ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪

আ’লীগের সম্মেলনে সভাপতি পদে পরিবর্তন আসবে না: কাদের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৪১, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯

আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনে দলের সভাপতি পদে কোনো পরিবর্তন আসবে না বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদরে। 

আজ শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের ২১তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত দপ্তর উপ-কমিটির বৈঠকে তিনি এ কথা জানান।

আগামী জাতীয় সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে কোন পরিবর্তন আসছে কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একটা পদে কোন পরিবর্তন আসবে না। সেটা হচ্ছে আমাদের পার্টির সভাপতি। আমাদের সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তিনি ছাড়া আমরা কেউই অপরিহার্য না। তিনি এখনও আমাদের জন্য প্রাসঙ্গিক অপরিহার্য। তৃণমূল পর্যন্ত সবাই তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।’

তিনি বলেন, ‘এর পরের পদটা কাউন্সিলরদের মাইন্ড সেট করে দেয়। সেটাও তিনি ভাল করে জানেন। আর দল কিভাবে চলবে, কাকে দিয়ে চলবে সেটাও তিনি জানেন। তিনি যেটা ভাল মনে করবেন সেটাই করবেন। পরিবর্তন করলেও তার ইচ্ছা, তিনি ডিসাইড করবেন এ ব্যপারে কারও কোন কথা থাকবে না।’

আদালত প্রাঙ্গনে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হট্টগোলের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুর কাদের বলেন, ‘এটা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। এটা কোন রাজনৈতিক মামলা নয় যে রাজনৈতিকভাবে সরকার মুক্তি দিতে পারে। এটা হলো দুর্নীতির মামলা। দুর্নীতির মামলায় সরকারের কিছু করার নেই। এটা আদালতের বিষয়। যদি রাজনৈতিক মামলা হতো, আজকে তারা কথায় কথায় বলে রাজনৈতিক ভাবে আটকে রাখা হয়েছে, বন্দি করে রাখা হয়েছে। এগুলো মিথ্যা এবং সত্যের অপলাপ। বিষয়টি তারা জেনে শুনেই মিথ্যাচার করছে।’

তিনি বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গনে তারা রনাঙ্গন সৃষ্টি করেছে, এটা সবাই দেখেছে। আদালতের ভিতরে শেষ পর্যন্ত প্রধান বিচারপতিকে কমেন্ট করতে হয়েছে। আমি এমন ঘটনা কখনও দেখিনি। বাড়াবাড়িরও একটা সীমা আছে। আমি মনে করি আদালতের ভেতরে আদালত কক্ষে তারা যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছে, হট্টগোল করেছে সেটা ক্ষমার অযোগ্য।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতারা একেক জন একেক কথা বলেন। কেউ বলেন দুর্বার আন্দোলন ছাড়া মুক্তি নেই আবার কেউ বলে আন্দোলন করার সময় এখনও হয়নি। তাদের নেতৃত্বের মধ্যে আন্দোলনের খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে নানান কথা। আমাদের এখানে কি করার আছে। আামরা এখানে রাজনৈতিক মামলা হলে মুক্তির বিষয়টা বিবেচনা করতাম। এটা রাজনৈতিক কোন মামলা নয়। এটা দুর্নীতির মামলা।’

বিএনপি ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তারা এখন আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ, তাদের এখন এই অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার দুরভিসন্ধি ছাড়া তাদের আর কিছু করার নেই।’

কাদের বলেন, ‘বিএনপি এখন আদালত প্রাঙ্গনে, আদালতের ভেতরে যে হট্টগোল সৃষ্টি করেছে, এটাই এখন তাদের রাজনীতি। তারা এখন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে, তারা এখন উস্কানী দেবে। দ্রব্য মূল্য অস্বাভাবিক করার জন্য তাদেরও একটা কারসাজি আছে সেটাও আমরা তদন্ত করছি। এখনও তারা নিরব আছে তা না, তারা প্রত্যেকটি ঘটনায় ইন্দন দিচ্ছে।’

সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও দফতর কমিটির আহবায়ক পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: বাসস

এমএস/এসি
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি