অপরাধবোধ থেকে বিএনপি নির্বাচনে যেতে সাহস পায় না: শেখ পরশ
প্রকাশিত : ১৭:১৯, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, বিএনপি-জামাত নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা করছে, কারণ তাদের নিজস্ব অপরাধবোধ থেকে তারা নির্বাচনে যেতে সাহস পাচ্ছে না।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে ইতালী ও জাপান শাখা যুবলীগের সহযোগিতায় আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে অসহায় ও দুঃস্থ শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ফজলে শামস্ পরশ বলেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। আমি এই প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানাই এবং নতুন নির্বাচন কমিশনকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু বিএনপি-জামাত নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা করছে, কারণ তাদের নিজস্ব অপরাধবোধ থেকে তারা নির্বাচনে যেতে সাহস পাচ্ছে না। সাহস পাবেই বা কিভাবে, তারাতো অপরাধী এবং দোষী।
তিনি বলেন, তাদের প্রধান নেত্রী খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ভারপ্রাপ্ত নেতা তারেক জিয়া ১০ ট্রাক অস্ত্রপাচার মামলায় এবং একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করা এবং দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, অগ্নি সন্ত্রাস করে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার দল বিএনপি। তারেক এবং খালেদা জিয়ার নির্দেশেই যে অগ্নি সন্ত্রাস চালানো হয়েছিল তা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের মাধ্যমে প্রমাণ পাওয়া যায়। ২০১৪ সালের সেই নেক্কারজনক ঘটনাকালে অগ্নিদগ্ধ ও আপনজন হারা স্বজনদের ব্যথা এখনো মানুষের মনে দাউ দাউ করে জ্বলছে। বিএনপি জানে তাদের জন্য মানুষের শুধু ঘৃণাই রয়েছে; মানুষ তাদের বিশ্বস করে না। তাই তারা নির্বাচনে যেতে ভয় পায়। কারণ তারা জানে যে এই অপরাধী বিএনপিকে মানুষ কোনদিনও ভোট দেবে না। সেই অপরাধবোধ থেকে মানুষের সামনে ভোট চাইতে যেতে ভয় পায়। জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা মানি-লন্ডারিং করে বিদেশে পাচার করেছে তারেক জিয়া ও বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এই প্রথম একটানা আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আছে বলেই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অর্থনৈতিক উন্নতি করা সম্ভব হচ্ছে। এই ১৩ বছর ধারাবাহিক গণতন্ত্র চলমান রয়েছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই দেশের মানুষ উন্নতি উপভোগ করছে। আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনা করছে বলেই বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে।
শেখ পরশ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দারিদ্র দুর করে এদেশের মানুষের মুখে দু’বেলা ভাতের ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। ভূমিহীনদের বিনামূল্যে জমি, ঘর ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। সাধারণ মানুষের জীবনের চেহারাই পালটে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়ে আলোকিত করছে বঙ্গবন্ধুকন্যার সরকার। রাস্তাঘাট, পুল ও ব্রীজ করেছে। যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। শেখ হাসিনার সরকারের আমলে নিম্নবিত্ত মানুষ ভালভাবে বাঁচার সুযোগ পেয়েছে। দারিদ্রের ভাগ চল্লিশ থেকে ২০ ভাগে নামিয়ে আনা হয়েছে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা স্বাধীনভাবে ব্যবসা করতে পারছে, কারণ তারেক জিয়ার আমলের মত হাওয়া ভবনে চাঁদা দিয়ে ব্যবসা নিতে হয় না।
এসি
আরও পড়ুন