কাদেরের বাগ্মীতায় মুগ্ধ ঠাকুরগাঁওবাসী
প্রকাশিত : ১৬:৪০, ২৯ মার্চ ২০১৮
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। চৌকস রাজনীতিবিদ ও বাগ্মীতার জন্য তার প্রশংসা দলের ভেতরে বাইরে সর্বত্রই। যেকোনো সভা সমাবেশে শ্রোতাকে আকর্ষণ করার মতো ব্যতিক্রম বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে তার জুড়ি নেই। কখনো কবিতা, কখনো ছন্দ টেনে কথা বলেন। সহকর্মীদের সঙ্গে আড্ডায়ও হাস্যরসে মাতিয়ে রাখেন তিনি। এমনকি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব খুব বিচক্ষণতার সঙ্গে উত্তর দিয়ে থাকেন। স্থান-কাল-পাত্র ভেদে কখন কী বলতে হবে, কীভাবে বলতে হবে, সেসব বিবেচনায় সমসাময়িক অন্য অনেক রাজনীতিবিদদের তুলনায় তিনি পারদর্শী।
তার সেই অসাধারণ বাগ্মীতার আরেকটি পরিচয় পাওয়া গেলো আজ বৃহষ্পতিবার ঠাকুরগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায়। সঞ্চালক বক্তৃতার জন্য ওবায়দুল কাদেরের নাম ঘোষণা করলে তিনি ডায়াসে এসে প্রথমে ঠাকুরগাঁয়ের ভাষায় সবাইকে জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমরা কেমন আছেন? ’ঠাকুরগাঁওয়ের আঞ্চলিক উচ্চারণ ও তার হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় সঙ্গে সঙ্গে বিশাল জনসভাস্থলে সারা পড়ে যায়। পুরো জনসভাস্থল প্রাণ ফিরে পায়।
এরপর তিনি দর্শকদের দিকে তাকিয়ে হাস্যরসের সঙ্গে বলেন, ‘সবদিকে শুধু মহিলা আর মহিলা। এই মহিলারা এখন খুব খুশি। কারণ মহিলারা বাচ্চা জন্ম দেন, বাচ্চা লালন পালন করে। কিন্তু কোনো স্বীকৃতি ছিল না। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাচ্চার জন্ম নিবন্ধনে বাচ্চার বাবার নামের পাশে মায়ের নাম লিখা বাধ্যতামূলক করেছেন। তরুণ-যুবকদের হাতে তুলে দিয়েছেন মুঠোফোন-ইন্টারনেটের সুযোগ। আগামী নির্বাচনে এই নারী ও তরুণরাই হবে আওয়ামী লীগের প্রধান হাতিয়ার।’
প্রতিপক্ষ দলের রাজনীতিবিদ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিজ জেলায় গিয়ে তাকে ইঙ্গিত করে কথা বলতে এদিন ছাড় দেননি কাদের। ওবায়দুল কাদের ঠাকুরগাঁওয়ের জনসমাবেশের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের ঠাকুরগাঁওয়ের সন্তান মির্জা ফখরুল প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলেছেন। আপনারা কী বলেন? এসময় মাঠ থেকে বিশাল জনতা হাত নেড়ে ‘না না’ বলেন। তখন ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব, পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে।’
ওবায়দুল কাদের- এর বক্তৃতা শুনতে শুনতে গামছা গায়ে লুঙ্গি পড়া ফজর আলী বলে উঠেন, এটাই ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের সম্পদ। ব্যতিক্রমী জিনিস বাপু।
উল্লেখ্য, বক্তৃতার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জনসমাগমের সঙ্গে কথোপকথনের ধারাটি তাকে, তার বক্তৃতাকে করে তোলে আরও অনন্য।
আআ / এআর /
আরও পড়ুন