বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে রাজি ড. কামাল
প্রকাশিত : ১২:৫৪, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৬:৩৩, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮
বর্তমান সংবিধানিক কাঠামো এবং ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচনে যোগদান করতে নীতিগতভাবে রাজি আছেন বলে জানিয়েছেন বিরোধী রাজনৈতিক জোট গঠনের মূল উদ্যোক্তা ড. কামাল হোসেন।
সম্প্রতি বিবিসির সঙ্গে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. হোসেন এ কথা বলেন। তবে তিনি বলেছেন, তাদের নবগঠিত জোটের শরীকদের সঙ্গে এব্যাপারে কোন কথা হয়নি। এটি শুধুই তার দলের অবস্থান।
তিনি বলেন, ‘এটা একটা সিম্পল প্রভিশন। আমি মনে করি সবাই এটা বলতে দ্বিধা করবেন না। তবে এরকম কোন সিদ্ধান্ত আমরা বসে নেইনি।’
নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলনকারি বিএনপি যখন এই ঐক্য প্রক্রিয়ায় যোগ দিয়েছে, তখন বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামো এবং ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিতে নীতিগতভাবে রাজি থাকার কথা বলছেন ড. কামাল হোসেন।
কামাল হোসেন বলেন, যারা সরকারে থাকবে, নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে তাদের দায়িত্ববোধ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এটা রেফারি হিসেবে পরিচালনা করবে।কেউ যদি নিরপেক্ষতা থেকে সরে যায় তারা সেটা চিহ্নিত করবে এবং এটাকে অবৈধ বলবে। এগুলোতো ইলেকশন আইনেই আছে।’
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ব্যানারে শনিবার এই জোটের প্রথম যে সমাবেশ হয়, সেখান থেকে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয় এবং আগামী ৩০শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সে সব দাবিদাওয়া মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
বিবিসির সাথে সাক্ষাৎকারে জোটের সদস্য গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন জানান যে, তাদের এই জোট কোন নির্বাচনী জোট নয়। একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি আদায়ের লক্ষ্যেই শুধু তারা একজোট হয়েছেন।
‘আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করার জোট। যেকারণে এটা দ্রুত করা সম্ভব হয়েছে।’
কিন্তু সরকারকে বিপদে ফেলে বিএনপিকে মাঠে নামার সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য এই জোট করা হয়েছে। এমন সমালোচনা আসছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে।
এই সমালোচনার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্সণ করা হলে ড. হোসেন বলেছেন, ‘উনাদের আশ্বস্ত করতে পারেন যে, এ রকম কোনো চিন্তা আমাদের মাথায় ছিল না। সুষ্ঠু নির্বাচন করার লক্ষ্যে এই জোট। সরকারও এই জোটে আসতে পারে।’
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কী ধরণের পূর্বশর্ত তারা সরকারকে দিচ্ছেন? এই প্রশ্নে তিনি বলেছেন, ‘ভোটার লিস্ট নিরপেক্ষভাবে করতে হবে। ভোটার লিষ্ট অনুয়ায়ী সবার ভোট দেওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।’
সূত্র: বিবিসি বাংলা
এমএইচ/
আরও পড়ুন