ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

‘জীবন দিয়ে দেশের প্রতি ভালোবাসার দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন জাতীয় চার নেতা’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৫৪, ৭ নভেম্বর ২০২৩ | আপডেট: ১৯:৫৫, ৭ নভেম্বর ২০২৩

জাতীয় নেতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের পুত্র, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, জাতীয় চার নেতা জীবন দিয়ে গেছেন, কিন্তু বেঈমানি করেননি। নিজেদের জীবন দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি আনুগত্য, অসীম সাহস ও দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন জাতীয় চার নেতা। এখান থেকে আমাদের নতুন প্রজন্মকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবস ও জাতীয় চারনেতা স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি-এর সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘স্লোগান-৭১’ এর আয়োজনে সোমবার সন্ধ্যায় স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এবং ৩রা নভেম্বর জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস নিয়ে বড় করে আলাদা সাবজেক্ট হিসেবে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। যেখান থেকে আমাদের নতুন প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছি। প্রয়োজন হলে পিতার মতো আমরা নিজেরাও জীবন দিয়ে যাব। 

সভায় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কন্যা ও কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি বলেন, আমার আব্বাকে জেলখানায় দেখতে গেলাম, অনেক কথা হলো। আম্মা আব্বাকে বললো আপনার দুই মেয়ে আপনাকে নিয়ে খুব চিন্তা করে। আব্বা বললেন চিন্তা করোনা, আমি খুব শ্রীঘই তোমাদের কাছে চলে আসবো। চার তারিখ বিকালবেলায় জেলখানা থেকে আমাদের কাছে একটি ফোন আসলো, আব্বা হয়ে গেলো মৃতদেহ। আব্বা কথা রেখেছেন তিনি  ঠিকই বাড়িতে ফিরে আসলেন, কিন্তু নিথরদেহে।

শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর দৌহিত্র ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের এমপি প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় বলেন, জাতীয় চার নেতা মৃত্যু অবধারিত জেনেও খন্দকার মোস্তাকের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এই সাহস ও ত্যাগ এবং নেতার প্রতি আনুগত্য ও দেশের প্রতি ভালোবাসা বিরল।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ এর জ্যেষ্ঠ কন্যা শারমিন আহমদ রিপি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমাদের দাবি ১০ এপ্রিলকে প্রজাতন্ত্র দিবস ঘোষণা, ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তক ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা।

সভার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সভায় আলোচক ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসেন। ‘স্লোগান’৭১ এর সভাপতি নয়ন আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অমির সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদের ডিন ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেন, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিক ইনান, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ তানভীর হাসান সৈকত, স্লোগান’৭১ উপদেষ্টা কাজল আব্দুল্লাহ,  স্লোগান’৭১ সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা ভূইয়া মো. ফয়েজউল্লাহ মানিক প্রমুখ।

কেআই//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি