ঢাকা, শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৪৩, ২৬ মার্চ ২০২১

আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে আমরা প্রিয় মাতৃভূমিকে হানাদার মুক্ত করি। জাতির পিতার জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আজ জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ঢাকা থেকে টেলিকনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তোফায়েল আহমেদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাংলা স্কুল মাঠে মিলিত হয়। শোভাযাত্রায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বাঙালির নানা ঐতিহ্য ডিসপ্লের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। এসময় ভোলা জেলা আওয়ামী লীগসহ এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

তোফায়েল বলেন, জাতির পিতা ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে সাড়ে ৭ কোটি বাঙালীকে এক মোহনায় দাঁড় করিয়েছিলেন। একটি নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে রপান্তর করেছিলেন এবং আমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করার কথা বলেছিলেন।

তিনি আরো বলেন, আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের চরম শিখরে আহরণ করেছে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিশ্বে মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসাবে মর্যাদা লাভ করেছে।
প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধুর দু’টি স্বপ্ন ছিলো, একটি হচ্ছে বাঙালির স্বাধীনতা আর অন্যটি হচ্ছে অর্থনৈতিক মুক্তি। স্বাধীনতা তিনি দিয়ে গেছেন। আর অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে যাচ্ছেন। যার ফলশ্রুতিতে আজ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়ন শীল দেশে রুপান্তরিত হয়েছি।

জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মমিন টুলুর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. মোশারেফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব।

এদিকে জেলায় সূর্যোদয়ের সঙ্গে-সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর ভোর ৬ টায় ভোলা জেলা প্রশাসক চত্বরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিস্তম্বে ফুল দিয়ে ভোলা জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, বিভিন্ন দপ্তরসহ সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানায়। এসময় শহীদদের স্মরণে নিরবতা পালন করে দোয়া মোনাজাত করা হয়।

এছাড়াও ভোলা যুগীরঘোল এলাকায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের বধ্যভূমিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। অন্যদিকে ভোলা গজনবী স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজসহ দিনব্যাপী জেলা প্রশাসন ও ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
সূত্র : বাসস
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি