৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ছাত্রলীগের শ্রদ্ধা
প্রকাশিত : ১৪:৫৫, ৭ মার্চ ২০২০ | আপডেট: ১৪:৫৯, ৭ মার্চ ২০২০
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ছাত্রলীগের শ্রদ্ধা- একুশে টেলিভিশন
- ৭ মার্চ বাঙালি জাতির চিরন্তন অনুপ্রেরণা
- ৭ মার্চের ভাষণ: আমাদের প্রেরণার চিরন্তন উৎস
- ৭ মার্চ নিয়ে গান ‘আমাদের স্কুল’
- ৭ মার্চের ভাষণ: পটভূমি ও তাৎপর্য
- ৭ মার্চ : মিলিয়ে নিন আপনার রাশিফল
- ৭ মার্চকে জাতীয় দিবসের দাবি যথার্থ: ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন
- ৭ মার্চের ভাষণ: মুক্তিযুদ্ধের মহাকাব্য
- ৭ মার্চ : ইতিহাসের আজকের এই দিনে
- ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ববাসীর জন্যও প্রেরণা: রাষ্ট্রপতি
- ৭ মার্চ যারা অস্বীকার করে তারা স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে : কাদের
- আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ
- আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের আহমেদ এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়সহ কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন ইউনিটের শীর্ষ নেতাকর্মীরা।
১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) মানুষ হাজির হয়েছিলেন মুক্তির আকাঙ্ক্ষা নিয়ে। মুক্তিকামী মানুষের স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও নিরাশ করেননি তাঁদের। জনসমুদ্রের মধ্যে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু ১৯ মিনিটের যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তা ইতিহাস হয়ে আছে।
এবার ৭ মার্চ জাতির সামনে অন্য মহিমায় হাজির হয়েছে। ২০১৭ সালের অক্টোবরে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা বা ইউনেস্কো ৭ মার্চের ভাষণকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ঐ দিনের বিশাল জনসমাবেশে দেয়া ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতাযুদ্ধের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ আসন্ন যুদ্ধপ্রস্তুতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে, তা-ই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে।’
প্রকৃতপক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া বঙ্গবন্ধুর ঐ ভাষণই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করার আহ্বানের অধীর অপেক্ষায় ছিল বাঙালি জাতি। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা। লাখো মানুষের উপস্থিতিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। স্লোগান ছিল ময়দানজুড়ে ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা’।
এমএস/
আরও পড়ুন