অত্যন্ত সফলভাবে আমি ইভিএমে ভোট দিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত : ০৯:৩০, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১১:৪৫, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে ভোট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকদের কাছে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত সফলভাবে আমি ইভিএমে ভোট দিয়েছি। নির্বাচন কমিশন পর্যায়ক্রমে সারাদেশে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করবে। যাতে মানুষের ভোটাধিকার কেউ কেড়ে নিতে না পারে।’
আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা সিটি কলেজে ভোট প্রদান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হবে। এ আশাবাদ আমি করছি।’
তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলেই অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। আমি আহ্বান করবো, ঢাকাবাসীকে প্রত্যেকেই নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে ভোট দেবেন। ভোটটা স্বাধীনভাবে যার যার ইচ্ছামতো দেবেন। আমার ভোট আমি দিবো যাকে আমার পছন্দ তাকে দিবো। এই নিয়মেই চলবে। এবং সেভাবেই ভোট হবে। এই ভোটের মধ্য দিয়েই তারা নির্বাচিত প্রতিনিধি জয়যুক্ত করবে।’
বিভিন্ন দূতাবাসে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকদের বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করে দূতাবাসগুলো কূটনীতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ করেছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘উত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের উত্তরসূরিরাও কথিত বিদেশি পর্যবেক্ষকের এই তালিকায় রয়েছে। এসময় নির্বাচন কমিশন কীভাবে দেশি নাগরিকদের বিদেশি পর্যটক হিসেবে গ্রহণ করেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী।’
বিএনপিকে নির্বাচনের সন্ত্রাসের পথ পরিহার করে জনগণের ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে চারবার ক্ষমতায় এসেছে। সন্ত্রাসী বাহিনী ব্যালট পেপার ছিনতাই করতে পারবে না। এ কারণে ইভিএম নিয়ে বিএনপি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা গড়তে পারব।’
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির উদ্বেগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘উদ্বেগ তারা প্রকাশ করতে পারেন। আমাদের অতীত ইতিহাস তো ভালো নয়। আমরা দেখেছি, এর আগে কীভাবে ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির জন্মটাই অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে। কারণ জনগণের ওপর তারা কোনোভাবেই আস্থা রাখতে পারে না।’
এসএ/
আরও পড়ুন