ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ভারতের ওড়িশায় শুরু হয়েছে ঝড়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪৮ পিএম, ১৯ মে ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:৫৫ পিএম, ১৯ মে ২০২০ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ভারতের ওড়িশায় শুরু হয়েছে প্রবল ঝড়। সাইক্লোন আম্ফান এগিয়ে আসছে পশ্চিমবঙ্গের দিকেও। ভারতের এ দুই প্রদেশের কাছাকাছি এগিয়ে আসা ঝড়ের ভয়াবহ তাণ্ডব বুধবার বিকেলের দিকে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভারতের দিঘায়ও শুরু হয়েছে এ মুহুর্তে ঝড়ের তাণ্ডব।

রাত সাড়ে আটটায় আলিপুর আবহাওয়া দফতরের দেওয়া বুলেটিনে জানিয়েছিল, এই মুহূর্তে দিঘা থেকে ৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে রয়েছে। বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৬১০ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। স্থলভাগে যখন আছড়ে পড়বে ঘূর্ণনের গতিবেগ হবে ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। এমনকি তা ১৮৫ কিলোমিটারও ছাড়িয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে হবে প্রবল জলোচ্ছ্বাস।

এনডিটিভি জানায়, মঙ্গলবার জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রধান এসএন প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং করোনা ভাইরাস, “দুই চ্যালেঞ্জের” সম্মুখীন তাঁরা। 

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ রাজ্যে শ্রমিক ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিকদের না ফেরানোর জন্য রেলকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। বুধবার রাজ্যের দিঘা হয়ে বাংলাদেশের হাতিয়া যেতে চলেছে এই সাইক্লোন আম্ফান।

নিম্নচাপ থেকে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর আম্ফানের গতিমুখ ছিল উত্তর-পশ্চিম দিকে। এখন তা বাঁক নিয়ে সরাসরি এ পশ্চিমবঙ্গের  দিকে ধেয়ে আসছে। এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথে রয়েছে দিঘা থেকে বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপ। 

সোমবার আম্ফান শক্তি বাড়িয়ে ‘সুপার সাইক্লোনে’ পরিণত হয়েছিল। আজ সামান্য কিছুটা শক্তি হারিয়েছে, তবে এখনও ‘এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোনে’র রূপ নিয়েছে। ফলে সমুদ্র থেকে যখন স্থলভাগে আম্ফান আছড়ে পড়বে তার গতি থাকবে প্রবল। আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে সাগরদ্বীপ এবং সুন্দরবন অঞ্চলে। যদিও এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না ঠিক কোথায় ছোবল মারবে আমপান। তবে যা গতিপথ রয়েছে তাতে মনে করা হচ্ছে সাগরদ্বীপ, কাকদ্বীপ এবং সুন্দরবন এলাকায় সবচেয়ে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

উপকূলবর্তী এলাকায় সমুদ্র এবং নদীর জল নীচু এলাকায় ঢুকে যাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আম্ফালের মোকাবিলায় তৈরি রয়েছে প্রশাসন। দিঘা থেকে সুন্দরবন সমস্ত উপকূলবর্তী এলাকায় রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। তীরবর্তী এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সাইক্লোন সেন্টারে সরানো হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকা ছাড়াও কলকাতাতেও ব্যাপক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে আমপানের।

এসি