‘চীনারা ছুটি বাড়ালে উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতিতে সমস্যা হতে পারে’
প্রকাশিত : ১৫:৩৪, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘করোনা ভাইরাস নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি দুই মাসের বেশি প্রলম্বিত হলে এবং চীনা কর্মীদের যারা ছুটিতে গেছেন তাদের ছুটি বাড়লে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজের অগ্রগতিতে সমস্যা হতে পারে।’
আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তরপ্রধান এবং প্রকল্প পরিচালকদের নিয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা ও নাগরিক সেবা বিষয়ক সভা শেষে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে চীনের নববর্ষ উপলক্ষে পদ্মাসেতু প্রকল্পে কর্মরত ৩৩২ জন কর্মী ছুটিতে গেছেন। সেটা প্রলম্বিত না হলে আগামী দুই মাসের মধ্যে পদ্মাসেতুর কাজের অগ্রগতিতে কোনো সংকট হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘পদ্মাসেতুতে মোট চীনা নাগরিক কাজ করেন ৯৮০ জন। এরমধ্যে নববর্ষ উপলক্ষে চীনে গেছেন ৩৩২ জন। তাদের মধ্যে ফিরে এসেছেন ৩৩ জন। এরমধ্যে ৮ জন কোয়ারেন্টাইন মুক্ত। অন্যরা কোয়ারেন্টাইনে আছেন। ’
বিকল্প ব্যবস্থা বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যাদের সঙ্গে চুক্তি তাদের সঙ্গে বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে কথা হয়নি। মাস দুই-একের মধ্যে অসুবিধা হবে না। আমাদের স্প্যানতো বসছে। ২৩টি বসেছে ২৪ নম্বরটা বসবে আগামী ১০ তারিখে। কাজেই তাদের অনুপস্থিতি তেমন কোনো সমস্যা হবে না। সমস্যা হলে আড়াই তিন মাস পরে হতে পারে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মাসেতুর কাজ চলছে। কোনো ধরনের অসুবিধা না হলে জুলাইয়ের মধ্যে সব কয়টি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মেগা প্রকল্পের মধ্যে আমার মনে হয় সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে পদ্মাসেতুতে।’
কাদের বলেন, ‘আমরা আশা করছি আগামী মাসে ঢাকা-মাওয়া বাংলাদেশের প্রথম এক্সপ্রেস ওয়ের শুভ উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নিজে উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর অফিসে সামারি পাঠানো হয়েছে। তিনি যখন সময় দেবেন তখন উদ্বোধন করা হবে। অ্যাপ্রোসের কাজ শেষ। ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটারের কাজ শেষ। পদ্মার ওপার থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত উদ্বোধন হয়ে গেছে।’
উড়াল সেতুর অগ্রগতি নিয়ে কাদের বলেন, ‘এখানে ফান্ড সমস্যা এখন আর নেই। প্রথম ফেজের অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ। এখানে চায়নিজ আছেন ২০ জন, ছুটিতে আছেন ১৮ জন এবং মোট কর্মরত ৩৮ জন। এখানে আপডেট হচ্ছে ছুটিতে থাকা চায়নিজদের জন্য কোনো অসুবিধা হচ্ছে না বা হবে না।’
মেট্রোরেল সার্বিক অগ্রগতি ৪২ শতাংশ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘উত্তরা থেকে আগারগাঁও ৬৮ শতাংশ এবং আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে কাজ ৩৬ শতাংশ হয়েছে। এখানে চীনা নাগরিক আছেন ৫৮ জন, চীনে গেছেন ৩১ জন, ফেরত এসেছেন ১ জন। তিনি কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এখানে কোনো ইমপ্যাক্ট পড়বে না।’
বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পে ৭২ জন চীনার মধ্যে একজন ছুটিতে রয়েছেন। এখানে সেতু বিভাগের অংশে অগ্রগতি ২০ শতাংশ বলে জানান মন্ত্রী।
এসএ/
আরও পড়ুন