ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

বগুড়ায় করোনায় মৃতের দাফন সম্পন্ন করলো কোয়ান্টাম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫০ পিএম, ১৯ মে ২০২০ মঙ্গলবার

লাশ দাফন করছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকগণ। -ছবি একুশে টিভি।

লাশ দাফন করছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকগণ। -ছবি একুশে টিভি।

মরণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রাণ হারানো ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমান তালুকদারের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১৯ মে) দিবাগত রাত ৮টার দিকে বগুড়া শহরের পার্শ্ববর্তী শাকপালা এলাকায় তার লাশ দাফন করে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, বগুড়া শাখার স্বেচ্ছাসেবকগণ।

এর আগে ঢাকার জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) নির্দেশ মোতাবেক সীমিত মুসল্লি নিয়ে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা, বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম বদিউজ্জামান, শাজাহানপুর থানার ওসি আজিম উদ্দিনসহ আরও বেশ কয়েকজন অংশ নেন।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বলেন, গত ১১ মে ডিএমপির এসআই মজিবুর রহমান তালুকদারের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। ওইদিনই তাকে রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। সোমবার সকালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান। পরে আইইডিসিআরের নির্দেশনা মোতাবেক কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, বগুড়া শাখার ৬ জন স্বেচ্ছাসেবকের একটি টিম তার লাশ বগুড়াতে দাফন করে। 

উল্লেখ্য, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, বগুড়ার ১৭ জনের একটি স্বেচ্ছাসেবী টিম জেলায় এখন পর্যন্ত ৬টি লাশ দাফন করেছে। এর মধ্যে ৪টি করোনা সাসপেক্টেড ও ২টি করোনা পজিটিভ ছিল।

কোয়ান্টম ফাউন্ডেশনের বগুড়া প্রতিনিধি নাফিস ফারুক জানান, দাফনকালে স্বেচ্ছাসেবকদের ১৩ রকমের এবং লাশের জন্য ২৭ রকমের সুরক্ষা সামগ্রী প্রয়োজন হয়। দাফন ও সৎকার কাজের পুরো প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত পিপিই, মাস্ক, সেফটি গ্লাস, ফেস শিল্ড, সার্জিক্যাল হ্যান্ড গ্লাভস, হেভি গ্লাভস, নেক কভার ও মরদেহের কাফনের কাপড় সবকিছুই কোয়ান্টামের নিজস্ব অর্থায়নে সংগ্রহ করা হয়। মরদেহ বহনের জন্য বিশেষ বডি ব্যাগসহ সুরক্ষার জন্য তিন ধরনের জীবাণুনাশক ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি মরদেহ সৎকারের পর সুরক্ষার জন্য পিপিইসহ পরিধেয় অন্যান্য সামগ্রী কবরস্থানেই পুড়িয়ে ফেলা হয়। করোনায় মৃতদের দাফনে সুরক্ষা উপকরণ সংগ্রহসহ পুরো প্রক্রিয়াটিই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত মান অনুযায়ী সম্পন্ন করা হয়। এতে প্রতিটি দাফনে কমবেশি ১০ হাজার টাকা খরচ পড়ে।

তিনি আরও জানান, গতকাল (১৮ মে) পর্যন্ত সারা দেশে ১৬১ জনের মধ্যে ঢাকায় ১৩৯ জনের এবং ঢাকার বাইরে ২২ জনের দাফন সম্পন্ন করেছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। দাফন কার্যক্রমের পুরো ব্যয়ভারই বহন করছেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। চাইলে যে কেউ এই মানবিক উদ্যোগের অংশীদার হতে পারেন। এ ব্যাপারে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, বগুড়া শাখায় ০১৭৮২০৪৭১৭৮ নম্বরে এবং ওয়েবসাইট: quantummethod.org.bd ঠিকানায় গিয়ে আপনার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারেন।

এনএস/