অপশক্তির অনুপ্রবেশ প্রতিহত করাই এখন চ্যালেঞ্জ: সংস্কৃতিমন্ত্রী
প্রকাশিত : ২৩:২৮, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ২৩:৩১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিতে অপশক্তির অনুপ্রবেশ প্রতিহত করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায় না। এর ভেতরেও অনেক অপশক্তির অনুপ্রবেশ ঘটেছে। সেটা দেখতে ও বুঝতে হবে। সেই শক্তিগুলো প্রতিহত করা আমাদের এখন চ্যালেঞ্জ। যারা অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিশ্বাস করে, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মানবাধিকার বিশ্বাস করে, তাদের ঐক্য হতে হবে।
শুক্রবার ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রথম দিনের আলোচনায় তারা এই মত দেন। বাংলা একাডেমিতে ‘১৯৭১: মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা ও বিশ্ব’ শীর্ষক দুই দিনের এই সম্মেলনের আয়োজক ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভস ও জাদুঘর ট্রাস্ট।
সম্মেলনের উদ্বোধন করে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, একাত্তরে যারা গণহত্যা চালিয়েছিল, শুধু দেশীয়ভাবেই নয় আন্তর্জাতিকভাবেও তাদের বিচারের জোরালো দাবি রাখে। এত বছর পরও আন্তর্জাতিকভাবে একাত্তরের গণহত্যার বিচারের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারাটা আমাদের জন্য একটি ব্যর্থতা।
১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের ট্রাস্টি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, আমরা গণহত্যা ও নির্যাতন নিয়ে কেন এত কথা বলি। মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে বিশাল ব্যাপ্তি। আমাদের ইতিহাসের ভারসাম্যহীনতার কারণ হচ্ছে এই যে, আমরা সব সময় বিজয়কে গুরুত্ব দিয়েছি। মানুষ বিজয়ের কথা কম মনে রাখে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গণহত্যা-নির্যাতন। মানুষ এই গণহত্যা-নির্যাতন মনে রাখে, এটা মানুষের ধর্ম।
ভারতীয় জাতীয় গবেষণা অধ্যাপক জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, এটা একটা বিচিত্র দেশ, যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের তারাও যেমন এই দেশে আছে, একইভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তারাও এখন সক্রিয় আছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকদের আরও বেশি শক্তিশালী হওয়া উচিত ছিল।
দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, বেলজিয়াম, মিশর, নেদারল্যান্ডস, কম্বোডিয়াসহ আটটি দেশের ২৩ জন গবেষক, বিশেষজ্ঞ ও সাংবাদিক যোগ দিয়েছেন।
সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও চিত্রশিল্পী হাশেম খান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
আরকে//
আরও পড়ুন