জার্মানির প্রতিবেদন ষড়যন্ত্রমূলক: তোফায়েল
প্রকাশিত : ১৬:৩৬, ২৫ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১৮:১৩, ২৫ মার্চ ২০১৮
জার্মান ভিত্তিক গবেষণা প্রতিবেদনকে ষড়যন্ত্রমূলক বলে আখ্যা দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেছেন, দেশ আজ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় উন্নয়নশীলের ঘোষণা আমরা যেদিন পেলাম, ঠিক তার পরদিন এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো। এ থেকে সহজেই বুঝা যায় যে, এটা ষড়যন্ত্রমূলক।
রোববার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অডিটরিয়ামে এলডিসি দেশ হতে বাংলাদেশের উত্তরণ উদযাপন উপলক্ষে ‘নৌপরিবহন সেক্টরে অর্জিত সাফল্য, চলমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আব্দুস সামাদ।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মেজর জিয়া ছিলেন স্বৈরাচারী শাসক, বিনা বিচারে তিনি মানুষকে ফাঁসি দিতেন। কারফিউ দিয়ে তিনি দেশ চালাতেন।
তিনি বলেন, সরকারের এত উন্নয়নের পরও বিএনপি উন্নয়ন দেখে না। এলডিসিভুক্ত দেশ থেকে উত্তরণে আমরা উদযাপন করেছি। বিশ্বের সবাই এটার প্রশংসা করেছে। কিন্তু বিএনপি এটা নিয়েও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে। বিএনপি উন্নয়ন দেখে না। বিএনপির নেতা মওদুদ আহমদ বলেন, তারা নাকি ক্ষমতায় থাকলে ১০ বছর আগেই এটা অর্জন করত। কিন্তু আমরা দেখেছি বিএনপির সময় দেশের উন্নয়ন কী হয়েছে। উন্নয়ন হয়েছে হাওয়া ভবনের।
সেমিনারে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, যতই উৎপাদন হোক না কেন, সেটা যদি যথাযথভাবে পরিবহন না করা যেত তাহলে উন্নয়নের এ সুফল পাওয়া যেত না।
তিনি বলেন,দেশে এত উন্নয়ন হচ্ছে এলডিসিভুক্ত দেশ থেকে বাংলাদেশ উত্তরণ হয়েছে এ চমৎকার উন্নয়ন যা ধরা যায় ছোঁয়া যায়। সবাই এ উন্নয়নের সুফল দেখলেও বিএনপি দেখছে না। বিএনপির চোখে ছানি ধরেছে এ জন্য তারা দেখতে পান না। তবে এ উন্নয়নের সুফল সবার মতো বিএনপিও ভোগ করছে।
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, গত ৯ বছরে একটা করে স্থলবন্দর নির্মাণ করেছি। এই মেয়াদে ফেরির সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। আমরা ১৪টা ড্রেজিং সংগ্রহ করেছি আরও ২০টি করব। গত ৩৮ বছরে ২০টি ফেরি ছিল গত মেয়াদে ১৭টি ও এ মেয়াদে ১২টি ফেরি নতুনভাবে চালু করেছি।
এসময় তিনি নদী বন্দর উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বলেন, আগে বলতো বাইরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট এখন আমরা বলি দেখতে হলে ফিটফাট চলে আসুন সদরঘাট। এসময় তিনি বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নকে স্বীকার করুন।
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ৮ বছর আগে চট্টগ্রাম বন্দর জাহাজ থেকে পণ্য আনা নেওয়ায় ৯৮তম ছিল, এখন ৭১তম। এতে খুশি হলে চলবে না আমাদের এখনও বহু পথ পাড়ি দিতে হবে। আরো অনেক জেটি নির্মাণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে নদী পথের নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিং কার্যক্রমের অর্জিত সাফল্য, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং চ্যালেঞ্জগুলো, দেশের সমুদ্র বন্দর, নদীবন্দর, স্থল বন্দর ব্যবস্থাপনায় অর্জিত সাফল্য এবং চ্যালেঞ্চ, দেশের নৌপথ ও নৌযানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার বিধি-বিধান এবং বিদেশে বাংলাদেশি নাবিকদের চাকরির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরকে// এআর
আরও পড়ুন