মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত নিজামী ও মীর কাসেমের ভাগ্য চূড়ান্ত পরিণতির দিকে যাচ্ছে
প্রকাশিত : ০৭:২৩ পিএম, ১১ মার্চ ২০১৬ শুক্রবার | আপডেট: ০৭:৪৯ পিএম, ১১ মার্চ ২০১৬ শুক্রবার
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী ও নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেমের ভাগ্য চূড়ান্ত পরিণতির দিকে যাচ্ছে। সর্বোচ্চ আদালতও তাদের মৃত্যু দন্ড বহাল রেখেছে। পূণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর, রিভিওর জন্য ১৫ দিন সময় পাবেন তারা। আর রিভিউ নিষ্পত্তির পরই রায় কার্যকর হবে এ দুই যুদ্ধাপরাধীর।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ৫ম ব্যক্তি হিসেবে জামায়াত নেতা নিজামীর মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে গেল ৬ জানুয়ারি রায় ঘোষণা করেন সর্বোচ্চ আদালত।
আইন অনুযায়ী রিভিউর আবেদন করতে পারবে আসামীপক্ষ। আর তা নিষ্পত্তির পর শেষ সুযোগ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা। তা নাকচ হলে কিংবা না চাইলে দন্ড কার্যকর করা হবে। তবে সুপ্রিমকোর্টের অবকাশকালীন ছুটির আগেই নিজামীর ফাঁসির পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রিভিউ শুনানির পর কারো দণ্ড কমেছে, এমন নজির নেই বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল/ রাষ্ট্রপক্ষ ।
জামায়াতের অর্থদাতা হিসেবে পরিচিত মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদন্ডও বহাল রেখেছে সর্বোচ্চ আদালত। এখন অপেক্ষা আপিলের পূনাঙ্গ রায় প্রকাশের ।
আপস:
এর আগে যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। আপিলের রায়ে সাজা কমিয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে দেয়া হয় আমৃত্যু কারাদন্ড। শুনানি চলা অবস্থায় জামায়াত আমির গোলাম আযম ও বিএনপির প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল আলীমের মৃত্যু হওয়ায় তাদের আপিলের নিষ্পত্তি হয়ে যায়।