ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

বিশেষ বিমানে দেশ ছাড়লেন বিএনপি নেতা মোরশেদ খান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:০৬, ২৯ মে ২০২০ | আপডেট: ২০:০৭, ২৯ মে ২০২০

এম মোরশেদ খান

এম মোরশেদ খান

করোনা মহামারীর কারণে স্বাভাবিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ। এর মধ্যেই দেশ ছাড়লেন বিএনপি নেতা এম মোরশেদ খান। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) ভাড়া করা একটি উড়োজাহাজে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। 

মোরশেদ খানের ব্যক্তিগত সহকারী সমীর জানান, মোরশেদ খান বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা আছেন। এজন্য চেকআপ  করাতে লন্ডনে গেছেন। তাদের ছেলে সেখানে বর্তমানে অবস্থান করছেন।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে স্ত্রীসহ ঢাকা ছেড়েছেন মোরশেদ খান। তার সঙ্গে তার স্ত্রী নাসরিন খানও ছিলেন। এই ফ্লাইটে তারা যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন। ফ্লাইটটি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে ঢাকা ছাড়ে। 

শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল-আহসান বলেন, ‘দু’জন যাত্রী নিয়ে চার্টার্ড ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যায়।’

এদিকে, নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ২১ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য, চীন, হংকং, থাইল্যান্ড ছাড়া সব দেশের সঙ্গে যাত্রীবাহী সব উড়োজাহাজ সংস্থার ফ্লাইট চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল বেবিচক। এরপর আরেকটি আদেশে এই সময়সীমা আরও সাত দিন বাড়িয়ে চীন বাদে সব দেশের সঙ্গে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এই নিষেধাজ্ঞা কয়েক দফায় ১৪ এপ্রিল, ৩০ এপ্রিল, ৭ মে, ১৬ মে এবং ৩০ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে পদত্যাগ করা সাবেক এ পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে গত বছরের ১০ জুন বিদেশ ভ্রমণে ইমিগ্রেশনে চিঠি দিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঐদিন দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, এম মোরশেদ খান সপরিবারে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার বিদেশ যাওয়া ঠেকানো দরকার।

মোরশেদ দম্পতি ও তার ছেলের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর রমনা থানায় মামলা দায়ের করে দুদক। মামলার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের ৪টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে দেশের বাইরে ৩২১ কোটি  টাকা পাচারের অভিযোগ তদন্তে মোর্শেদ খানের ছেলে ফয়সাল খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর তলব করা হয়। মামলায় বলা হয়, মোরশেদ খানের প্রতিষ্ঠান ফারইস্ট টেলিকম লিমিটেডের মাধ্যমে মোট ১১টি বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে মোট ৩২১ কোটি সাত লাখ ৫৩ হাজার ৩৫৯ টাকা দেশের বাইরে পাচার করেছেন। মামলায় মোরশেদ খান এবং তার ছেলে ফয়সাল মোরশেদ খানের নামে হংকংয়ের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের হিসাব বন্ধে নিম্ন আদালতের দেয়া রায় ১৮ নভেম্বর ২০১৯ সালে হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ বহাল রাখেন। তাদের টেলিকম সিটিসেল প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ সালের ২০ অক্টোবর বিটিআরসি এর কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। পরে ৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিটিসেলের তরঙ্গ আবার খুলে দেওয়া হলেও যা ৬ নভেম্বর আবার বন্ধ করা হয়।

এম মোরশেদ খান ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের একজন সফল ব্যবসায়ী। সিটিসেল, প্যাসিফিক মোটরস, আরব বাংলাদেশ ব্যাংক সহ অনেক প্রতিষ্ঠানে তার বিনিয়োগ ও সম্পত্তি রয়েছে।

এমএস/এনএস


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি