রিজার্ভের টাকা ফেরত পেতে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা ফায়ারআই এর সহায়তা নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক
প্রকাশিত : ০৭:২৪ পিএম, ১১ মার্চ ২০১৬ শুক্রবার | আপডেট: ০৭:৪১ পিএম, ১১ মার্চ ২০১৬ শুক্রবার
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা ফেরত পেতে এখন যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ভিত্তিক তদন্ত সংস্থা ফায়ারআই এর সহায়তা নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রয়টার্স জানিয়েছে, এ বিষয়ে পরামর্শক ‘ওয়ার্ল্ড ইনফরমেটিক্স’ এর মাধ্যমে তদন্তে ফায়ারআই এর সহায়তা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন- এফবিআই’এর সহায়তাও পাওয়া যেতে পারে। জানা গেছে, দেশে এর অনানুষ্ঠানিক তদারকি করছে সিআইডি, ডিবি ও র্যাবসহ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা।
গেল ৫ই ফেব্রুয়ারীতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০১ মিলিয়ন বা ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি করা হয়। তবে, পুরো প্রক্রিয়াটি যে ছিল খুব সূক্ষ এবং দীর্ঘ পরিকল্পনার অংশ, তা-ই বেরিয়ে এসেছে ফিলিপাইনের পত্রিকা ইনকিওর. নেটের অনুসন্ধানে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকে ৫টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। যে অ্যাকাউন্ট গুলোতেই ট্রান্সফার করা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা। এর সঙ্গে জড়িত হিসেবে এখন সন্দেহের তালিকায় আছেন সেদেশের কিম ওয়াং নামের এক ব্যক্তিসহ মোট ছয় জন। তাদের আরও অর্থ আত্বসাতের পরিকল্পনা থাকলেও পরবর্তিতে আর সেগুলো সফল হয়নি। এই অর্থ আত্বসাতের এক চালান শ্রীলংকাতেও যায়। জানা গেছে, সেদেশের শালিকা ফাউন্ডেশানে যাওয়া অর্থের পরিমান ২০ মিলিয়ন বা ২ কোটি মার্কিন ডলার।
অনেকে বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থার দুর্বলতাকেই যে ব্যবহার করা হয়েছে, তা অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এরিমধ্যে।
এদিকে, পুরো বিষয়টির অনানুষ্ঠানিক তদন্তে নেমেছে সিআইডি, ডিবি এবং র্যাব সহ বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা। তবে, বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত ও দোষীদের সনাক্ত করার আগে এ নিয়ে এখনই মুখ খুলছে না কোন সংস্থাই।
ঘটনার শুরু থেকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮১ মিলিয়ন ডলার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছয় জনকে শনাক্ত করেছে ফিলিপাইনের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল -এএমএলসি। চলছে তদন্তও।