জেলা মহিলা লীগের কাউন্সিলকে ঘিরে সরগড়ম কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত : ১০:০৯, ২৫ অক্টোবর ২০২২
সভাপতি প্রার্থী নাজমিন সুলতানা নাজলী ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ফারহানা মিমি
দীর্ঘ ১৬ বছর পর বাংলাদেশ মহিলা লীগের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে সরগড়ম গোটা জেলা। আগামী ২৬ অক্টোবর কাউন্সিলকে ঘিরে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে সবার মধ্যেই। কে হচ্ছেন পরবর্তী সভাপতি আর কে বা নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন সাধারণ সম্পাদক।
গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি পদ নিয়ে দলের মধ্যেও তৈরি হয়েছে সূক্ষ্ম বিভাজন। যদিও নেতৃবৃন্দ সেটি স্বীকার করছেন না। তারা বলছেন, দলের জন্য যারা নিবেদিত প্রাণ, দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন, এমন যোগ্যতাসম্পন্নদের কাঁধে দায়িত্ব অর্পণ করা হবে।
তবে হঠাৎ করেই হ্যাভিওয়েট পরিবার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরতদের প্রার্থী হওয়ায় সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনা চলছে জোড়েসোরে।
জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা মহিলা লীগের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত সভাপতি পদে ৩ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জন জেলা ও কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে তারা জানান।
সভাপতি পদে ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছেন সাবেক মহিলা সংরক্ষিত আসনের এমপি ও বর্তমান সভাপতি আহম্মেদ নাজনীন সুলতানা নাজলী, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি মারশাদ আক্তার খুকি এবং নাগেশ্বরী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা মজিবর রহমান বীরবলের পূত্রবধূ মনিরা ইসলাম।
অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন সুরাইয়া বেগম জাকির, খাদিজা সুলতানা কেয়া, ফাল্গুনী তরফদার ও ফারহানা ইয়াছমীন মিমি।
জানা গেছে, সভাপতি পদে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের মধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থী আহম্মেদ নাজনীন সুলতানার স্বামী কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। অপর প্রার্থী মারশাদ আক্তার খুকি ঢাকা প্রবাসী। তিনি চিলমারীর পূত্রবধূ। স্বামী কাস্টমস কর্মকর্তাকে নিয়ে ঢাকার উত্তরায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। কেন্দ্রীয় প্রোগ্রাম হলে তিনি দলবলসহ কুড়িগ্রামে এসে আবার ফিরে যান। জেলায় অবস্থান না করলেও নেতৃবৃন্দের সাথে তার যোগাযোগ রয়েছে।
অপর প্রার্থী মনিরা ইসলাম একজন গৃহিণী। রাজনীতির সাথে তেমন কোন সংশ্রব নেই। তিনি এবার প্রার্থী হয়ে সবার দৃষ্টি কেড়েছেন।
এদিকে, সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়ে আলোচনায় এসেছেন বর্তমান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এমপির সহধর্মিনী সুরাইয়া বেগম জাকির। তিনি রৌমারী উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতি এবং তিনি সহকারী পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা হিসেবে রৌমারীতে কর্মরত আছেন।
অপর প্রার্থী খাদিজা সুলতানা কেয়া নাগেশ্বরী উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের মনিয়ারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। ফাল্গনী তরফদার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তিনি এবার সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন। এদের মধ্যে কনিষ্ঠজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ফারহানা ইয়াছমীন মিমি পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক এবং সাবেক যুব মহিলা লীগ ও ছাত্রলীগ নেত্রী।
এমন পরিস্থিতিতে চারজন সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহী হওয়ায় চলছে নানান গুঞ্জন।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু জানান, জেলা আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবেভাবে কাজ করছে। আমাদের মধ্যে কোন বিভেদ নেই। জেলা মহিলা লীগের নেতৃত্ব নির্বাচনে দলের জন্য যারা নিবেদিত প্রাণ, দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন, এমন যোগ্যতাসম্পন্নদের কাঁধে দায়িত্ব অর্পণ করা হবে।
এএইচ
আরও পড়ুন