গ্রেনেড হামলায় খালেদারও বিচার চাই : কাদের
প্রকাশিত : ১৮:৪৭, ১০ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ১৮:৪৯, ১০ অক্টোবর ২০১৮
বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তৎকালীন সরকার প্রধান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালেয়ের দায়িত্বশীল হিসেবে এড়াতে পারেন না খালেদা জিয়া। তাই এ মামলায় তারও সাঁজা হওয়া উচিত বলে মনে করে আওয়ামী লীগ।
আজ বুধবার বিকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় নিয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় দলের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
রায়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট না হওয়ার কথা জানিয়ে আওয়ামী লীগ এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানের ফাঁসির দাবি করেছে। একই সঙ্গে ওই সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ারও বিচার দাবি করেছে দলটি।
ওবায়দু কাদের বলেন, ২০০৪ সালে লুৎফুজ্জামান বাবর ছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। নিয়মানুযায়ী কোনো মন্ত্রনালয়ে মন্ত্রী না থাকলে পদাধিকারবলে প্রধানমন্ত্রী সেই মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী হন। সেই হিসেবে তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন খালেদা জিয়া। তাই এ হামলার দায়ভার তিনি এড়াতে পারেন না।
তিনি আরো বলেন, দেশের সেনা গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান মন্ত্রীদের সরকারী বাস ভবনে, হাওয়া ভবনে দফায় দফায় বৈঠক করল। প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কী তা জানতেন না?
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা এ রায়ে খুশি। দেরিতে হলেও এ রায়ের মধ্য দিয়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে পুরোপুরি খুশি হতে পারিনি। এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড, মূল প্ল্যানার, বিকল্প পাওয়ার সেন্টারের কর্ণধার তারেক রহমানের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত ছিলো।
তিনি বলেন, এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান। সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড তার প্রাপ্য। আমরা এই মুহূর্তে তারেক রহমানের ফাঁসি দাবি করছি। সেই সঙ্গে লুৎফজ্জামান বাবর ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী। পূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাই তিনি দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। আমরা তারও বিচার দাবি করছি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমরা সরকারের কাছে এই মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য আপিলের দাবি জানাচ্ছি।
/ এআর /
আরও পড়ুন