ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে পুশইন, ভারসাম্যহীন নারীকে নিয়ে বিপাকে বিজিবি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২৩ পিএম, ১৯ মে ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:৩৬ পিএম, ১৯ মে ২০২০ মঙ্গলবার

মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে নিয়ে আলোচনায় বিজিবি-বিএসএফ। -ছবি একুশে টিভি।

মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে নিয়ে আলোচনায় বিজিবি-বিএসএফ। -ছবি একুশে টিভি।

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউনিয়নের ঢলুয়াবাড়ি সীমান্ত দিয়ে এক নারীকে বাংলাদেশে পুশইন করার অভিযোগ উঠেছে বিএসএফ’র বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৯ মে) সকালে। মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে নিয়ে বিপাকে বিজিবি।

স্থানীয়রা জানান, ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবরী জেলার গোলকগঞ্জ থানার কেদার ক্যাম্পের বিএসএফ সকাল ৯টার দিকে ৪৮নং গেট খুলে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেয়। এ সময় সে আসতে না চাইলে আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ১০১৯-এর সাব পিলার ৩-এর নিকট দিয়ে বিএসএসএফ তাকে মারধর করে পার করে দেয়। বিষয়টি টের পেয়ে সীমান্তে কাজ করা কৃষক এবং স্থানীয় লোকজন প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং বিজিবিকে খবর দেয়। এ সময় ওই নারী কাঁটাতারের বাইরে ভারতের ১০০ গজ অভ্যন্তরে দাঁড়িয়ে থাকে। পরে বিজিবি এসে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানালে কয়েক ঘন্টা পর পতাকা বৈঠকের সাড়া দেয় বিএসএফ। 

পতাকা বৈঠকে ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিএসএফ কেদার ক্যাম্পের এসি ধর্মেন্দ্র রায় এবং বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কুড়িগ্রাম-২২ বিজিবির কেদার কোম্পানি কমান্ডার আবদুস সবুর। আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ১০১৯-এর সাব পিলার ৩-এর শূণ্য রেখায় অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে ওই নারীকে বাংলাদেশী বলে দাবি করে বিএসএফ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজিবির কেদার কোম্পানি কমান্ডার আব্দুস সবুর বলেন, তথ্য যাচাই-বাছাই হচ্ছে। উপযুক্ত প্রমাণ পেলে তাকে নিয়ে যাওয়া হবে। 

এনএস/