ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৩১, ১ এপ্রিল ২০২৪ | আপডেট: ১৯:৫২, ১ এপ্রিল ২০২৪

বিরাজনীতিকরণের নামে আমরা বুয়েটকে (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) জঙ্গিবাদের আখড়া বানাতে পারি না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি-বাচসাস এর ৫৬ বছরপূর্তিতে 'মুক্তিযুদ্ধের স্মার্ট বাংলাদেশ' আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক প্রসংগে মন্ত্রী এ কথা বলেন। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ এমপি বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, বুয়েটে সবসময় ছাত্ররাজনীতি ছিলো। দেশের অনেক বরেণ্য রাজনীতিবিদ বুয়েট থেকে পাশ করেছেন৷ কিন্তু একটা গোষ্ঠি নির্বাচন বয়কট করেছিল এবং পরে বিদেশিদের মুখের দিকে তাকিয়েছিলো, যে কিছু হয় কি না। কিন্তু বিশ্বনেতারা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানোর ফলে তাদের সেই আশা পূরণ হয়নি। তারাই বুয়েটকে বিরাজনীতিকরণের মাধ্যমে পুরো দেশকে বিরাজনীতিকরণ করতে চায়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বুয়েটে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিলো। সেই ঘটনার বিচারও হয়েছে। কিন্তু প্রগতিশীল রাজনীতি বন্ধের আড়ালে সেখানে নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্টি সক্রিয় হয়েছে কি না সেটি খুঁজে বের করতে হবে। 'ক্যাম্পাসের বাইরে রাজনীতি করার অপরাধে বুয়েট ছাত্রকে ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কার করার ঘটনা ঘটেছে -এটি কোন ধরনের সিদ্ধান্ত, সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে' উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, বুয়েটে সাধারণ ছাত্ররা যে আন্দোলন করছে সেটিকে সম্মান জানাই। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে একটি শ্রেণী বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়ায় পরিণত করার আশংকা করা হচ্ছে। এটি কিছুতেই মেনে নেয়া যায়না। বুয়েটে জঙ্গিবাদ ঢুকেছে কি না সেটিও দেখা দরকার। এ সময় শিক্ষার্থীদেরকে বিপথগামিতা থেকে বাঁচাতে সংস্কৃতিচর্চায় গুরুত্ব আরোপ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ক্ষেত্রে দীর্ঘ অর্ধশতাধিক বছর ধরে বাচসাসের ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি।

হাছান বলেন, দেশে একটি সাংস্কৃতিক জাগরণ দরকার। পাড়া-মহল্লায় সংস্কৃতির বিকাশ ঘটানো দরকার। তাহলেই ছাত্ররা বিপথে যেতে পারবে না। বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে ভারতের নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, সম্পাদক ফোরামের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম রতন, বাচসাস সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ প্রমুখ সভায় অংশ নেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ও আইওএম মিশন প্রধানের সাক্ষাত ঢাকা, ১ এপ্রিল ২০২৪: বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো (Heru Hartanto Subolo) এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (International Organization for Migration) মিশন প্রধান আব্দুসাত্তর ইসোয়েভ (Abdusattor Esoev) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য  সাক্ষাৎ করেছেন।

সোমবার দুপুরে ঢাকার সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রথমে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠকে তারা  পারস্পরিক স্বার্থের  বিষয়ে  মতবিনিময়  করেন এবং  দুই  ভ্রাতৃপ্রতিম  দেশের  মধ্যে দ্বিপাক্ষিক  সম্পর্ক আরও জোরদার করার  অঙ্গীকার করেন। বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া উভয় দেশের সাম্প্রতিক জাতীয় নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী ড. হাছান ইন্দোনেশিয়ায় জাতীয় নির্বাচন সফলভাবে  অনুষ্ঠিত হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেন এবং  দেশটির নেতৃত্বকে শুভেচ্ছা জানান। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের উচ্চ সম্ভাবনার কথা  উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে পাম অয়েল শোধনাগার এবং পণ্যের বাজার প্রতিষ্ঠায়  ইন্দোনেশিয়ার বিনিয়োগকে স্বাগত জানান এবং বলেন, দেশে একশত ইকোনোমিক জোন বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত।

হাছান মাহমুদ এ সময় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত  মিয়ানমারের নাগরিকদের মিয়ানমারে তাদের  স্বদেশে দ্রুত প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য ইন্দোনেশিয়া এবং  আসিয়নের প্রতি আহ্বান জানান। আইওএম মিশন প্রধান আব্দুসাত্তর ইসোয়েভ বাংলাদেশের সাথে সংস্থার সম্পর্কের সূত্রপাত থেকে আজ অবধি কার্যক্রমের বৃত্তান্ত সংক্ষেপে তুলে ধরেন। মন্ত্রী আইওএম'কে ধন্যবাদ জানান এবং বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের মিয়ানমারে  তাদের স্বদেশে দ্রুত প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান বলে বর্ণনা করেন। পাশাপাশি ক্লাইমেট মাইগ্র‍্যান্টস বা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে স্থানচ্যুতদের বিষয়ে আইওএমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আইওএম মিশন প্রধান এ বিষয়গুলোতে তাদের জোর তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেন।

কেআই//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি