করোনা আতঙ্ক: প্রচার ও বাস্তবতা
প্রকাশিত : ১২:১৩, ২৭ মার্চ ২০২০ | আপডেট: ১২:২১, ২৭ মার্চ ২০২০
যখন চারপাশে বিভ্রান্তি থাকে, ভুলের ছড়াছড়ি থাকে, আতঙ্কের ছড়াছড়ি থাকে, তখন মানুষ আশ্বস্ত হতে চায়। স্বাভাবিকভাবেই আশ্বস্ত একজন মানুষের সাথে যত মানুষ থাকবে, তার আস্থা-আশ্বস্ততা তত বাড়বে এবং এজন্যেই সৎ সঙ্গে একাত্ম থাকার, সৎ সঙ্গে মিশে থাকার গুরুত্ব এত!
আশ্বস্তের অপরদিকে আছে আতঙ্ক। আসলে আতঙ্কের একটা গ্রামার আছে। কোথাও কোনো ঘটনা ঘটলে প্রথমে জিনিসটা যে কত ভয়াবহ, ওখানে কত লোক মারা গেছে, কত ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে, কত ধ্বংস হয়েছে, কত অসহায় হয়ে গেছে- এটাকে প্রচার করা হয়। এবং এটাকে শুধু ফোলাতে ফাঁপাতে থাকে। কিন্তু যখন বেশি ফুলতে ফুলতে জিনিসটা ফেটে যায়, আসল সত্যটা বেরিয়ে আসে, তখন আবার বলা শুরু হয় যে, ভবিষ্যতে কত ভয়াবহ হতে পারে! কত ক্ষতি হতে পারে! যাতে বাস্তব সত্য জানার পরও সে আতঙ্ক থেকে বেরিয়ে আসতে না পারে।
করোনার ব্যাপার যদি আমরা দেখি- বাস্তব সত্যটা কী? গত ডিসেম্বরে চীনে প্রথম করোনা ধরা পড়ল। তিনমাস পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এটাকে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা করল। চীনে কত লাখ লোক মারা যেতে পারে...নানান রকম জল্পনা কল্পনা হলো! সারা পৃথিবী আতঙ্ক শুরু হলো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে গেল।
উল্লেখ্য, এ বছর ২১ মার্চ পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন মানুষ। মারা গেছেন ১১ হাজার ৪১৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ৯১ হাজার ৯৫৪ জন। এ সময়ে করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৭৬৩ জন। মারা গেছে ২৫৮ জন। ব্রিটেনে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯৮৩ জন। মারা গেছেন ১৭৭ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন ১২,৬১৫ জন, মারা গেছেন ৪৫০ জন। ইতালির অবস্থাটা ইউরোপের মধ্যে একটু খারাপ। সেখানে মারা গেছেন ৪ হাজার ৩২ জন।
বাস্তব সত্য হচ্ছে- করোনা ভাইরাসে যারা আক্রান্ত হন, তাদের ৮১ শতাংশ মাইল্ড অসুস্থ হন। যেটার জন্যে হাসপাতালে যাওয়ারও কোনো প্রয়োজন হয় না! ১৪ শতাংশ অসুস্থ হন, তাদেরকে হাসপাতালে নিতে হয়। বাকি ৫ শতাংশ ক্রিটিকেল বা জটিল। ইনটেনসিভ কেয়ারে নিতে হয়। তাদের অক্সিজেন সাপোর্ট লাগবে। এটা হচ্ছে নিউইয়র্ক টাইমসের ১৮ মার্চের রিপোর্ট। তাহলে যেই রোগের ৮১ শতাংশের জন্যে হাসপাতালেও নেয়ার প্রয়োজন হয় না; মাইল্ড, সেটাকে সর্দি-কাশি-জ্বর মানে ফ্লু ছাড়া আর কী বলা যায়!
রোগ যেমন কিছু কিছু বছর পর পাল্টায়, আতঙ্কটাও তেমনি কিছু কিছু বছর পর পর শুরু হয়। আর বাস্তব সত্য হচ্ছে যে, করোনা ভাইরাসের নামে যে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে, এটা ফ্লুরই একটিভ ভ্যারিয়েশন। যেটা কখনও সার্স নামে, কখনও সোয়াইন ফ্লু নামে, কখনও আরেক ফ্লু নামে- বিভিন্ন সময়ে নতুন নামকরণ নিয়ে আসে। কারণ প্রত্যেকটা রোগের ধরণ কিছু কিছু বছর পরে পাল্টায় এবং আতঙ্কটাও এই কিছু কিছু বছর পরে শুরু হয়। যখন একটা নতুন নামকরণ করা যায় তখন।
মনে করা হচ্ছে, ভারতে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ হুমকি সবচেয়ে বেশি। যে, ‘রোগের সুনামিতে ৩০ কোটি লোক আক্রান্ত হতে পারে!’ কিন্তু, ভারতে বাস্তবে কতজন আক্রান্ত হয়েছে? ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ২৭১ জন। মারা গেছেন তিনজন (এটা ইকনমিক টাইমস, ২১ মার্চ ২০২০ তারিখের তথ্য)। মানে- ২৭১ জন যেখানে আক্রান্ত হয়েছে সারাদেশে, সেখানে বলছে ‘৩০ কোটি লোক আক্রান্ত হতে পারে!’ এবং WHO-এর আগেও দেখেছেন যে, তারা সোয়াইন ফ্লু নিয়ে কি কাণ্ড করেছিল! সেই সোয়াইন ফ্লু কিন্তু এখন নরমাল ফ্লু-র রূপ নিয়েছে।
আসলে আমরা যেটাকে জ্বর-সর্দি-কাশি বলি, ইউরোপ আমেরিকাতে এটাকেই ফ্লু বলা হয়, ইনফ্লুয়েঞ্জা বলা হয়। অর্থাৎ এই জিনিসটা হচ্ছে নভেম্বর-ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি, শীতকালের রোগ। শীত আসা এবং শীত যাওয়ার সময়। আমরা যদি দেখি, ২০১৬-১৭ সালে মৌসুমি ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে দুই কোটি ৯০ লাখ মানুষ। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে পাঁচ লাখ জনকে, মারা গেছে ৩৮ হাজার।
২০১৭-১৮-তে আক্রান্ত হন সাড়ে চার কোটি আমেরিকান। হাসপাতালে ভর্তি আট লাখ ১০ হাজার। মৃত্যু ৬১ হাজার। ২০১৮-১৯-এ আক্রান্ত হন সাড়ে তিন কোটি আমেরিকান। হাসপাতালে ভর্তি চার লাখ ৯০ হাজার ৬০০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৪ হাজার ২০০ জন। এটা Center for Disease Control and Prevention-এর ওয়েবসাইট থেকে নেয়া।
একটু আগে আমরা বলেছি- এখন পর্যন্ত গোটা যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ৭৬৩ জন এবং মারা গেছেন মাত্র ২৫৮ জন। গত তিন বছরের তুলনায় করোনার যদি মৃত্যুর হার আমরা দেখি, এটাতো উল্লেখ করার মতন কিছু না।
পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের তথ্য অনুসারে, প্রতি বছর ইংল্যান্ডে ১৭ হাজার মানুষ সিজনাল ফ্লু-তে মারা যায়। ২০১৪ সালে ২৮ হাজার ৩৩০ জন মারা গেছেন। এ বছর করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯৮৩ জন, মারা গেছেন ১৭৭ জন। (২১শে মার্চ দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট ২০২০ এর রিপোর্ট)। আমরা তুলনা করলেই কিন্তু বুঝতে পারি যে ফ্লু-তেও করোনার চেয়ে প্রত্যেক বছর কত বেশি পরিমাণে মারা যায়!
বলা হচ্ছে যে, ইতালি এবং স্পেনের পরে ফ্রান্সের অবস্থা সবচেয়ে মারাত্মক। ফ্রান্সে করোনায় মারা গেছেন এ পর্যন্ত ৪৫০ জন, আক্রান্ত ১২ হাজার ৬১২ জন। অথচ ফ্রান্সে প্রতিবছর ফ্লু-তে আক্রান্ত হন ২০ লাখ থেকে ৬০ লাখ মানুষ। ২০১৬-১৭ সালে শীতকালীন ফ্লুতে মারা যান ১৪ হাজার ৪০০ জন। ২০১৭-১৮ সালে ১৩ হাজার জন এবং গত বছর ৯ হাজার ফরাসি ফ্লুতে মারা গেছেন।
ওখানে সিজনাল ফ্লু সবসময়ই বেশি। কারণ ইতালিতে বয়স্ক লোকদের সংখ্যা হচ্ছে পৃথিবীতে দ্বিতীয় বৃহত্তম। এবং করোনার ঝুঁকির চেয়েও ঝুঁকি কিন্তু হচ্ছে- যদি তার আগে ক্যান্সার থাকে, লিভারের সমস্যা থাকে, কিডনির সমস্যা থাকে, ডায়াবেটিস থাকে, হার্টের সমস্যা থাকে। অর্থাৎ আগে থেকে যারা রোগগ্রস্ত এবং বয়স্ক তাদের ঝুঁকি থাকে।
ভারতে কিন্তু সোয়াইন ফ্লু-কে ‘নরমাল ফ্লু’ বা ‘সিজনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০১৭ সালে ভারতে সোয়াইন ফ্লু-তে আক্রান্ত হন ৩৮ হাজার ৮১১ জন। মারা গেছেন ২ হাজার ২৭০ জন। ২০১৮ তে আক্রান্ত হন ১৫ হাজার ২৬৬। মারা গেছেন ১ হাজার ২১৮ জন। এবং ১৯ সালে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৭৯৮। মারা গেছেন ১ হাজার ১৮২ জন।
আর এ বছর (২০২০) জানুয়ারি থেকে পহেলা মার্চ পর্যন্ত দুই মাসে সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৬৯ জন, মারা গেছেন ২৮ জন। আর করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৭১ জন এবং মারা গেছেন তিনজন। (২১ মার্চ, ২০২০) এই যে সোয়াইন ফ্লুতে এতজন মারা গেল, ভারতে কি এটার নিউজ হয়েছে! মিডিয়া এটাকে নিউজ করেছে!
মজার ব্যাপার যেটা হচ্ছে- WHO বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন যে, চীনের পরে চীনের কাছাকাছি চীনের আরেকটা ভাই আছে। সেটা হচ্ছে তাইওয়ান। কারণ আপনারা জানেন যে, তাইওয়ান চীনের অংশ ছিল একসময়। তারা বলছিলেন যে, তাইওয়ানে পরিস্থিতি হবে সবচেয়ে মারাত্মক। কারণ কাছাকাছি। দেখতে শুনতে একরকম। খাওয়া-দাওয়াও একরকম। ২১ মার্চ পর্যন্ত তাইওয়ানে আক্রান্ত হয়েছে ৭৭ জন। মারা গেছেন ১ জন।
যে চীনে করোনা ছড়ানোর পরেই অনলাইন এবং সোশ্যাল মিডিয়া তারা গুজব ছড়ায় যে, দক্ষিণ তাইওয়ানে ট্রাকে ট্রাকে লাশ চুল্লিতে নিয়ে গিয়ে পোড়ানো হচ্ছে। এই গুজব ঠেকানোর জন্যে তাইওয়ানের টিভি এবং রেডিও-গণমাধ্যম খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এবং করোনা ভাইরাস কীভাবে ছড়ায়, সংক্রমণ ঠেকানোর উপায় কী- এটা তারা খুব ইতিবাচকভাবে প্রচার করে। ফলে মানুষ আতঙ্কিত না হয়ে আশ্বস্ত হয় এবং সময়মতো কার্যকরী পদক্ষেপ তারা নিয়েছে। আর ওই বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেয়ার ফলে যেটা হয়েছে, ওখানে বিদেশফেরত প্রত্যেককে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে দিয়ে দিয়েছেন।
তারা কোয়ারেন্টাইনে কি করেছেন? প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর তিনি বাসায় আছেন কিনা- এটা নিশ্চিত করা হয়েছে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মধ্য দিয়ে। এবং কঠোর জরিমানার ব্যবস্থা। এক দম্পতি মনের আনন্দে কোয়ারেন্টাইন ভেঙে বেরিয়ে গেছে এবং তাদেরকে এইজন্যে গুণতে হয়েছে মাত্র দশ হাজার মার্কিন ডলার। এবং যেটা হচ্ছে তিরিশ লক্ষ তাইওয়ানি ডলার। এবং এরপরে আর কেউ কোয়ারেন্টাইন ছেড়ে বাইরে যান নি।
এবং সেখানে প্রত্যেকটা এপার্টমেন্ট, প্রত্যেকটা শপ- সব খোলা। শুধু হাত ধোয়ার ব্যবস্থা। আমরাও সেটা করতে পারি। যেটা আমরা ‘বাংলা সাবান’ দিয়ে করলে খরচ কমবে। কারণ বাংলা সাবানের মতন এরকম চমৎকার পরিষ্কারক আর কিছু নাই। কারণ বাংলা মানেই হচ্ছে খাঁটি।
তাইওয়ানের অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ, হোটেল-রেস্টুরেন্ট সব ওপেন। এন্ড টোটালি কন্ট্রোলড। যেখানে মনে করা হচ্ছিল যে- চীনের পরে তাইওয়ানে হবে সবচেয়ে বড় ডিজাস্টার হবে। Nothing happened. ৭৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন, একজন মারা গেছেন।
এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া অনেকটা সফলভাবে এই ভাইরাস সফলভাবে মোকাবিলা করতে পেরেছেন। দেশটির মূল কৌশল ছিল স্বচ্ছতা, উন্মুক্ততা ও জনগণকে সম্পূর্ণরূপে অবস্থিত ও সম্পৃক্ত করা। তারা প্রথমেই টেস্টিংয়ের ওপর গুরুত্ব দেন। দিনে ২০ হাজার এবং এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৬৮ হাজার টেস্টিং সম্পন্ন করা হয়েছে। এর ফলে আক্রান্তদের দ্রুত আলাদা করে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয়েছে।
আসলে শুধু পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সংক্রান্ত যে শুদ্ধাচার সেটা যদি আমরা অনুসরণ করি, তাহলে সংকট আমাদেরকে কিছুই করতে পারবে না। যে কারণে আমাদের এখানে করোনার সুযোগ করতে পারার সম্ভাবনা সবচেয়ে কম। যদি আমরা একটু সচেতন হই এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
আর যেটা ডক্টররা বলছেন, মানে সরকার বলছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছেন যে, হাতটাকে ভালোভাবে ধোয়া এবং কারো হাঁচি-কাশি বা এই জাতীয় কোনোকিছু দেখলে তার থেকে দুই ফিট/তিন ফিট দূরত্ব মেইনটেইন করা। তার বডি-টাচের মধ্যে না যাওয়া। এটা একটা সুন্দর পদক্ষেপ।
বাঙালির যেটা সবচেয়ে বড় শক্তি- সেটা হচ্ছে, আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। যে-কোনো সংকট কাটিয়ে ওঠার যে ক্ষমতা, আমাদের যে ব্রেন পাওয়ার- কারণ সবসময় দুর্যোগের মধ্যে আমরা বসবাস করে আসছি... আমাদের পূর্ব পুরষরা এবং দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের কোনো জুড়ি নেই।
কারণ আমরা বীরের জাতি। আমরা সাহসী জাতি। এবং করোনাকে এই জাতির ভয় পাওয়ার কিছু নাই। সুতরাং আমরা শুধু সতর্কতামূলক যে ব্যবস্থা, সেই ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করব।
বিদেশফেরত যারা আছেন, বিদেশে তারা অনেক পরিশ্রম করেছেন অনেক মেহনত করেছেন এবং মেহনত করে দেশের পরিবার-পরিজনের জন্যে তারা অর্থ প্রেরণ করেছেন। পরিবার-পরিজনকে ভালো রেখেছেন। এবং সেই পরিবার পরিজনের উচিত তাকে সেইভাবে সেবাযত্ন করা এই সময়ে।
তারা যদি জ্বর-কাশি-সর্দি এটাতে আক্রান্ত হন তাহলে যে ১৫ দিন কোয়ারেন্টাইন, এটা থাকবেন। আর যদি নাও হন...তবুও এই কোয়ারেন্টাইনে থাকার সুযোগ সবারই গ্রহণ করা উচিত। তাদের জন্যে কোয়ারেন্টাইনটা আশীর্বাদ হিসেবে গণ্য করা উচিত জীবনের জন্যে। কারণ মানুষ আসলে খুব কম সময় পায়, সুযোগ পায় এইরকম নির্জন থাকার। একা থাকার। কোয়ারেন্টাইনে থাকার।
** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।