অনলাইন ক্যাসিনোর টাকা যেত লন্ডনে: র্যাব
প্রকাশিত : ২১:০২, ১ অক্টোবর ২০১৯ | আপডেট: ২২:৪৮, ১ অক্টোবর ২০১৯
বাংলাদেশের অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতা সেলিম প্রধানের ক্যাসিনো থেকে অবৈধ আয়ের টাকা তিনটি বাংকে জমা হতো বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-১) অধিনায়ক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম।
আজ মঙ্গলবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। এর আগে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে আজ বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বাংলাদেশের অনলাইন ক্যাসিনোর মূলহোতা সেলিম প্রধানের বাড়ি ও অফিসে টানা ১৮ ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা করে র্যাব।
সারওয়ার বিন কাশেম বলেন,‘অনলাইনে ক্যাসিনোর টাকা একটি গেটওয়েতে জমা হয়। এই গেটওয়ে থেকে তিনটি ব্যাংকে টাকা যায়। ব্যাংক তিনটি হলো, বিদেশি ব্যাংক কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন এবং দেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক দি সিটি ব্যাংক ও যমুনা ব্যাংক।
সারোয়ার বিন কাশেম আরও বলেন, অনলাইন গেটওয়ে দিয়ে এই তিন ব্যাংকে টাকা ঢুকতো। লেনদেন করতো সেলিম প্রধানের সহকারী আক্তারুজ্জামান। সেলিম প্রধানের সঙ্গে সমান অংশীদারিত্বে উত্তর কোরিয়ার নাগরিক মিস্টার তু অনলাইন ক্যাসিনোর ব্যবসা করতো। এই অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে পাচার হতো অথবা কোরিয়ান নাগরিক নিজে এসেও টাকা নিতেন। এখানে মানি লন্ডারিং অপরাধ হয়েছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সেলিম প্রধানকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে আটকের পর রাত ১০টা থেকে পরবর্তী ১৮ ঘণ্টা ধরে তার গুলশানের বাসা এবং বনানীর অফিসে অভিযান চালায় র্যাব-১। মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় অভিযান শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন সারোয়ার বিন কাশেম।
টিআর/
আরও পড়ুন