আবারও বাড়ল খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ
প্রকাশিত : ১৭:৩২, ১৬ মার্চ ২০২২
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়াতে মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
আইনমন্ত্রী জানান, আগের শর্তে মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর মতামত দিয়েছেন তারা।
গেল সপ্তাহে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছেন। এবারও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে আবেদনে।
বুধবার (১৬ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজার মেয়াদ স্থগিতের আবেদন আইন মন্ত্রণালয় মতামত দিয়ে আজই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, পারিবারিকভাবে একটা দরখাস্ত করা হয়, সেটায় কোনো আইনের উল্লেখ ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতার কারণে এটা আইনের মাধ্যমে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী তার সাজা স্থগিত রেখে মুক্তি দেওয়া হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, উনারা দরখাস্ত করেছেন সাজা স্থগিতে মেয়াদ বাড়ানোর। সেটা আমার কাছে এসেছে, আমার মতামত পাঠিয়ে দেব, আজকেই চলে যাবে। সেই মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানবেন আপনারা।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ওনাদের (খালেদা জিয়া পরিবার) পত্র আমরা পেয়েছি। আইন মন্ত্রণালয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সেটি পাঠিয়েছি। তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষান্তে যে পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন হবে সেখানে প্রেরণ করব আমরা।
সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরে তার দণ্ডের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত দেয় সরকার। সেই মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হবে।
দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছর দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুই বছরের বেশি সময় কারাভোগের পর করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সরকারের নির্বাহী আদেশে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের জন্য মুক্তি পান খালেদা জিয়া।ফৌজদারি কার্যবিধিতে এ সাজা স্থগিত দেখিয়ে এর আগে মোট ৪ দফায় মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার।
৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বর্তমানে গুলশানে তার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। তিনি আর্থারাইটিসের ব্যথা, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন।
এমএম/
আরও পড়ুন