ভিডিও দেখুন
উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠির সাথে দেশ-বিদেশের নানা শক্তি জড়িত
প্রকাশিত : ১৩:৪২, ১০ ডিসেম্বর ২০২০
রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই ভাস্কর্য বিরোধী অবস্থান নিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা চলছে বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠির সাথে দেশ-বিদেশের নানা শক্তি জড়িত। দেশকেই পিছিয়ে দিতেই এই ষড়যন্ত্র বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা।
গত ১২ নভেম্বর ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের আগেই রাজধানীতে মিছিল বের করে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
একইদিন রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়ে থাকা ও চলন্ত বাসে অগ্নিসংযোগ শুরু করে দুর্বৃত্তরা। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১১টি বাসে আগুন দেয়া হয়।
ঘটনার সাথে জড়িত ৩২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।
পরদিনই ১৩ নভেম্বর রাজধানীর ধূপখোলা মাঠে তৌহিদি জনতা ঐক্য পরিষদের ব্যানারে সমাবেশ করেন ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করিম। দোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধীতা করে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেন তিনি।
একই দিনে রাজধানীর বিএমএ অডিটোরিয়ামে শানে রিসালাত কনফারেন্সে ২০ দলীয় জোটে থাকা খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মামুনুল হক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন।
২৭ নভেম্বর হাটহাজারীতে হেফাজতের আমির জুনাইদ বাবুনগরীও আস্ফালন দেখান।
এর মধ্যেই রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা থেকে ৩১টি হাতবোমা উদ্ধার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। জড়িতদের গ্রেফতারও করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে নিজেদের বিএনপির নেতা-কর্মী হিসেবে দাবি করেন তারা।
এসব ঘটনা একটির সাথে আরেকটি সম্পর্কযুক্ত। রাজনৈতিক ফায়দা নিতেই এসব অপচেষ্টা হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, যেটা হয় সব সময়, একটা তৃতীয়-চতুর্থ-পঞ্চম পক্ষ চলে আসে দেশের ভেতরে দেশের বাইরে। এটা তো না বোঝার কারণ নেই, আগেই থেকেই প্রস্তুত থাকার দরকার। যে সুযোগ সন্ধানী নামে একটা স্পেজ তৈরি না করে দেই।
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলছেন, এসব ঘটনা বিএনপি-জামায়াত-হেফাজতের একযোগে দেশ অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র।
হাসানুল হক ইনু বলেন, এরা বাংলাদেশে রাজনৈতিক অশান্তি তৈরি করে। এই সাম্প্রদায়িক ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর প্রতি আর কোনও নমনীয় মনোভাব নয়। একেবারে যুদ্ধাপরাধীদের যেভাবে দমন করা হয়েছে ঠিক সেই ভাবেই এদেরকে ধ্বংস করতে হবে রাজনৈতিক শান্তির জন্য।
ষড়যন্ত্রকারীদের সার্বক্ষণিক নজরদারির মধ্যে রাখা দরকার বলেও মনে করেন তারা।
ভিডিও :
এএইচ/এসএ/
আরও পড়ুন