আওয়ামী লীগ সব সময় মানুষের ভাগ্য বদলাতে কাজ করেছে: আমিনুল ইসলাম
প্রকাশিত : ২৩:১০, ২৪ জুলাই ২০২৩
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে বিদেশী মুরব্বীদের কোন প্রেসক্রিপশনের প্রয়োজন নেই। বিএনপি ও তাদের কথিত মিত্ররা যারা প্রকৃতপক্ষেই ৭১ এর পরাজিত শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে তারা নির্লজ্জ, মিথ্যাচার এবং লক্ষকোটি ডলার বিনিয়োগ করে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করায় বাংলাদেশের উপর এখন আগ্রাসী শকুনের কুদৃষ্টি পড়েছে। আমি প্রশ্ন করতে চাই যে সব দেশের কূটনীতিকরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে চায় এবং যেই ইস্যুগুলো দাড় করিয়েছে সেগুলো তাদের দেশে আছে কিনা? সুতরাং তাদের কাছে একটাই প্রশ্ন একাত্তরের বাংলাদেশে যে নজিরবিহীন ও অকল্পনীয় নৃসংশ গণহত্যা ঘটেছিল সে ব্যাপারে কখনো সোচ্চার হয়েছেন কি? বাংলাদেশে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির কারণগুলো খুঁজে দেখেছেন কি?
তিনি বিএনপি-জামাতের উদ্দেশ্যে বলেন, এরা নিজের নাক কেটে দেশের অগ্রযাত্রা ব্যহত করতে চায়। তারা জানে ভোটের মাধ্যমে আওয়ামীলীগকে পরাজিত করা যাবে না, কারণ, আওয়ামী লীগ সব সময় মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছে। তাই তারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে বিদেশী প্রভুদের দ্বারস্থ হয়েছে।এই অপশক্তিকে আগামীতে যে কোন মূল্যে রুখতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক দেশের ক্ষমতা পরিবর্তনের একমাত্র অবলম্বন নির্বাচন অবশ্যই সংবিধান সম্মতভাবে হওয়া বাঞ্চনীয়। সবচেয়ে বড় কথা গণতন্ত্রের ভিত্তিকে অতীতে যারা দুর্বল করেছে এবং স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে তারা যদি নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাহলে ভাবতে হচ্ছে যে দেশে আরেকটি ১/১১ এর মত অনির্বাচিত সরকার গঠনের অশনি সংকেত। চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন এই অশনি সংকেত রুখে দেয়ার একটি ড্রেস রিহ্যার্সেল।
তিনি আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম-১০ আসনের আওতাধীন মহানগর আওয়ামী লীগের ইউনিট, ওয়ার্ড, থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক-যুগ্ম আহ্বায়কদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সাধারণভাবে উপনির্বাচন নিয়ে ভোটারদের আগ্রহ কম থাকায় উপস্থিতির হার নিম্নমুখী হয়। এছাড়াও বিরূপ আবহাওয়া তো রয়েছেই এবং নির্বাচনের মাঠে নেই এমন অপশক্তি নাশকতা ও অরাজকতার হুমকিও এর একটি বড় কারণ। তবে নেতাকর্মীরা যদি এখন থেকে তৎপর হন ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়ে এই উপনির্বাচনের গুরুত্ব এবং ভোটারদের গণতন্ত্র রক্ষায় কি কি করণীয় দায়িত্ব রয়েছে সে সব সম্পর্কে তাদেরকে বার্তা দিতে পারলে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আসতে উৎসাহিত হবেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে তারা আছেন বা নেই সেটা বড় কথা নয়। নির্বাচন হচ্ছে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবেই। এটাই বাস্তবতা। এই নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারণ করবেন ভোটাররা। নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কাউকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। যদি এভাবে দেখি তাহলে এটা আমাদের দুর্বলতা। তাই নেতাকর্মীদের দায়িত্ব হল ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে উপস্থিতির হার বৃদ্ধি করা এবং বিগত ১৪ বছর বর্তমান সরকার ও আওয়ামী লীগের সাফল্য, অর্জন ও প্রাপ্তির তালিকাগুলো ভোটারদের কাছে উপস্থাপন করা। এই দায়িত্বটি নিষ্ঠার সাথে পালন করতে পারলে শুধু এই উপনির্বাচন নয় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
চট্টগ্রাম-১০ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, অতীতে আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হয়নি। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রত্যেকটি ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের নিয়ে দলকে সংগঠিত করে জনগণের ঘরে ঘরে গিয়ে বর্তমান সরকারের সাফল্য ও সফলতার বার্তাগুলো পৌঁছে দিতে পারলে কোন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিশ্চিত বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চুর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন চৌধুরী, উপদেষ্টা আলহাজ্ব শফর আলী, শেখ মোহাম্মদ ইসহাক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুক, তথ্য গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, ত্রাণ সমাজকল্যাণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ হোসেন, কৃষি সম্পাদক আহমেদুর রহগমান সিদ্দিকী, নির্বাহী সদস্য সৈয়দ আমিনুল হক, আবদুল লতিফ টিপু, হাজী বেলাল আহমদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিদ্দিক আহমদ, সৈয়দ মো. জাকারিয়া, আবুল কাসেম, আতিকুর রহমান, আবদুল্লাহ আল ইব্রাহিম, অধ্যাপক মো. ইসমাইল, আসলাম হোসেন, কায়সার মালিক, দিলদার খান দিলু, শওকত আলী, নাজিমুল ইসলাম মজুমদার, এরশাদ উল্লাহ, লুৎফল হক খুশি, আবদুল হান্নান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
কেআই//
আরও পড়ুন