‘সেদিন শেখ হাসিনাকে আটক করে ওরা গোটা বাংলাদেশকে আটক করেছিল’
প্রকাশিত : ২০:৪২, ১৬ জুলাই ২০২১
গণতন্ত্রের মানসকন্যা, বঙ্গবন্ধু তনয়া রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল এর আহ্বানে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) বঙ্গবন্ধু এভিনিউ যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাদ আসর এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
বিশেষ মোনাজাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়। উক্ত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজ ১৬ জুলাই, বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় দিন। ২০০৭ সালে তৎকালীন অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার অগণতান্ত্রিকভাবে বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট, হয়রানী ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় গণতন্ত্রের মানসকন্যা বঙ্গবন্ধু তনয়া রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করেছিল। সেদিন শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে ওরা গোটা বাংলাদেশকেই আটক করেছিল।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারের পূর্বে প্রিয়নেত্রী চিকিৎসার জন্য বিদেশ গিয়েছিলেন। চিকিৎসা শেষে তিনি দেশে ফেরত আসতে চাইলে তৎকালীন অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও এদের কুশীলবরা নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে। তাকে বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি দেখানো হয়। কিন্তু শেখ হাসিনা ভয় পাওয়ার মানুষ নয়। যে মাটিতে মিশে আছে তাঁর রক্ত, তাঁর নাড়ী, তাঁর নার্ভ সেই মাটিতে আসতে কোন বাধাই তাঁকে আটকিয়ে রাখতে পারে নাই। তিনি দেশের টানে, দেশের মানুষের টানে সকল রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সেদিন দেশের মাটিতে পা রেখেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হলে শেখ হাসিনার নির্দেশে যুবলীগের নেতাকর্মীরা রাজপথে নেমে আসে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন ও গণতন্ত্রপ্রত্যাশী দেশবাসীর ক্রমাগত প্রতিরোধ আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুকন্যার আপোষহীন ও দৃঢ় মনোভাব এবং দেশবাসীর অনড় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ১১ জুন দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগ ও নানামূখী ষড়যন্ত্রের পর তৎকালীন অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা পুনরায় ফিরে আসে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এড. মামুনুর রশীদ, ডা. খালেদ শওকত আলী, মোঃ রফিকুল ইসলাম, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজ উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, জহির উদ্দিন খসরু, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হারিছ মোঃ শেখ সাগর, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মোঃ খলিলুর রহমান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এড. মুক্তা আক্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সফেদ আশফাক আকন্দ তুহিন, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ (আইটি) সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানাসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ।
এসি
আরও পড়ুন