ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

একমাত্র শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য: শেখ পরশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:০৩, ১৬ মে ২০২২ | আপডেট: ২১:৩২, ১৬ মে ২০২২

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, একমাত্র শেখ হাসিনাই অপরিহার্য বাংলাদেশের জন্য। শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নাই।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামাত সরকার এদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিল ৫ বার, আর শেখ হাসিনার সরকার দুর্নীতি দমন কমিশনকে স্বাধীন করেছে, শক্তিশালী করেছে। আজকে একটা মেসেজ ক্লিয়ার দুর্নীতিবাজ যেই হোক, কারোর রক্ষা নাই। আজকে দলীয় নেতা-কর্মী বলেন, আর প্রশাসনিক আমলা বলেন দুর্নীতি করলে শাস্তি পেতেই হবে। 

সোমবার (১৬ মে) ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা, দৃষ্টি প্রতিবন্ধি, বাক প্রতিবন্ধি, শ্রবণ প্রতিবন্ধি ও শারীরিক প্রতিবন্ধিদের মাঝে শাড়ী, লুঙ্গি, হুইল চেয়ার ও সাদা ছড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ এ কথা বলেন।  

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি-জামাত সরকার এদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছিল, আর শেখ হাসিনা সরকার জঙ্গিবাদ এদেশ থেকে নির্মূল করে দিয়েছে। বিচার বিভাগকে স্বাধীন করে দিয়েছে, তাই এমপি বলেন আর প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন কাউকেই ছাড় দেয়া হচ্ছে না, সাজা হচ্ছে। ১৯৭৫ পরবর্তী অনেক সরকার দেখেছি, কিন্তু শেখ হাসিনার সরকারের মত ও সততা-ন্যায়পরায়ণতা আর কোন সরকার দেখাতে পারে নাই এই ৫০ বছরের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে। 

শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা এই ১৭ই এপ্রিল ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলে এদেশের মানুষ, আমরা প্রকৃত দেশপ্রেমী এবং আদর্শিক নেতৃত্ব ফিরে পেয়েছি। দীর্ঘ ৬ বছর শরণার্থী ও নির্বাসনের জীবন কাটিয়ে, সকল ভয়কে উপেক্ষা করে, এদেশের মানুষকে ভালোবেসে তাদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে মাথায় কাফন বেঁধে তিনি দেশে ফিরে এসেছিলেন সেই যন্ত্রণাবিদ্ধ বর্ষায়। ভেবে দেখুন, সামরিক শাসনামলে তাঁর স্বদেশে ফেরা ছিল কতটা সাহসী সিদ্ধান্ত। ২৩ বছর তাঁর পিতা, আমাদের জাতির পিতা এদেশের দুঃখী মানুষকে ভালবেসে যৌবনের ১৫টি বছর সংগ্রাম করেছেন, জেল, জুলুম অত্যাচার সহ্য করেছেন। সেই ভালবাসার মূল্য দিতে এদেশের মানুষও বঙ্গবন্ধুকে পাল্টা ভালবেসে তাঁর ডাকে মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ১৯৭১ সালে, ৩০ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছিল, আমাদের মায়েরা ইজ্জত দিয়েছিল। সেই ভালবাসার ঋণ বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুকন্যা ধারাবাহিকভাবে দুই প্রজন্ম ধরে শোধ করে যাচ্ছেন। 

তিনি বলেন, পরিবারের ১৫ জন সদস্য হারাবার শোক তাঁকে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করে যেতে শক্তি দিয়েছে, করে তুলেছে আরও দায়িত্বশীল। বঙ্গবন্ধু সপরিবারে জীবন দিয়ে গেছেন, আর তাঁর কন্যা মাথায় কাফন বেঁধে এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে দিচ্ছেন। মানিক মিয়া এভিনিউয়ে আয়োজিত লাখো জনতার উপস্থিতিতে সেদিনের সমাবেশে শেখ হাসিনা বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে বলেছিলেন, “সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির জনকের হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।”

শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথ থেকে আমাদের নেত্রী কখনো বিচ্যুত হন নাই। বরঞ্চ বঙ্গবন্ধুর সামাজিক ন্যায় বিচার এবং ন্যায় পরায়ণ সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই শেখ হাসিনা দেশের প্রচলিত আইনের মাধ্যমে জাতির পিতা হত্যার বিচার সম্পন্ন করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন। আজকে শেখ হাসিনার ত্যাগ ও তিতিক্ষার ফলে বাংলাদেশ শুধুমাত্র একটা উন্নয়নশীল দেশই নয়, একটা মর্যাদাশীল দেশও বটে। শেখ হাসিনা একজন আত্মপ্রত্যয়ী, মানবতাবাদী ও দূরদর্শী নেতৃত্ব হিসাবে আজকে নিজেকে সারাবিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সহনশীলতা ও দৃঢ়তা, ধৈর্য, যেন তাঁর চরিত্রগত ধর্ম। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতীক হিসেবে সারা পৃথিবীতে নন্দিত। তিনি গণমানুষের নেতা থেকে আজ বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছেন।

শেখ পরশ বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইস্তেহার খুলে পড়ে দেখুন এমন কোন প্রতিশ্রুতি নাই, যেটা তিনি পূরণ করেন নাই। বরং যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জনগণের কাছে তাঁর থেকে অনেক বেশি এই সরকার করেছে। শুধু হাওয়ার উপর বক্তব্য দিলে হবে না, খাতা-কলম নিয়ে, তথ্য-উপাত্ত নিয়ে বসে দেখেন, অন্যান্য সরকার কি করেছে, আর আমাদের বঙ্গবন্ধুকন্যার সরকার কি করেছে। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি যে এমন কোন প্রতিশ্রুতি খুঁজে পাবেন না যেটা শেখ হাসিনা পূরণ করেন নাই। করোনা মোকাবিলায় বিশ্বে চতুর্থ স্থান অধিকারি বাংলাদেশ; নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য, শিশুমৃত্যুর হার, পরিবেশ, শিল্পায়ন, বিনিয়োগ ইত্যাদিতে বাংলাদেশ বিশ্বে সেরা এবং একটি অনুকরণীয় রাষ্ট্র।

এসি
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি