পাকিস্তানে মুক্তবুদ্ধির চর্চার মানুষের ভূল স্বীকার
প্রকাশিত : ০০:২২, ২৩ জুন ২০২০ | আপডেট: ০০:২৩, ২৩ জুন ২০২০
বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। তাইতো আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সবসময়ই ছিলো পাকিস্তানের চক্ষুশূল। পাকিস্তান রাষ্ট্রযন্ত্র অথবা রাজনীতিকরা কখনোই তাদের ভুল স্বীকার করেনি। তবে বদলাচ্ছে পরিস্থিতি, পাকিস্তানে মুক্তবুদ্ধির চর্চা যারা করেন তারা সত্য উচ্চারণ করছেন।
বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের ভূমিকাই যে সঠিক ছিলো সেই স্বীকারোক্তি তারা করছে। আওয়ামী লীগ যখন ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছে তখন পাকিস্তানের থেকে প্রায় সব সূচকেই এগিয়ে বাংলাদেশ।
৪৭ এ ভারত পাকিস্তান ভাগ। এর কিছুদিন যেতে না যেতেই স্বপ্ন ভঙ্গ। শুরু থেকেই শোষন-বঞ্চনা। ভাষার উপর আগ্রাসন। ফুসে উঠলো পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ।
সব আন্দোলন সংগ্রামে বাংলার মানুষকে পথ দেখায় আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে ওঠেন বাংলার মানুষের আপনজন। শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়ান। ভিত কাপিয়ে দেন পাকিস্তানের।
৭০ এর নির্বাচনে জিতেও ক্ষমতা পায়নি বাঙালি। গোলাম করে রাখার ষড়যন্ত্র। ২৫ মার্চ পাকিস্তানিদের বর্বরতা, গণহত্যা। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে, পাশে দাঁড়ায় বন্ধু রাষ্ট্র ভারত । নয়মাসের মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতার লালসূর্য।
নিজেদের ভুলে কথা কখনোই স্বীকার করেনি পাকিস্তান। সাংবাদিক মাহিন উসমানির একটি প্রতিবেদনে উঠে আসে সত্য উচ্চারণ।
৭১ এ বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসে স্বাধীনতা। আর এখন বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব সূচকেই পাকিস্তান থেকে অনেক উপরে বাংলাদেশ। রিজার্ভ প্রায় দ্বিগুন। বাংলাদেশের রপ্তানি যেখানে ৪০ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার সেখানে পাকিস্তানের ২৪ দশমিক দুই পাঁচ। জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের ৮ দশমিক ৫ আর পাকিস্তানের মাত্র ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। পাকিস্তানি রাজনীতিকরা এখন স্বীকার করছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে ক্রমেই টেনে তুলছে উপরের দিকে।
পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ রাষ্ট্র বিনির্মাণের কারিগর জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগের ইতিহাস সংকট, সংগ্রাম আর অর্জনের।
আরও পড়ুন