ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

করোনায় অর্থনৈতিক সঙ্কট উত্তরণে করণীয় 

সাব্বির আহমেদ

প্রকাশিত : ২১:৪৮, ২৯ মার্চ ২০২০ | আপডেট: ১২:০৪, ৩০ মার্চ ২০২০

সাব্বির আহমেদ

সাব্বির আহমেদ

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কোনো ঔষধ বা প্রতিষেধক এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। এর বিস্তার ঠেকানোর একমাত্র পথ হছে মানুষের কাছ থেকে মানুষকে দূরে রাখা। এ এক নতুন পরিস্থিতি। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে সামাজিক মানুষকে ত্যাগ করতে হচ্ছে সামাজিক সঙ্গ। 

দেশে দেশে সরকার সকল মানুষকে ঘরে থাকতে বলেছে, বাধ্য করছে। বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় নামলে গুণতে হচ্ছে জরিমানা। কতদিন এভাবে বন্দি থাকতে হবে? এমন প্রশ্নের উত্তর নেই। 
চীনের উহান প্রদেশের হুবেই শহর তিন মাস বন্ধ থাকার পরেও খুলে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। খুলে দিলেই আবার ছড়িয়ে পড়তে পারে অদৃশ্য ঘাতক নভেল করোনা ভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যার নাম দিয়েছে কোভিড-১৯।  

মানুষ ঘরে বন্দি থাকলে বন্ধ হয়ে যায় অর্থনীতির চাকা। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ হলে চলবে না জীবন। আমাদের দেশে প্রথমেই বন্ধ করা হয়েছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, ছাত্রাবাস, রেস্টুরেন্ট, দোকান-পাট, বিনোদন কেন্দ্র। তারপর দশ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে বন্ধ করা হয়েছে অফিস-আদালত। মানে, সেবা খাত পুরোপুরি বন্ধ। অনেক কারখানা বন্ধ রয়েছে। কেউ কেউ খোলা রেখেছেন। 

বিজিএমইএ প্রধান তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার আহবান জানিয়েছেন। কৃষকের ছুটি নেই। সাধারণ ছুটির আওতায় তারা পড়েন না। তাদের কাজ চলছে। মাত্র চার ঘণ্টার জন্য খোলা রাখা হচ্ছে ব্যাংক। অনেক দেশই দশ দিনের চেয়ে বেশি সময় ধরে বন্ধ আছে। কোথাও কোথাও তা অনির্দিষ্টকালের জন্য। অফিস-আদালত দশ দিন পরে খুলে দেওয়া যাবে এমন কোন নিশ্চয়তা নেই। স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত, কারখানা বন্ধ থাকার মানে হচ্ছে কাজকর্ম বন্ধ। বড় বড় প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট মাসিক বেতনের চাকুরি যারা করেন তাদের অসুবিধা নেই। কাজ থাকুক আর না থাকুক মাস শেষে বেতন তাদের ব্যাংক একাউন্টে পৌঁছে যাবে। সমস্যা তাদের যাদের আয় নির্ভর করে কাজের উপর। কাজ থাকলে মজুরী, না থাকলে নেই। 

করোনার কারণে শিল্প উৎপাদন চালু রাখা যাবে কি-না সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞগণ বা সরকার কেউই এখনো নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি। ক্ষুদ্র, ছোট, মাঝারি ও বড় কারখানা এবং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের (ছোট-বড় দোকানসহ) উৎপাদন এবং সরবরাহ কার্যক্রম চালু রাখতে পারলে উৎপাদিত পণ্য ও সেবা এখন না হোক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তা বিক্রয় করে নগদ টাকা ফেরত পাবেন। উৎপাদন ও সরবরাহ চালু থাকলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা ছাড়া অন্যান্য জিনিস তেমন একটা বিক্রয় করতে পারবেন না। ফলে তাদের নগদ অর্থের প্রবাহ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হবে। 

বাজারে তারল্য সঙ্কট ঠেকাতে সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতোমধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমদানীর জন্য এলসি পরিশোধ করার সময় বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে সঙ্কট উত্তীর্ণ হওয়ার পর তা পরিশোধ করলে চলবে। সরকার বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাসের দাম জুন মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এক্ষেত্রেও সাশ্রয় হবে। বাকি থাকল অভ্যন্তরীণ পাওনাদারের টাকা এবং শ্রমিক ও কর্মচারীদের মজুরী ও বেতন। ভারী শিল্প কারখানার উৎপাদন খরচের ৭% থেকে ১০% হচ্ছে মজুরী খরচ। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি কারখানায় তা কিছুটা বেশি। শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়ীদের হাতে কমপক্ষে সেই পরিমাণ অর্থের যোগান থাকতে হবে যা দিতে তারা শ্রমিক এবং অন্যান্যদের মজুরী ও বেতন এবং অভ্যন্তরীণ পাওনা পরিশোধ করতে পারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক গৃহীত নতুন উদ্যোগের ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে কম সুদে এবং বিনা সুদে অনেক নগদ অর্থের সরবরাহ পাবে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তা ছোট-বড় শিল্প এবং অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে কম সুদে সরবরাহ করতে পারবে। এই সঙ্কটকালে আইন করে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ করতে হবে। কাজ থাকুক আর না থাকুক শ্রমিকের মজুরী তার ব্যাংক বা মোবাইল একাউন্টে পৌঁছে দিতে হবে। 

এতো গেল প্রাতিষ্ঠানিক খাতে যারা কাজ করেন তাদের কথা। দেশে প্রায় ৫ কোটি মানুষ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। ছোট দোকানদার, সবজি বিক্রেতা, বাদাম বিক্রেতা, রিক্সা-ভ্যান-স্কুটার-বাস চালক, হেলপার, এরকম লোকের সংখ্যাই দেশে সবচেয়ে বেশি। সবকিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এদের কাজ নেই। কাজ নেইতো আয় নেই। আয় না থাকলে অনির্দিষ্ট কাল ধরে চলবে কি করে? এছাড়াও সমাজে রয়েছে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী যারা বয়স বা অসুস্থতার কারণে কাজ করতে পারেন না। এদের হাতে খাদ্য সামগ্রী নয়, সরাসরি নগদ অর্থ পৌঁছাতে হবে। খাদ্য সামগ্রী পৌঁছানো অনেক জটিল প্রক্রিয়া। তাছাড়া এতে করোনাকালে শারীরিক দূরতে বজায় রাখা সম্ভব হবে না এবং দুর্নীতির সুযোগ বেড়ে যাবে। অর্থনীতি সচল রাখতে হলে সকলের হাতে টাকা থাকতে হবে। টাকা না থাকলে দেশে উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা থাকবে না। চাহিদা না থাকলে কৃষি ও শিল্পের উৎপাদন যেটুকু আছে তাও বন্ধ হয়ে যাবে। আর তা হলে অর্থনীতি দুষ্ট চক্রের মধ্যে পড়ে যাবে। মুদ্রাস্ফীতি ভয়াবহ অবস্থা ধারণ করবে। দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। 

সরকার ইতোমধ্যে রফতানীমুখী শিল্পে নিযুক্ত শ্রমিক ও কর্মচারীদের মজুরী ও বেতন দেবার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার একটা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে এবং করোনার কারণে কাজ হারিয়েছেন এমন ব্যাক্তিদের কাছে ছয় মাসের খাবার ও নগদ অর্থ পৌঁছে দেবার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারের ঘোষণায় জনপ্রতি কত টাকা পৌঁছাতে হবে তা উল্লেখ করা হয়নি। রফতানীমুখী শিল্পে ৪০ কক্ষের মত শ্রমিক নিযুক্ত আছেন। তাদের মজুরী এবং বেতন দেবার দায়িত্ব তাদের মালিকদের, সরকারের নয়। রফতানী কমে যাওয়ায় এবং রফতানী আদেশ বাতিল হওয়ায় তাদের নগদ অর্থের ঘাটতি হবে নিঃসন্দেহে। সে ঘাটতি পূরণ করতে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ পেলে চলবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সে ব্যবস্থা করেছেও। দুর্দিন কেটে গেলে তারা আবার মুনাফা করবে। অতীতে যখন তারা অনেক বেশি বেশি মুনাফা করেছে তখন তারা জনগণের কোষাগারে বাড়তি টাকা জমা দেয়নি, ভবিষ্যতেও দেবে না। তাদের জন্য জনগণের টাকা দেবার প্রয়োজন ছিল না। শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য যদি জনগণের টাকা দিতেই হয় তবে তা শুধু রফতানীমুখি শিল্পে কেন? দেশের মোট শ্রমশক্তির ৪০ শতাংশ কাজ করে যেই ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পে এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটায় যে সকল বৃহৎ শিল্প তাদের নয় কেন? 

করোনা পরিস্থিতে মোকাবেলায় স্বাস্থ্য খাতে দেয়া বাজেট বরাদ্দের তুলনায় বাস্তব খরচ বেশি হবে। তার জন্য কত টাকা বেশি দরকার তা নির্ধারণ করা দরকার। করোনা যুদ্ধে যে সকল ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ড বয়, পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিযুক্ত আছেন; যে সকল পুলিশ, আনসার, সেনাবাহিনী, সাংবাদিক, সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সম্মুখসারিতে লড়াই করছেন; তাদের সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করার জন্য নিরাপত্তা উপকরণ এবং জীবন বীমার ব্যবস্থা করা দরকার। এর জন্য লাগবে বাড়তি খরচ। করোনার কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। সরকারের সেফটি নেটের টাকা যারা পান বাড়তি দ্রব্যমূল্য মোকাবেলা করার জন্য তাদের আরও বেশি পরিমাণ টাকা দেওয়া দরকার। সব মিলিয়ে করোনা যুদ্ধে সরকারের কত টাকা দরকার তার হিসেবটা এখনো হয়নি। এখনই এটা করার সময়। দেরী হলে দুর্ভোগ পোহাতে হবে বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে। অচল হয়ে পড়বে বাংলাদেশের অর্থনীতি। 

করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং সরকার বাড়তি টাকা পাবে কোথায়? দেশে ১ লক্ষ ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বাড়তি তারল্য ছিল ডিসেম্বর শেষে। বিগত তিন মাসে তা আরও বেড়ে যাবার কথা। এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেসব আর্থিক প্রণোদনা দিয়েছে তা এই বিপুল পরিমাণ বাড়তি তারল্যের তুলনায় অনেক কম। তবে সঙ্কট চলতে থাকলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও বেশি প্রণোদনা দিতে হবে। করোনা পরিস্থিতি কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে তা কেউ জানে না। আরও গভীর সঙ্কট মোকাবেলা করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে প্রস্তুত থাকতে হবে। 

সরকারের এই বাড়তি খরচ জোগানোর জন্য কয়েকটি পথ রয়েছেঃ ১) উন্নয়ন সহযোগী – আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাংক, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক, ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং আরও অনেকে; ২) বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ – যদিও চলতি অর্থ বছরে এ পর্যন্ত সরকার অনেক টাকা ইতোমধ্যে ধার করেছে তবুও প্রয়োজন মোতাবেক আরও ঋণ করতে দ্বিধা করা যাবে না। বাজারে অর্থের জোগান দিতেই হবে। ৩) বিলাস দ্রব্য এবং বিত্তবানদের উপর সারচার্জ – বিলাস দ্রব্যের উপর বাড়তি কর বসিয়ে এবং যাদের একাধিক বাড়ি রয়েছে এবং যে সকল ব্যক্তি এবং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বছরে ৫০ লক্ষ টাকার বেশি আয় করেন তাদের সকলের উপর ক্রমবর্ধমান হারে আপদকালীন সারচার্জ বসিয়ে সরকার বাড়তি কিছু অর্থ সংগ্রহ করতে পারে। অর্থনৈতিক সঙ্কট ঘনীভূত হলে অনেক সাধারণ মানুষ সহায়-সম্বল সবই হারাবে। তাদের রক্ষা করতে দেশের এই ক্রান্তিকালে বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে। ৪) কেন্দ্রীয় ব্যাংক – কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতোমধ্যে বাজারে অনেক অর্থের সরবরাহ করার ব্যবস্থা করেছে; পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আরও বেশি নগদ বাজারে সরবরাহ করার দরকার হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক হচ্ছে সরকারের সর্বশেষ আশ্রয়। বিভিন্ন দেশ দুর্যোগ মোকাবেলায় অতীতে এবং বর্তমানেও টাকা ছাপিয়ে তা বাজারে ছাড়ার ব্যবস্থা করছে। প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংকও অর্থনীতি চালু রাখার জন্য টাকা ছাপিয়ে বাজারে ছাড়বে। 

অনেকে এই সুযোগে কর্পোরেট কর হার কমানোর প্রস্তাব দিচ্ছেন। এখন দরকার কর্মহীন ও দরিদ্র মানুষের হাতে টাকা পৌঁছানো যাতে তারা সে টাকায় নিজেরা চাল-ডাল-তেল-নুন কিনে বেঁচে থাকতে পারেন। তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারলে বাজারে অর্থের প্রবাহ বজায় থাকবে;  অর্থনীতি সচল থাকবে। কর্পোরেট কর কমালে কিছু ধনী ব্যাক্তির পকেট ভারী হবে। তাতে বাজারে অর্থের প্রবাহ বাড়বে না; অর্থনীতি সচল রাখা যাবে না। এই প্রস্তাবের পক্ষে গ্রহণযোগ্য কোন যুক্তি নেই।

আন্তর্জাতিক অর্থনীতির দিকপাল, নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগলিজ বারবার সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, অর্থনীতি ভয়াবহ বিপদে পড়বে যদি এসময়ে উচ্চকণ্ঠী এবং শক্তিশালী কর্পোরেট হাউসগুলোকে টাকা দেয়া হয়। তিনি ২০০৮ সালের আর্থিক সঙ্কট মোকাবেলায় মার্কিন সরকারের পদক্ষেপ সমূহের মূল্যায়ন করে বলেছেন, আমরা ব্যাংকের মাধ্যমে অনেক টাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলাম এই ধারণা থেকে যে তা প্রত্যেকের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। বাস্তবে তা হয়নি। জনগণের টাকার ৯১% গিয়েছে ধনী ১% জনগণের পকেটে। 

এখনই করোনায় কর্মহীন এবং দরিদ্র মানুষের হাতে টাকা পৌঁছানো জরুরি। বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল। দেশের অধিকাংশ মানুষের হাতে এখন মোবাইল ফোন আছে। কর্মহীন এবং দরিদ্র মানুষের প্রায় সবার মোবাইল ফোন আছে। যাদের হাতে টাকা পৌঁছান দরকার দ্রুত তাদের চিহ্নিত করে তাদের ফোনে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস একাউন্ট না থাকলে তা খুলে দিয়ে টাকা পাঠাতে হবে। করোনা ভাইরাসের ছোবলে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাচ্ছে অর্থনীতি। যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পরছে নিম্ন আয়ের মানুষের উপর। তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে – সরকার, বিত্তবান, সকলকে। 

লেখকঃ চার্টার্ড একাউন্টেন্ট (এফসিএ) এবং লিড কনসালট্যান্ট ও চেয়ারম্যান, ঢাকা কনসাল্টিং লিমিটেড। 
 


** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি