ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

যুগে যুগে আওয়ামী লীগের হাল ধরেছেন যারা 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:১২, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১০:৫৮, ২০ ডিসেম্বর ২০১৯

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিক

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিক

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারার আলোকবর্তিকা ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’। দেশের স্বাধীনতায় নেতৃত্বদানকারী এ দলটি দীর্ঘ ঘাত-প্রতিঘাত পারি দিয়ে এখনও জ্বালিয়ে রেখেছে গণতন্ত্রের মশাল। আগামীকাল শুক্রবার ও পরদিন শনিবার দলটির ২১তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলনের প্রস্তুতিও এখন শেষের পথে বলে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

পরপর তিনবার সরকারে থাকা এ দলটির গোড়াপত্তন হয় ২৩ জুন ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ নামে। প্রায় দুই যুগ পর যে দলটির নেতৃত্বে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ১৯৫৫ সালের কাউন্সিলে নতুন নাম হয়-‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’। স্বাধীনতার পর ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নাম নেয় দলটি।

সুদীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ৬জন সভাপতি ও ৯জন সাধারণ সম্পাদক নানা দু:সময়ের মধ্য দিয়ে দলটিকে আজ পর্যন্ত নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন। এছাড়াও ১৯৭৬ সালে মহিউদ্দিন আহমেদ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সেল (সিআরআই) সূত্রে পাওয়া তথ্য মতে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে দলের নেতৃত্বে ছিলেন যারা তাদের নাম দেওয়া হলো। 

যারা ছিলেন সভাপতি:

দলের প্রথম সভাপতি ছিলেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। তিনি ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত চারটি কাউন্সিলে সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর ঐ বছর একটি বিশেষ কাউন্সিলে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ। ১৯৬৪ সালে দলের পঞ্চম কাউন্সিলে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। সভাপতি পদে ছিলেন ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত। ঐ বছর ষষ্ঠ কাউন্সিলে দলের সভাপতি হন শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত সভাপতি পদে ছিলেন। ১৯৭৪ সালে দশম কাউন্সিলে সভাপতি হন এ এইচ এম কামরুজ্জামান। ১৯৭৫ সালে ঘাতকের গুলিতে কেন্দ্রীয় কারাগারে নিহত হন তিনি। এরপর ১৯৭৮ সালে কাউন্সিলে সভাপতি হন আবদুল মালেক। তিনি ১৯৮১ সাল পর্যন্ত ছিলেন। ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে দলের সভাপতি পদে আছেন শেখ হাসিনা। দলের ১৩তম কাউন্সিলে তিনি প্রথম সভাপতি হন। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২২ ও ২৩ অক্টোবর ২০তম কাউন্সিলেও তিনি একই পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

যারা ছিলেন সাধারণ সম্পাদক: 

আওয়ামী লীগ গঠনের পর ১৯৪৯ সালে দলের প্রথম কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক হন শামসুল হক। এরপর ১৯৫৩ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত দলের দ্বিতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিন মেয়াদে দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তাজউদ্দীন আহমেদ। এরপর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত জিল্লুর রহমান সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এরপর দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক হন আবদুর রাজ্জাক। ১৯৮৭ সালে সাধারণ সম্পাদক হন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। ছিলেন ১৯৯২ সাল পর্যন্ত। এর জিল্লুর রহমান আবারও দুই মেয়াদে ২০০২ সাল পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০০২ সালের কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক হন আবদুল জলিল। ছিলেন ২০০৯ সাল পর্যন্ত। ওই বছর দলের ১৮তম কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করেন ২০১৬ সাল পর্যন্ত। চলতি বছরে সর্বশেষ কাউন্সিলে নির্বাচিত হয়ে নবম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ওবায়দুল কাদের। পরবর্তী তিন বছরের জন্য তিনি এই পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

এর মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে ও জাতীয় চার নেতা নিহত হওয়ার পর ১৯৭৬ সালে মহিউদ্দিন আহমেদ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক হন। এর পরের বছর ১৯৭৭ সালে দলের ১১তম কাউন্সিলে সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনকে আহবায়ক করা হয়।

এমএস/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি