তিন দিনের প্রশিক্ষণেই মিলবে দক্ষতার সনদ!
প্রকাশিত : ২০:০০, ১ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১৯:১২, ৫ মার্চ ২০১৮
দেশে এমন লোকের অভাব নেই যে বিভিন্ন কাজের দক্ষতা আছে অথচ সনদ নেই। দক্ষতার সনদ না থাকায় দেশে বিদেশে তাদের কাজের তেমন মূল্যায়ন হয় না। এমন কাজ জানা লোকের বিনা মূল্যে মাত্র তিন দিনের প্রশিক্ষণে দক্ষতা সনদ দিচ্ছে সরকার।
স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (স্টেপ) শীর্ষক এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করছে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর। প্রতিষ্ঠানটি ২০১০ সাল থেকে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মানুষের দেশ-বিদেশে মানসম্মত কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে।
প্রতিষ্ঠানটি তিন ধরণের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণ ছয় মাস মেয়াদী, ডিপ্লোমা কোর্স চার বছর মেয়াদী এবং তিন দিনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও রয়েছে, যেটিকে অভিজ্ঞতা সনদও বলা হয়ে থাকে।
দক্ষতা সনদ:
সারা দেশের মোট ৩০টি আরপিএল অ্যাসেসমেন্ট কেন্দ্রের মাধ্যমে ১২ বিষয়ে দক্ষ ও যোগ্য প্রার্থীদের এদক্ষতা সনদ দেওয়া হবে। মোট ৩০ হাজার প্রার্থীকে এ প্রকল্পের অধীনে দক্ষতা সনদ দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে পাঁচ হাজার ৫২ জন প্রার্থীকে দক্ষতা সনদ প্রদান করা হয়েছে।
উদ্যোক্তারা যা বললেন
এবিষয়ে জানতে চাইলে স্টেপের যোগাযোগ পরামর্শক মো. জিল্লুর রহমান একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, এমন অনেক মানুষ আছে যাদের বিভিন্ন কাজের দক্ষতা আছে কিন্তু কোন প্রতিষ্ঠান প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেননি। তাদের তিন দিনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মূল্যবান সনদ প্রদান করা হবে। প্রার্থীদের ছয় ধরনের কাজের মাধ্যমে মূল্যয়ন করা হয়। এই অভিজ্ঞতা সনদ নিতে কোন প্রকার টাকা লাগে না। এমনকি প্রার্থীদের তিন দিনের থাকা খাওয়া ব্যবস্থাসহ যাতায়াত ভাতা দেওয়া হবে। এসনদের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীর একদিনে যেমন কাজের আন্তর্জাতিক স্বীকৃত মিলবে। অন্যদিনে কর্মজীবনে উন্নতি ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করবে।
কর্মসংস্থানের সুযোগ : প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ শেষে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়।
যেসব বিষয়ের দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সনদ দেওয়া হবে: ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স (কনস্ট্রাকশন), মোটরসাইকেল সার্ভিসিং, প্লাম্বিং, টেইলারিং অ্যান্ড ড্রেস মেকিং, ওয়েল্ডিং, ব্লক-বাটিক অ্যান্ড স্ক্রিন প্রিন্টিং, সুইং মেশিন অপারেশন, আইটি সাপোর্ট, সোলার ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেম, রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং, গ্রাফিক ডিজাইন ও মোবাইল ফোন সার্ভিসিং বিষয়ে। প্রার্থীদের অবশ্যই এসব বিষয়ের যেকোনো একটি বিষয়ে কাজ করার কিছু অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
অষ্টম শ্রেণি পাশ যে কেউ আবেদন করতে পারবেন। পরীক্ষার মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থী নির্বাচন করা হবে।
যেভাবে আবেদন
আগ্রহী প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট আরপিএল অ্যাসেসমেন্ট কেন্দ্রগুলো থেকে বা প্রকল্পের ওয়েবসাইট (www.step-dte.gov.bd) থেকে নিবন্ধন ফরম সংগ্রহ করতে হবে। নিবন্ধন ফরমে প্রার্থীর নাম, পিতা-মাতার নাম, স্থায়ী ঠিকানা, কর্মস্থলের ঠিকানা, পদবি, পছন্দের বিষয়, জন্মতারিখ ও মোবাইল নম্বর উল্লেখ করতে হবে। ফরমের সঙ্গে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র, পরীক্ষা পাসের সনদসহ লিখিত আবেদনপত্র প্রার্থীর নিকটস্থ বা পছন্দের কেন্দ্রের অধ্যক্ষ বরাবর জমা দিতে হবে।
বিস্তারিত জানতে
স্টেপের ২০টি আরপিএল অ্যাসেসমেন্ট কেন্দ্রসহ বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করতে পারেন স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (স্টেপ), কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, এফ-৪/বি, আগারগাঁও প্রশাসনিক এলাকা, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা ১২০৭ এই ঠিকানায় অথবা ফোন করতে পারেন ০১৯৯২-০০৭১৩৭ এই নম্বরে। এ ছাড়া www.step-dte.gov.bd এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেন।
টিআর/এসএইচ/
আরও পড়ুন