ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর ফল-মিষ্টান্ন উপহার প্রেরণ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:২১, ২৩ জুন ২০২৪ | আপডেট: ১৯:২৫, ২৩ জুন ২০২৪

Ekushey Television Ltd.

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের জন্য আজ উপহার হিসেবে ফলমূল এবং মিষ্টান্ন প্রেরণ করেন। 
আজ রোববার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর প্রোটোকল অফিসার-২ মো. আবু জাফর রাজু এবং সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার তাঁর পক্ষ থেকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর গজনবী রোডস্থ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্র (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) এ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে উপহার সামগ্রী হস্তান্তর করেন। 
  যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাগণ ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যগণ প্রতিটি রাষ্ট্রীয় দিবস এবং উৎসবে-যেমন স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, পবিত্র ঈদ এবং বাংলা নববর্ষের দিনসহ এবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে তাদের স্মরণ করার জন্যবঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উপস্থিত যুদ্ধাহত ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ তাঁদের বক্তব্যে স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মত্যাগ এবং দূরদর্শী নেতৃত্ব অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। 
তারা বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলন থেকে শুরু করে বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের বিভিন্ন পর্যায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ভূমিকা তুলে ধরেন। 
তারা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তাদের অদম্য সাহসিকতা, শরণার্থী হয়ে থাকার অভিজ্ঞতা, অস্ত্র ও বিস্ফোরক দিয়ে অপারেশন করার প্রশিক্ষণ ও বাস্তব অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। তারা যুদ্ধের ময়দানে হারানো সহযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ করেন এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
তারা উল্লেখ করেন যে দেশের আপামর জনসাধারণ জাতিরপিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে মুক্তিসংগ্রামের দিকনির্দেশনা পেয়েছিলেন এবং ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে অস্ত্র হাতে নিয়ে পাকিস্তানিদের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করার প্রত্যয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।
খুনি মোশতাক-জিয়া ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার পর স্বাধীনতার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস বিকৃত করেছিল। স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমতায় বসিয়েছিল। জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ এবং ‘জয়বাংলা’ স্লোগান নিষিদ্ধ করেছিল।
মুক্তিযোদ্ধাগণ জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যার দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা প্রকাশ করেন। 
স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের নিকট তুলে ধরার জন্য এবং তাদের সম্মান ও মর্যাদার সাথে পুনর্বাসনের জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন। 
দেশের অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তারা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলে দেশের প্রান্তিক মানুষের কল্যাণ হয় এবং মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারবর্গ ভালো থাকেন। 
তারা মুক্তিযোদ্ধাদের বর্ধিত হারে ভাতা প্রদান, চিকিৎসা এবং আবাসনের সুব্যবস্থা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মুক্তিযোদ্ধারা মনে করেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ একদিন জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর এবং আত্মমর্যাদাশীল ‘সোনারবাংলাদেশ’ অর্থাৎ “স্মার্ট বাংলাদেশ” হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।

 

কেআই//
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারেরসদস্যসহ উপস্থিত সকলেই প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

 

কেআই//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি