ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

পংকজ ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও বিভিন্ন সংগঠনের শোক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:১২, ২৪ এপ্রিল ২০২৩ | আপডেট: ২০:১২, ২৪ এপ্রিল ২০২৩

ষাটের দশকের ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন গেরিলা বাহিনীর সংগঠক, ঐক্য ন্যাপ সভাপতি, প্রবীণ রাজনীতিবিদ পঙ্কজ ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নেতৃবৃন্দ।

আজ পৃথক শোক বার্তায় তারা পঙ্কজ ভট্টাচার্যের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন এবং তার পরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। 

তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক, ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম নেতা এবং সাবেক শিল্প মন্ত্রী দিলীপ বড়–য়া, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফৌজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক-এর সভাপতি এম হাফিজুদ্দিন খান এবং সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। 

শোকবার্তায় নেতৃবৃন্দ বলেন, মহান মু্িক্তযুদ্ধে অন্যতম গেরিলা বাহিনীর সংগঠক পঙ্কজ ভট্টাচার্য ষাট দশকের ছাত্র আন্দোলনের সময় থেকে সব গণআন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও পরে কার্যকরী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী পঙ্কজ ভট্টাচার্য পরে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন নামে প¬্যাটফর্ম গড়ে তোলেন ও ২০১০ সালে ঐক্য ন্যাপ (ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি) প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৩৯ সালে চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণকারী পঙ্কজ ভট্টাচার্য একজন কৃতি ফুটবলার ছিলেন এবং তিনি বিভিন্ন গণমাধ্যমে লেখালেখির জন্যও সুনাম অর্জন করেছিলেন। 

তারা বলেন, পংকজ ভট্টাচার্য ছাত্রাবস্থা থেকে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক এবং সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সাথে যুক্ত থেকে আজীবন তার বিশ্বাসকে মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সমুন্নত রেখেছেন। তিনি সুবিধাবাদী রাজনীতিকে পরিহার করে নিজের বিশ্বাস ও সামগ্রিকভাবে দেশের স্বার্থে জেল, জুলুমকে হাসিমুখে বরণ করে আজীবন দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করে গেছেন। দেশের গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনে তিনি চিরদিন বেঁচে থাকবেন। 

বাম গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রবীণ নেতা দেশের সকল প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক আন্দোলনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করেছেন। তার প্রয়াণে দেশ একজন সক্রিয় রাজনীতিবিদকে হারালো। এ শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। 

রোববার রাতে প্রবীন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব পঙ্কজ ভট্টাচার্যের জীবনাবসান হয়। রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরনের জটিলতায় ভুগছিলেন। 

১৯৩৯ সালে চট্টগ্রামের রাউজানে জন্ম নেয়া পঙ্কজ ভট্টাচার্য ছোটবেলা থেকেই ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত হন। চট্টগ্রাম ও ঢাকায় শিক্ষাজীবন কাটানো পঙ্কজ কলেজ থেকে বহিস্কৃতও হন। ১৯৬২ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ও পরে কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ষাটের দশকে ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে বাঙালির স্বাধিকার আদায়ের সংগ্রামের প্রতিটি পর্বে অন্যতম সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়েও বাংলাদেশের প্রতিটি ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন তিনি। পঙ্কজ ভট্টাচার্য ছিলেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও আদিবাসীদের অকৃত্রিম বন্ধু। 

কেআই//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি