ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৪ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

কূটনৈতিক পাড়ামুখী দেশের রাজনীতি (ভিডিও)

আতিক রহমান পূর্নিয়া, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪১, ২৫ মার্চ ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

হঠাৎ করেই যেন দেশের রাজনীতি কূটনৈতিক পাড়ামুখি হয়ে গেছে। দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল কূটনৈতিকদের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক করলেও দুই দলের নেতারাই দাবি করছেন তারা কূটনীতিকদের কাছে দৌড়ান না, কূটনীতিকরা তাদের কাছে আসে।

কত কয়েকমাস ধরে বাংলাদেশের আগামি নির্বাচন, মানবাধিকার, দূর্নীতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিশ্বের প্রভাবশালি ও ধনী দেশগুলো লাগাতার কথা বলে যাচ্ছে। এর মাঝে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে গুরুত্ব দিয়ে আওয়ামি লীগ ও বিএনপির একাধিক বৈঠক হয়েছে। 

সবশেষ গত ১৬ মার্চ ভারতীয় হাই কমিশনে বিএনপির নৈশভোজ এবং ২২ মার্চ মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আওয়ামি লীগের মধ্যাহ্নভোজ রাজনীতির মাঠে নতুন করে আলোচনার খোরাক যোগায়। যদিও দুই দলের নেতারাই বলছেন, তারা নিজে থেকে নির্বাচন নিয়ে কারো কাছে ছুটাছুটি করছেন না।

আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলির সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, “কোনো দূতাবাস থেকে যদি দাওয়াত দেয় তবে সেখানে যাওয়াটা অপরাধের নয়। তাদের যদি আমরা আমন্ত্রণ জানাই সেটাও অপরাধ নয়। কারো কোনো ভূমিকা নিয়ে আমরা আশ্বস্ত নয় আবার নিরাশও না। এই দেশের মানুষের সমর্থনটাই আমাদের কাছে বড় বিষয়।”

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, “আমাদের যারা ডোনার যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, রাশিয়া, চীন- যে দেশই বলেন না কেন তারা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভাবনা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, রাষ্ট্রের কাছে যে ২৭ দফা পেশ করা হয়েছে সে সম্পর্কে তারা জানতে চায়। এটা বাস্তবায়ন কিভাবে হবে এবং আগামীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সরকার গঠন করলে তারা কি কি সংস্কার করবে ।”

আমেরিকার পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি আলোচিত ও আগ্রহের দেশ ভারত। যদিও ভারতের সঙ্গে বিএনপি তাদের কোনও দূরত্ব স্বীকার করে না। আর আওয়ামী লীগের  দাবি, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আছে ঐতিহাসিক সম্পর্ক।

শামা ওবায়েদ বলেন, “খারাপ ছিলনা কখনই, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে, ভবিষ্যতে বজায় রাখবে।”

আব্দুর রহমান বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের বিষয়টা একেবারেই নির্বাচন কেন্দ্রিক নয়। এটা ঐতিহ্যগত এবং ঐতিহাসিকভাবে তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের বন্ধন-ভ্রাতৃত্বের বন্ধন অটুট আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।”

ভারত এবং আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে দুই দলের নেতাদের আছে বিপরীতমুখি বক্তব্য।

আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলির সদস্য বলেন, “আমেরিকার সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের চির ধরেছে, ব্যাপারটা মুখরোচক গল্পের মতোই। যুক্তরাষ্ট্র একটা মহাশক্তিধর দেশ সুতরাং তাদেরকে আমরা অনুরোধ করবো যে, বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতিফলনে তারা শ্রদ্ধাশীল থাকবে।”

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, “ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক খারাপ এই পার্সেপশনটা তৈরি করতে চায় আওয়ামী লীগ। কারণ আওয়ামী লীগ ভাবে এটা তৈরি করতে পারলে তারা বেনিফিট পাবে।”

মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে আওয়ামি লীগের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং বিএনপির ভারত বিরোধিতার রাজনীতি আলোচনার টেবিলে আগ্রহের বিষয় হিসাবে সবসময় রয়ে গেছে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি