ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

বিএনপির করুণ পরিণতির জন্য খালেদা-তারেককে দুষলেন মাহবুব (ভিডিও)

আতিক রহমান পূর্ণিয়া, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৬, ১৫ মে ২০২২

দল ছেড়ে আসার প্রায় দুই বছর পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য এবং সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেনেন্ট জেনারেল মাহাবুবুর রহমান জানিয়েছেন, দলরে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কারণেই তিনি রাজনীতি ছেড়েছেন। বিএনপির বর্তমান করুণ পরিণতির জন্য খালেদা জিয়া এবং তারেককেই দুষলেন তিনি।

’৯৬ পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের সেনাবাহিনী প্রধান ছিলেন ল্যাফটেনেন্ট জেনারেল মাহবুবুর রহমান। অবসরে যাওয়ার পর ২০০১’র জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করে জিতে আসেন তিনি। পরে বিএনপির স্থায়ী কমিটিরও সদস্য হন।

লে. জে (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, “ওরা যেভাবে চাইবে সেভাবে তো আমি দাঁড়াতে পারবো না।”

এক এগারো পরবর্তী জটিল সময়ে দলের পেছনে থেকে বিএনপি’র সহায়তা করলেও দলের সব অংশের আস্থা পাননি সেসময়। আস্থায় আসতে পারেননি খালেদা জিয়া পরবর্তী বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বেরও। বয়সের সাথে সাথে দলে কোনঠাঁসা হয়ে পড়া সাবেক এই সেনাপ্রধান এক সময় দল ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

সাবেক সেনাপ্রধান মাহবুবুর রহমান বলেন, “এখানে স্বার্থবাদীরা দেশের সর্বনাশ করার কথা বলে। এটার মধ্যে কোন সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম আমি কম দেখেছি।”

বিএনপিতে এখন প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আদর্শের কোনও প্রতিফলন নেই বলে মনে করেন তিনি।

মাহবুবুর রহমান বলেন, “লিডারশীপ আমার ভাল লাগেনি। জিয়াউর রহমানের লিডারশীপের কথা চিন্তা করলে এই লিডারশীপের সাথে মিলে না। আদর্শে, চিন্তা-ভাবনায়, কর্মকাণ্ডে মিল নেই। তাই সরে এসেছি।”

গত এক যুগের রাজনীতিতে বিএনপি কেবল ভুলে ভরা বলে মনে করেন মাহবুবুর রহমান।

মাহবুবুর রহমান বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া তিনি অসুস্থ, তিনি সেভাবে কাজ করতে পারেননা। ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তাকে কেউ কখনও দেখেনি। মানে সে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত নাই। জনগণ জানে না, চিনে না। এইভাবে তো রাজনীতি হয় না।”

সেনাবাহিনীতে কাটানো জীবনের সময়টিকে সেরা সময় উল্লেখ করে রাজনীতিতে নিজের ব্যর্থতা মেনে নেন এই সাবেক সেনাপ্রধান।

সাবেক সেনাপ্রধান মাহবুবুর রহমান বলেন, “সৈনিক হিসেবে সবকিছু মিলে একটা আবেগ সৃষ্টি করে।”

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি