ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

অবিশ্বাস ও অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উৎস সন্ধান

অরুণ কুমার গোস্বামী

প্রকাশিত : ১১:৪০, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২

আগামী ২০২৩ সালে অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেসব বিষয় জনক্ষেত্রে (পাবলিক স্ফিয়ার) আলোচিত হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অনির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান। এই সাথে স্বাধীনভাবে নির্বাচন পরিচালনার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা সম্পর্কেও কথাবার্তা চলে। এছাড়া ইলেক্ট্রোনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেয়া সম্পর্কেও আলোচনা হয়ে থাকে। 

ইভিএম সম্পর্কে ভিন্ন পরিসরে আলোচনা করা যেতে পারে। বর্তমান লেখায় অনির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পর্কে লেখা হচ্ছে। বলা বাহুল্য, স্বাধীনতার পর থেকে বিশেষ করে ১৯৭৫ সালে নির্বাচিত সরকার প্রধান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরে বলপ্রয়োগ এবং হত্যার মাধ্যমে যেসব অনির্বাচিত সরকারগুলো ক্ষমতায় এসেছে তাদের দ্বারাই নির্বাচনগুলো কলঙ্কিত এবং কলুষিত হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে বর্তমান লেখাটির লক্ষ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে অবিশ্বাস এবং অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মূল উৎস ও প্রেরণা অনুসন্ধান করা। 

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্বাচিত সরকারপ্রধান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর প্রধান হয়েছিলেন। এরপর সেই অনির্বাচিত জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল বন্দুকের মুখে বিচারপতি সায়েমকে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য করে নিজে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেন। রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতা দখল ও তা নিষ্কন্টক করার জন্য জেনারেল জিয়াউর রহমান সামরিক আদালতের মিথ্যা ট্রায়াল বসিয়ে কর্নেল তাহেরকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করেন। এটি ছিল জিয়ার নির্মমতার প্রাথমিক উদাহরণ। তাহেরকে যে পৈশাচিক পদ্ধতিতে হত্যা করা হয়েছিল তা ছিল মধ্যযুগীয় বিশ্বাসঘাতকতার প্রতীক। পরবর্তীকালে ১৯৭৭ সালের অক্টোবরে এই ধরনের নিষ্ঠুরতার চরম বহিঃপ্রকাশ হয়েছিল যখন হাজার হাজার বিমান এবং সেনা সদস্যদের প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা এবং তা বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। হতভাগ্য এই মানুষগুলো কখনই জানতে পারে নাই, কোন অপরাধে তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলো। এই হতভাগ্য মানুষগুলোর আত্মীয়স্বজনদের কেউ কেউ পরবর্তীতে ঘটনার প্রায় দুই দশক পরে জানতে পেরেছিল যে তাদের পিতা/স্বামী/পুত্র/ভাইদের সংক্ষিপ্তভাবে ট্রায়াল করে ফাঁসি দেয়া হয়েছে এবং দ্রুত ঢাকা ও কুমিল্লার নামহীন কবরে সমাহিত করা হয়েছে। 

অনির্বাচিত জিয়াউর রহমান নিজেকে নির্বাচিত দেখানোর জন্য কারচুপির নির্বাচন ‘রেফারেন্ডাম’ আয়োজন করেন। ১৯৭৭ সালের ৩০ এপ্রিল জেনারেল জিয়া তার শাসনকে বেসামরিক করতে ১৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। দক্ষিণপন্থীদের সাথে নিয়ে একদিকে রাজনৈতিক বিরোধিতাকে দুর্বল করা এবং অন্যদিকে তার ক্ষমতার বৈধতা আদায়ের জন্য জিয়া ১৯৭৭ সালের মে মাসে ‘হ্যা-না’ ভোট বা রেফারেন্ডাম/গণভোটের আয়োজন করেন। এভাবেই ‘অবিশ্বাসের’ শিকড় দেশের রাজনীতিতে প্রবিষ্ট হতে থাকে। 

অ্যামস্টারডম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক টম ফান ডের মির (২০১৭) তার ‘পলিটিক্যাল ট্রাস্ট অ্যান্ড দ্য ক্রাইসিস অব ডেমোক্র্যসি’ শীর্ষক গ্রন্থে বলছেন, ‘গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার জন্য রাজনৈতিক বিশ্বাস বা আস্থা একটি প্রয়োজনীয় পূর্বশর্ত হিসাবে বিবেচিত হয়। বিশ্বাসের বিলুপ্তি প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রের গুণগতমানকে মৌলিকভাবে চ্যালেঞ্জ করে।’ এ সম্পর্কে আমার পর্যবেক্ষণ উল্লেখ করেছি ‘ইনস্টিটিউশনলাইজেশন অব ডেমোক্র্যাসি ইন বাংলাদেশ’ গ্রন্থে। সেখানে আমি বলেছি, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘আস্থা’ বা ‘বিশ্বাস’ অবিশ্বাসে পরিণত হয়েছে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ সালে খুনি খন্দকার মোশতাক কর্তৃক জারি করা ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ এর মাধ্যমে তা প্রাতিষ্ঠানিকরূপ লাভ করে।’ 

এই অধ্যাদেশটি নির্বাচিত সরকার প্রধান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের বিচারের আওতা থেকে মুক্তি দেয়। বাংলাদেশে আইনের শাসন কার্যকর করার পথে অন্যতম বড় বাধা এই কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত করার বিষয়টি অনুমোদিত হয়। যার ফলে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের খুনিদের আশ্রয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া অব্যাহত থাকে। 

জিয়াউর রহমান শুধু বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নিরাপত্তাই দেননি, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াত ইসলামী ও রাজাকারদেরও রাজনৈতিকভাবে বৈধতা দিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রথম সামরিক শাসকের এসব কর্মকাণ্ড দেশে ‘অবিশ্বোসের’ বীজ বপন করেছে। আর স্বাভাবিকভাবেই বালাদেশের রাজনীতিতে এর গভীর প্রভাব পড়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থাহীনতা বা অবিশ্বাসের কারণে রাজনীতি আগের চেয়ে কঠিন হয়ে পড়েছে।  বোধ করি এ কারণেই জীবদ্দশায় জিয়াউর রহমান রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতিকে কঠিন করার কথা বলতেন। স্বৈরাচারী শাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকাকালে একবার সবচেয়ে কুখ্যাতভাবে জিয়া বলেছিলেন যে, তিনি রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতিকে কঠিন করে তুলবেন। এটি করতে গিয়ে জিয়া ডান-বাম রাজনীতিবিদদের কিনে নেন। রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখলের পরপরই তিনি যে দল গঠন করেছিলেন তা দুর্নীতিগ্রস্ত আওয়ামী লীগার, হতাশ মাওবাদী এবং যুদ্ধকালীন সহযোগীদের (রাজাকার, আলবদর, আল শামস এবং পিস কমিটির সদস্য) আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠে। জিয়ার আর্থিক সততা নিয়ে কথিত ‘ভাঙ্গা স্যুটকেস ও ছেঁড়া গেঞ্জির’ কাহিনীর অবতারণা করা হয়। কিন্তু এই সাথে এটিও সুবিদিত যে জিয়া এটি বিশ্বাস করতেন যে, প্রতিটি রাজনীতিবিদ একটি মূল্য ট্যাগ বহন করেন এবং তিনি (জিয়া) যদি সেই মূল্য বা দাম পূরণ করতে পারেন তবে যে কাউকে তিনি কিনতে পারেন। এভাবেই জিয়া জনগণের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত রাজনীতিবিদদের কিনে নিয়ে তার রাজনৈতিক দলটি গঠন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। 

তার পাঁচ বছরের শাসনে জর্জরিত ৩০টি সেনাবিদ্রোহের একটিতে জিয়া নিহত হন। জেনারেল এইচ এম এরশাদ তখন সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন এবং প্রায় সব অভ্যুত্থান পরিকল্পনাকারীকে তাদের সহকর্মী সেনাসদস্যরা যেভাবে হত্যা করেছিল তাতে এরশাদের ভূমিকা নিয়ে অনেক জল্পনা তৈরি হয়েছে। এই দাবি করার আরও কারণ রয়েছে- জিয়ার হত্যার কয়েক মাস পর এরশাদ দুর্বল রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখল করেন। ১৯৯৭ সালে ফুলবাড়িয়ায় এক সভায় জেনারেল জিয়ার বিধবা স্ত্রী খালেদা জিয়া এরশাদকে জিয়া হত্যার অন্যতম সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করেছিলেন। 

জিয়া ও এরশাদের মধ্যে সাদৃশ্য যে কারো নজর পড়ে; তারা উভয়েই রাজনীতি করতেন বিভিন্ন সেনানিবাসকে কেন্দ্র করে।  যতদিন তাদের প্রতি ব্যারাকের সমর্থন ছিল ততদিন জনগণ তাদের কাছে কোনো ব্যাপারই ছিল না। একটি চরম প্রহসন ও নির্লজ্জ গণভোটে জিয়া মোট প্রদত্ত ভোটের ৯০ শতাংশের বেশি ভোট নিয়েছিলেন/পেয়েছিলেন; অপরদিকে এরশাদের মধ্যে একটু বেশি পরিমানে লজ্জা ছিল, তাই তার নিজের গণভোটে এরশাদ নিজেকে ৮০ শতাংশের বেশি ভোট দিয়েছেন। জিয়া রাজনীতিবিদদের কিনে নেয়ার পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও সরকারি প্রশাসনকে ব্যবহার করেছেন। এরশাদও জিয়ার এই পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন। 

এভাবে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর থেকে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী সামরিক ও বেসামরিক শাসকদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল এবং প্রবর্তিত ‘অবিশ্বাসী’ রাজনৈতিক স্টাইল রাজনীতিতে ‘অবিশ্বাস’ আমদানি করে রাজনীতিকে স্থায়ীভাবে কলুষিত ও কঠিন করে দিয়েছে। 
অবিশ্বাসের প্রাধান্যের কারণে পরস্পরের প্রতি বিশ্বাসের বিলুপ্তি ঘটে এবং শেষ পর্যন্ত তা নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যেকোনো দলীয় সরকারের প্রতি অবিশ্বাস বা অনাস্থার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পরবর্তী সময়ে আস্থার অভাবের কারণে দেশের রাজনৈতিক শক্তিগুলো সাধারণ নির্বাচন (১৯৯১-২০০৮) অনুষ্ঠানের জন্য নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অস্থায়ী ব্যবস্থা প্রণয়নের পথে প্রবাহিত হয়। 

যাইহোক, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের প্রক্রিয়া পরীক্ষা করার জন্য আমাদের ১৯৯০-এর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের রাজনৈতিক প্রক্রিয়াগুলো বিবেচনায় নিতে হবে। গণতন্ত্রের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সমাজ ও রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক বোঝার জন্য প্রক্রিয়াগুলো গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এটি প্রত্যাশিত ছিল যে, ১৯৯০-এর দশকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সফলভাবে গণতন্ত্রীকরণ-গণতান্ত্রিক উত্তরণের দুটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ের একটি পুনরুদ্ধার করেছে। তবে, যে অনাস্থার বীজ ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বপন করা হয়েছিল তা পরবর্তীকালে ফল দেয়া শুরু করেছিল। সাবেক রাষ্ট্রপতি জেনারেল এইচ এম এরশাদ ক্ষমতা ত্যাগে বাধ্য হওয়ার সময় হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। ১৯৭৫ সালের পরে অন্ধকারময় রাজনৈতিক পরিবেশ থেকে রেহাই পাবার জন্য সম্ভবত এই পথটিকেই সেসময়ের রাজনৈতিক শক্তি সঠিক মনে করেছিল। 

বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর অনুষ্ঠিত বিশেষ করে মাগুরা-২ সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচন নির্বাচিত দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ন্যক্কারজনক উদাহরণ সৃষ্টি করে। ফলে অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা পুনরায় দেখা দেয়। সেই অনুযায়ী ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বিএনপি সরকারের অধীনে একদলীয় কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচিত হয় সেই ষষ্ঠ জাতীয় সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান রেখে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী পাস হয়েছিল। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কর্মকালীন নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতাও সন্তোষজনক নয়। 

এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছিল সম্পূর্ণ অস্থায়ী। এ প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট ২০১১ সালের ১০ মে এক ঐতিহাসিক রায়ে ১৫ বছরের পুরনো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাংবিধানিক বিধানকে অকার্যকর এবং সংবিধানের অতি বিরোধী বলে ঘোষণা করে। এরপর ২০১১ সালের ৩০ জুন নবম জাতীয় সংসদে ১৫তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করা হয়।  তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হওয়া সত্ত্বেও বিএনপি এবং অন্যান্য হাতে গোনা কতিপয় দল অনির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলছে।

অনাস্থার বীজবপন এবং তা প্রতিষ্ঠানিকরূপ দেয়ার জন্য দেশের প্রথম সামরিক শাসক হত্যা, গুম ও রাজনীতিবিদদের কিনে নেয়া প্রভৃতির মাধ্যমে ‘রাজনীতিকে কঠিন’ করার যে অঙ্গীকার করেছিলেন বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচনের প্রশ্নে একগুঁয়েমি অবস্থান কি সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়নেরই পদক্ষেপ?! বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অনুসারী রাজনৈতিক শক্তিকে অবিশ্বাসের রাজনীতিকে পুনস্থাপিত করার এই একগুঁয়েমি রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে হবে। 

লেখক: সাবেক ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ এবং সাবেক চেয়ারম্যান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

এএইচএস
 


** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি