ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে স্ত্রীর যৌতুক মামলা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:২৬, ৫ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১০:১৭, ৬ জুলাই ২০১৭


জামায়াতের সাবেক কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির রাজশাহী মহানগরের আমির আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। যৌতুক দাবির অভিযোগে তার দ্বিতীয় স্ত্রী রাশেদা বেগম বাদী হয়ে মঙ্গলবার সকালে রাজশাহীর মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি করেন।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।

এর আগে একই ঘটনায় পাঁচ মাস আগে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমিরের পদ থেকে অব্যাহতি আতাউর রহমানকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল।

বাদী অভিযোগ করেন, ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল আতাউর রহমানের সঙ্গে দুই লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে তাঁর বিয়ে হয়। নগরের রাজপাড়া থানার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিবাহ রেজিস্ট্রার ও কাজী আবদুস সাত্তারের কাছে দুই লাখ টাকা দেনমোহরে তাঁদের কাবিন (নম্বর ০৬/২০১৬) হয়। এরপর তাঁরা গোপনে বসবাসও করেন। পরে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে তিনি প্রকাশ্য হন, কিন্তু তাঁকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করেন। তিনি কাবিননামা নিয়ে বিভিন্ন স্থানে দেনদরবার করলে উল্টো তাঁকে ভয়ভীতি দেখানো হয়।

অভিযোগে বলা হয়, একপর্যায়ে আতাউর রহমান দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে ঘর-সংসার করতে হলে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দিতে হবে। সর্বশেষ গত ২ জুন ভাইদের নিয়ে রাশেদা বেগম শহরের তেরখাদিয়া এলাকায় আতাউর রহমানের বাড়িতে যান। কিন্তু আতাউর রহমান তাঁকে ঘরে তুলে নেননি।

আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম বাদীর পক্ষে মামলাটি করেন। শুনানি শেষে মুখ্য মহানগর হাকিম মাহবুবুর রহমান আগামী ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আসামি আতাউর রহমানকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাদী রাশেদা বেগম রাজশাহী মহানগরের লক্ষ্মীপুর শাখা ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আয়া। তাঁর আগের পক্ষের দুই মেয়ে আছে। এক মেয়েকে নিয়ে তিনি এখন নগরের বসুয়া এলাকায় থাকেন। আতাউর রহমানের বয়স ৬৫ বছর। তাঁর স্ত্রী ও পাঁচ সন্তান আছে। রাশেদা একসময় আতাউর রহমানের বাসায় কাজ করতেন। সেই সূত্রে পারিবারিকভাবে তাঁদের পরিচয়। বিগত সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় গ্রেফতার এড়াতে অনেক দিন আত্মগোপনে ছিলেন আতাউর রহমান। তখন তিনি রাজশাহী মহানগরীর আমির ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, একবার আতাউর রহমান পুলিশি অভিযানে রশিদা বেগমের বাসা থেকে গ্রেফতার হন। তখন ওই বাসায় তাঁর আত্মগোপনে থাকা নিয়ে দলে প্রশ্ন ওঠে। পরে স্থানীয় নেতাদের মধ্যেও এ নিয়ে বিতর্ক উঠলে কেন্দ্রীয়ভাবে এ ঘটনার তদন্ত হয়।
ওই সূত্রের দাবি, তদন্তে আতাউর রহমানের নৈতিক স্খলনের প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপর তাঁকে ডেকে এনে দলের রুকনিয়াত (সদস্যপদ) স্থগিত করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। একই সঙ্গে তাঁকে দলের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমিরের পদ থেকে অব্যাহতি নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তিনি অব্যাহতি নেন। তবে রাশেদা বেগমকে বিয়ে এবং যৌতুক দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আতাউর রহমান।

//এআর

 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি