেমন বিচারহীনতার সংস্কৃতি, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বৈধতা প্রদান, স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতিতে আগমনের সুযোগ করে দেওয়া, মুক্তিযুদ্ধের সময়কার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের পথ রুদ্ধ করে দেওয়া । রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সামরিক শাসকের অধঃস্তন করে রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে গলাটিপে হত্যা করে ।

তারপর বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে আইনের শাসনের মৃত্যু হয়, যার ধারাবাহিকতা অনেকদিন বিরাজমান থাকে । ১৯৭৫ সালের সেপ্টেম্বরে একটি অধ্যাদেশ (Ordinance) জারির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার করার পরিবর্তে তাদেরকে পুরস্কৃত করেন তৎকালীন সামরিক শাসকরা। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রাণে বেঁচে যাওয়া তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পিতা হত্যার বিচার দাবি করেন । দেশে ও বিদেশে বিচারের জন্যে আবেদন নিবেদন করেন । কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় তাদের সেই বিচার পাওয়ার আহ্বান দেশের সামরিক শাসকদের কর্ণকুহরে প্রবেশে করতে পারেনি। বিচারের দাবি নীরবে-নিভৃতে কেঁদে ফিরেছে। অন্যদিকে, সামরিক শাসকরা ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে খুনিদের বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়।

১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ছিল একটি শোষণহীন ও সেকুলার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব । ১৯৭৫ সালে তাঁর হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার মূলমন্ত্ৰ থেকে দেশ সরে আসে ।  প্রতিষ্ঠা করা হয় ধর্মভিত্তিক বাংলাদেশ রাষ্ট্র । দেশের রাজনীতিতে ধর্মীয় দলগুলোর বিকাশকে উৎসাহিত করে । জামায়াতে ইসলামীর মতো দলগুলো যারা দেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করার জন্য কুখ্যাত এবং একাত্তরের যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে জোট করে মানুষকে নির্যাতন করে, তাদের রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেয়। 

১৯৭২ সালের সংবিধানে কোথাও ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম’ কথাটি লেখা ছিল না, যেটা বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর সংবিধানে সংযোজন করা হয়। ১৯৭২ সালের সংবিধানে আরেকটি বৈশিষ্ট্য ছিল ‘ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, কিন্তু বঙ্গবন্ধু পরিবর্তী বাংলাদেশে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম প্রবর্তন করা হয়। রাষ্ট্রকে ধর্মীয়করণের ফলে সামরিক শাসকগণ কতগুলো হিসাব মাথায় রেখেছিলেন, যেমন ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট কাজে লাগিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করা, স্বাধীনতাপন্থী দলগুলোকে বিধর্মী ও ভারতের তাবেদার প্রমাণ করা, ইসলামি দেশগুলো যারা এদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তাদের কৃপা লাভ করা।

এখানেই শেষ নয়, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর দেশে সামাজিক, রাজনৈতিক, ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি থেমে যায়। সেনাশাসন ও মুক্তিযুদ্ধ চেতনাবিরোধী শক্তি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে লণ্ডভণ্ড করে দেয়। অর্থনীতি ও রাজনীতিতে  দুর্বৃত্তায়ন শুরু হয়, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে থামিয়ে দেয়। বঙ্গবন্ধুর হত্যা রহস্য উন্মোচন দেশের ভবিষ্যৎ স্থিতিশীলতাঁর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল । কিন্তু সেটা না করে বিচারহীনতার সংস্কৃতি সৃষ্টি করে, যা দেশের স্থিতিশীলতা সম্পর্কে নিরাপত্তাহীনতা এবং উদ্বেগ  সৃষ্টি করেছিল। বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় তখন অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশের থেকে এগিয়ে ছিল । শুধুমাত্র নেতৃর্ত্ব ও দুর্বল শাসনব্যবস্থার কারণে দেশ অগ্রগামী না হয়ে পিছিয়ে যায়।

পরিশেষে একথা বলা যায় যে, বঙ্গবন্ধুর হত্যা নিছক একটি হত্যা ছিল না, এটা ছিল গভীর ষড়যন্ত্রের ফল । দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা একজন আদর্শবাদী নেতাকে  হত্যা করে, যিনি তাঁর দেশের মানুষের মুক্তির পাশাপাশি সারা পৃথিবীর নিপীড়িত মানুষের মুক্তির জন্যে ছিলেন সোচ্চার । বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের মিশ্রণে একটি সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যা তাঁর হত্যার মধ্যে দিয়ে শেষ হয়ে যায় । বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সকল বন্দোবস্ত করে জাতির পিতার হত্যার মধ্যে দিয়ে । অনেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হত্যার পর বাংলাদেশের কি ক্ষতি হয়েছে তার হিসাব করেছেন, কিন্তু তাঁর হত্যার হিসাব কষা সহজ নয় ও সম্ভবও নয় । তবে খুব সহজে বলা যায় যে, মুক্তিযুদ্ধের যে বাংলাদেশ, সে বাংলাদেশের মৃত্যু হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর হত্যার মধ্য দিয়ে ।

তথ্যসূত্র: শেখ মুজিবুর রহমান, (২০১৭), কারাগারের রোজনামচা, বাংলা একাডেমি, ঢাকা।  

লেখক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক।
 


** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি