আম্ফানের প্রভাবে বাগেরহাটে বৃষ্টি-ঝড়ো হাওয়া
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:১৯ পিএম, ১৯ মে ২০২০ মঙ্গলবার
বাগেরহাটে বৃষ্টির চিত্র
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাট জুড়ে হচ্ছে বৃষ্টি। শুধু বৃষ্টি নয়, কোথাও কোথাও বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হাওয়া বইছে। মঙ্গলবার (১৯ মে) দুপুর ১টা থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বৃষ্টি শুরু হয়।
জেলার শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হাওয়া বইছে। বাগেরহাটের নদ-নদীর পানি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করেছে। সকাল থেকে রোদ থাকলেও হঠাৎ বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে মানুষ দিকবিদিক ছোটাছুটি করছে। মাঠের পাকা ধান ও বাড়ির উঠানে শুকানোর জন্য রাখা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষক পরিবারগুলো। শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও মোংলা উপজেলার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। সতর্ক সংকেতে ভয়াবহ বার্তা পরিবেশন করায় উপকূলবাসীর মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। মাটি, ছন ও টিনের ঘরের বাসিন্দাদের দুশ্চিন্তা সব থেকে বেশি।
এদিকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও মোংলায় প্রায় ১ হাজার ৫‘শ মানুষ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ।
শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আছাদুজ্জামান মিলন বলেন, দুপুর থেকেই এখানে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হাওয়া বইছে। আমরা স্থানীয়দের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলেছি। ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রতিবন্ধী ও বৃদ্ধদের আমরা স্বেচ্ছাসেকদের সহায়তায় আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়েছি। সতর্কতামূলক মাইকিং চলছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছি। ৪১০টি আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি সুবিধাজনক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমরা আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছি। এ নিয়ে আমাদের মোট ৯৭৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৭ লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। সার্বিক যোগাযোগ রক্ষার জন্য ১০টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ৮৪টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। প্রয়োজনীয় শুকনো খাবারেরও ব্যবস্থা রেখেছি।
এনএস/