ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

লক্ষ্মীপুরে নিহত সজিবের হত্যার বিচার দাবী আওয়ামীলীগের 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:০৭, ১৯ জুলাই ২০২৩

বিএনপির পদযাত্রা ও আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত সজীবের হত্যার বিচার দাবী করেছেন লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন।

বুধবার(১৯ জুলাই) বিকেলে শহরস্থ দলীয় অস্থায়ী কার্যালয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ বিচার দাবী করেন।

এসময় তিনি বলেন, একজন পথচারী ব্যাক্তিগত শত্রুতার জের ধরে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হয়েছে। খবর নিয়ে জানা গেছে তার কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই। সে একজন টাইলস মিস্ত্রি। কর্মসূচী চলাকালিন সময়ে বিচ্ছিন্ন ঘটনায় নিহত হওয়ার পরে গভীর রাতে বিএনপি তাকে নিজেদের দলীয় কর্মী দাবী করে ঘটনাকে রাজনৈতিক রূপ দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। আওয়ামীলীগকে দায়ী করার অসৎ উদ্দেশে বিএনপি হত্যার ষড়যন্ত্রে মেতেছে। 

তিনি আরও বলেন, যেভাবেই হোক এমন হত্যার ঘটনা ন্যাক্কারজনক। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাই। একইসাথে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে তাদের বিচারের দাবী জানাই।

সংবাদ সম্মেলনে নুরউদ্দিন নয়ন আরও বলেন, বিগত কয়েক বছর থেকে সারাদেশের ন্যায় লক্ষ্মীপুরেও আওয়ামীলীগের উন্নয়ন ও শান্তির সুবাতাস বইছে। এমন শৃঙ্খল পরিবেশে জীবনযাত্রায় যখন জেলাবাসী স্বস্তিবোধ করছে, ঠিক তখনই বিএনপি এই জনপদকে অশান্ত করার জন্য নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। 
তিনি বলেন, দেখা গেছে বিএনপি নেতারা তাদের সভা সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের বিদ্রুপ করে বক্তব্য দেয়। অশালিন ভাষায় আওয়ামীলীগ নেতাদের নাম ধরে বক্তব্য দেয়। এমন আপত্তিকর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বিএনপি নেতারা তাদের কর্মীদের সহিংস হতে উস্কানি দিচ্ছে। বিএনপির ছত্রছায়ায় ইতোপূর্বে (বিএনপির ক্ষমতাকালীন) লক্ষ্মীপুর সন্ত্রাসীদের জনপদ হয়েছিল। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রশাসনের সহযোগীতায় অনেক কষ্ট করে এ জনপদকে সন্ত্রাসমুক্ত করা হয়েছে। এজন্য লক্ষ্মীপুরবাসী এখন আওয়ামীলীগের উপর অনেক আস্থাশীল। সেজন্য বিএনপির মনে সইছেনা। তারা তাই উঠেপড়ে লেগেছে লক্ষ্মীপুরকে ফের অশান্ত করে লুটপাট,হত্যাযজ্ঞ সহ বিভিন্ন নির্বিচার চালিয়ে যেতে।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, দুই দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচী ছিল। আওয়ামীলীগ উত্তর তেমুহনী এলাকায় শান্তি সমাবেশ করছিল। এবং বিএনপি দক্ষিণ তেমুহনী থেকে ঝুমুর এলাকায় পদযাত্রা কর্মসূচী করছিল। এ অবস্থায় ওই সময়ে কলেজরোডে আমাদের কিংবা তাদের দলীয় কর্মসূচীতে আসা কারও অবস্থান করার কথা নয়। তাহলে রাজনৈতিক সহিংসতায় সেখানে হত্যাকান্ড ঘটার কোন সুযোগও থাকেনা। এদিন ব্যাক্তিগত কারনে বিচ্ছিন্ন ঘটনায় হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবী জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহমেদ পাটওয়ারী, জেলা আওয়ামী লীগের  সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট রাসেল মাহমুদ ভূঁইয়া মান্না, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সহ আরও অনেকে।

এমএম//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি